পদ্মাসেতুর রোডওয়েতে স্প্যাব বসানোর কাজ শুরু

মুন্সিগঞ্জ : পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলাচলের জন্য রোডওয়ে স্প্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। জাজিরায় ৪২ ও ৪১ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী ৭এফ স্প্যানে বসানো হয়েছে প্রথম স্প্যাবটি (স্প্যাব আইডি ৭এফ-ইউ ৩৩)। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় স্প্যানে একটি স্প্যাব বসানো হয়। এর মাধ্যমেই পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে। এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদ্মা সেতুতে রেলওয়ের স্প্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। দুই মিটার প্রস্থ ও প্রায় ২২ মিটার দৈর্ঘ্যরে রোডওয়ে স্প্যাবগুলো স্প্যানে বসানো হচ্ছে। জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে প্রস্তুত করে রাখা আছে ৫০০টি স্প্যাব। পুরো পদ্মা সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি স্প্যাব বসানো হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী জানান, এসব স্প্যাব মূলত প্রি-কাস্ট স্প্যাব। স্প্যানে বসানোর পর এগুলো টেনশনিং করা হবে। রডের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত টেনশনিং করে আটকে দেওয়া হবে। যাতে কোনো নড়াচড়ার সম্ভাবনা না থাকে ভবিষ্যতে।

স্প্যাব বসনোর আরো কয়েকটি ধাপের কাজ শেষে সেতু গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত হবে। গত ১৯ মার্চ জাজিরায় প্রথম রোডওয়েতে স্প্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। সকালে একটি স্প্যাব কোনো সমস্যা ছাড়াই বসানো সম্ভব হয়েছে। ২০ মার্চ থেকে বাকি স্প্যাব বসানো হবে স্প্যানগুলোতে। একটি স্প্যানে ৭৪টির মতো রোডওয়ে স্প্যাববসানো হবে। স্প্যাব বহনকারী ক্রেনটিকে নির্ধারিত স্থানে সুবিধাজনক উচ্চতায় রেখে স্প্যাবটি বসানো হয়। জানা যায়, মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। স্প্যান বসানো হয়েছে ৮টি, বাকি আছে ৩৩টি।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২ পিলারে সাতটি স্প্যান ও মাওয়া প্রান্তে ৫ ও ৬ নম্বর পিলারে একটি অস্থায়ী স্প্যান বসানো হয়েছে।