সৈয়দ মামুনুর রশীদ :
প্রত্যুষে স্নিগ্ধ বাতাসের পুলকিত নিমন্ত্রণে
আলোর মাখামাখিতে বিশুদ্ধ হই প্রতিদিন।
প্রতিবেশীর অনেকেই নিগূঢ় ঘুমে নিমগ্ন তখন,
তবুও কিছু মানুষ ঘুমকে বিদায় জানিয়ে
জানালায় দাঁড়িয়ে ঊষার অনিন্দিত রূপ দেখে।
নামাজিরা ফিরছে ঘরে ফজরের নামাজ শেষে,
পাখিরা উড়ছে দিগন্তে নিরলস ডানা মেলে,
কেউ কাজ থেকে ফিরছে, কেউ কাজে বেরিয়েছে,
স্বাস্থ্যসচেতন মানুষরাও হাঁটতে বেরিয়েছে পথে।
ছোট্ট সাঁকোটার পরেই উত্তর-দক্ষিণের রাস্তাটি
উত্তরে গিয়ে যেখানে মোড় নিয়েছে,
ঠিক সেখানেই আমাদের বসতবাড়ি।
রঙিন পাতায় মোড়ানো পাকা সড়কটি
আজ দৃষ্টিনন্দিত অনিন্দিত সুষমায়
মিষ্টি সকালের রোদ মেখে।
হেমন্তকে বসন্ত ভেবে শিল্পীর তুলি যেন পথ ভুলে
রং-বেরঙের বর্ণচ্ছটায় বনভূমি রাঙিয়ে দিয়েছে।
ডাঙায় যে মাছরাঙ্গা দেখি সে রাঙিয়েই আসে
রাঙাতে আসেনি কোনো প্রাঙ্গণ,
আলিঙ্গনে জড়ায়ে তার অনুপম রূপ
রুপালি জলে শিকারে চঞ্চু ডোবায়।
কেবল দেখি আর হাঁটতেই থাকি পারিপার্শ্বিকতায়,
বিস্ময়াভিভূত দৃষ্টির অবলোকনে বিমুগ্ধ হই
পরিশীলিত বোধে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে।