ঠিকানা রিপোর্ট: গাড়ি চালনাকালে টেক্সটিং ও ফোন ব্যবহার, রেড লাইন ও নির্ধারিত গতিবেগ অমান্যের জন্য জরিমানা এবং লাইসেন্স বাতিলসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের পরও পথচলার ঝুঁকি ও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমানো যাচ্ছে না। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সিটিতে সিটিতে পথচারির মৃত্যুর হার ৪৬% বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ১৩ মে দ্য ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট ফর হাইওয়ে সেইফটীর এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে।
ইন্টারসেকশন নয় বরং সিটি এবং উপশহরতলীর ব্যস্ত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তাঘাটে পথচারির মৃত্যুর এ হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, পথচারিদের দলিত-মথিত করা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে এবং তা প্রায়শ সংঘটিত হচ্ছে। আর পথচারিদের দলিত-মথিত কাজে ভয়াবহ ভ’মিকা রাখছে এসইউভি এবং উচ্চহর্সপাওয়ারের যানবাহনগুলো। প্রতিবেদন অনুসারে শুধুমাত্র ২০১৬ সালেই ৫ হাজার ৯৮৭ জন পথচারি প্রাণ হারিয়েছেন যা সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-যাত্রীসহ মোট নিহতের ১৬%।
প্রতিবেদন অনুসারে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সিটিগুলো এবং উপশহরতলী (সাবআর্ব)সহ আর্বান বা শহরতলী এলাকায় পথচারির মৃত্যুর হার আকাশচুম্বী হয়েছে বা ৫৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। আর্টারিয়ালস বা সংযোগ ও ব্যস্ত সড়কে এ ধরনের মৃত্যু বেড়েছে ৬৭%, আর নন-ইন্টারসেকশনে বেড়েছে ৫০%। ইন্স্যুরেন্স ইনস্টিটিউট ফর হাইওয়ে সেইফটীর প্রেসিডেন্ট ড্যাভিড হার্কী বলেন, সিগনালযুক্ত সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী ইন্টারসেকশন দিয়ে পথচারিগণ যখন দূরবর্তী দূরত্ব পায়ে হেঁটে পার হতে বাধ্য হন তখন তারা ট্রাফিকের বহু লাইনের মধ্যকার সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ পথটি বেছে নিতে বাধ্য হন। আর এতে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, নিরাপদে পর পারাপারের অধিকতর সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কমিউনিটি নিরাপত্তার উন্নয়ন ঘটাতে পারে।
আরও জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অন্ধকারে পথচারির মৃত্যু ৫৬% বেড়েছে। এ সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় মারা গেছেন ৪ হাজার ৪৫৩জন; স্পষ্ট দিবালোকে মারা গেছেন ১,২৯০ জন এবং প্রত্যূষ এবং গোধূলিলগ্নে মারা গেছেন ২০৫ জন পথচারি। আর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পথচারি প্রাণ হারিয়েছেন এসইউভির আঘাতে। পরিসংখ্যান অনুসারে, উপরোল্লেখিত সময়ে শুধুমাত্র এসইউভির একক আঘাতে পথচারির মৃত্যু ৮১% বৃদ্ধি পেয়েছে। হার্কী বলেন, এহেন বাস্তবতায় এসইউভির ডিজাইনে পরিবর্তন আনয়ন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলা যায়। তিনি বলেন এসইউভির ফ্রন্ট এন্ডগুলো অধিকতর উচ্চ। আর প্যাসেঞ্জার কারের তুলনায় এসইউভির ডিজাইন অনেক বেশি ভার্টিকেল। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাস্তায় চলাচলকারী এসইউভির সংখ্যা সম্ভবত অনেক বেশি। পথচারির মৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষে হার্কী গাড়ি থামানোর জন্য চালকদের সতর্ক করার লক্ষে পিডেস্টিয়ান-অ্যাকটিভেটেড বীকনস মাঝখানে ক্রসিং আইল্যান্ড এবং কার্ব এক্সটেনশন স্থাপনেরও পরামর্শ দেন। সর্বোপরি পথচারিদের চোখ-কান খোলা রেখে সতর্কতার সাথে নিজ দায়িত্বে পথচলার পরামর্শ দিয়েছেন হার্কী।