পরমাণু যুদ্ধের ভয়ে বিশ্ব

বিশ্বচরাচর ডেস্ক : ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় পারমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা করছে বিশ্ব সম্প্রদায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বক্তব্য-বিবৃতির পাশাপাশি প্রভাবশালী বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসছে সেই শঙ্কা। কাশ্মির বিরোধ থেকেই দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণু যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। পাক-ভারত ইস্যুতে গত ৭ মার্চ হাউজ কমিটির বৈঠকেও একই কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র সেনাকর্মকর্তা জেনারেল জোসেফ ভোটেল। তার বক্তব্য, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে অব্যাহতভাবে তৎপর রয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ অঞ্চলে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে লড়াই করতে হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।’ মার্কিন সিনেটের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সিনেটর মিট রমনির মন্তব্য, কাশ্মির সমস্যার সমাধান না হলে এ অঞ্চলে কখনই শান্তি আসবে না।

স্বাধীনতার পর থেকেই কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে চার-চারটি সংঘাতে জড়িয়েছে দুই দেশ। গত মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার জেরে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা চালায় পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটি। ফলে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের এত কাছাকাছি দুই পক্ষ, যা গত দুই দশকে আর দেখা যায়নি। উত্তেজনা কিছুটা কমে এলেও পরমাণু যুদ্ধের হুমকি এখনও শেষ হয়ে যায়নি বলে বিশ্ব। গত ৮ মার্চ নিউইয়র্ক টাইমসে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের বিপজ্জনক পরিণতি হতে পারে। সংঘাতের মূল ইস্যু কাশ্মির প্রশ্নে সমাধানের আগ পর্যন্ত এই হুমকি অব্যাহত থাকবে।
আরও একধাপ এগিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তান ‘পরমাণু বিপর্যয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল’। অন্য দিকে আটলান্টিক ম্যাগাজিন বলেছে, দুই দেশই তার জনগণ থেকে সত্য আড়াল করছে এবং তারা নীরবে একটি পরমাণু যুদ্ধ পরিহার করার চেষ্টা করছে।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অঙ্গীকার করেছেন, তার দেশের মাটিকে ব্যবহার করে বিদেশে আর কোনো হামলা চালাতে দেবেন না তিনি। হিন্দুসহ কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কোনো অন্যায় হতে দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।