পটুয়াখালীতে দশম শ্রেণির ২ ছাত্রকে হত্যা করল নবম শ্রেণির ৫-৬ ছাত্র

নিহত মারুফ ও নাফিস।ছবি : সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : পটুয়াখালীর বাউফলে সিনিয়র ও জুনিয়র দ্বন্দ্বে দশম শ্রেণির দুই ছাত্র নিহত হয়েছে। এতে আরও এক ছাত্র আহত হয়েছে। ২২ মার্চ বুধবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই ছাত্র হলো ইন্দ্রকুল এলাকার মো. বাবুল হাওলাদারের ছেলে মো. মারুফ (১৫) এবং একই এলাকার মিরাজ মোস্তফা আনসারীর ছেলে মো. নাফিস (১৫)। তারা ইন্দ্রকুল উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওই মাহফিলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ইন্দ্রকুল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. মারুফ, মো. সিয়াম, মো. এনামুল ও মো. নাফিসের সঙ্গে একই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র রায়হান, নাইম, হাসিবুলসহ ৫-৬ জন ছাত্রের কথা-কাটাকাটি হয়।

২২ মার্চ বুধবার বিকেল চারটার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হলে মারুফ, সিয়াম, এনামুল ও নাফিস বাড়ি ফিরছিল। বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পাঙ্গাশিয়া সেতুর কাছে পৌঁছালে ওয়াজ মাহফিলের সময় ঘটা ঘটনার জের ধরে রায়হান, নাইম, হাসিবুলসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র মারুফ, সিয়াম, এনামুল ও নাফিসের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারুফ, সিয়াম, এনামুল ও নাফিসকে গুরুতর জখম করে।

পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মারুফ ও নাফিসকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক ওই দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ইন্দ্রকুল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কথা বলার মতো আমার ভাষা জানা নাই।’

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। আসল রহস্য বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মর্মান্তিক। সংবাদ পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

ঠিকানা/এনআই