বিশ্বচরাচর ডেস্ক : পাকিস্তানে আবারও বিমান হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান বীরেন্দ্র সিংহ ধানোয়া। বিমান হামলার পাঁচ দিন পর গত ৪ মার্চ প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। এরপরই ফের বিমান হামলা বা সামরিক অভিযান বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমে। এ দিন কোয়মবত্তুরে ভূপাতিত মিগ-২১ বাইসনের বিষয়ে ধানোয়াকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সেই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়েই এয়ার চিফ মার্শাল বলেন, ‘আমি চলমান অপারেশনের ব্যাপারে কিছু বলব না।’ তার কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত বালাকোটেই শেষ নয়, পাকিস্তানে আরও হামলা চালাবে ভারত। ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকদের অনেকেই এমনটা মনে করছেন। খবর দ্য হিন্দুর। বিমানবাহিনী প্রধান ধানোয়ার ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক মন্তব্যও উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাক পার্লামেন্টে আটক পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এ দিন মোদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিমান হামলাকে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আগেরটা ছিল অনুশীলন; এবার হবে আসল।’
ওই দিন বিকেলেই নয়াদিল্লির বিজয়চকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিন বাহিনীর তিন শীর্ষ প্রতিনিধি। সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারির বিমান হামলার প্রসঙ্গ ছাড়াও উঠে আসে ভারতের আকাশ সীমা পেরিয়ে পাক ফাইটার জেটের ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর চেষ্টার কথা। ওই সময়ও সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল এস এন বহেল বলেন, ‘যতক্ষণ পাকিস্তানের মাটিতে তাদের সাহায্যে জঙ্গি শিবির, জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, ততক্ষণ তা ধ্বংস করার জন্য আমরা তৈরি।’
এ দিকে বালাকোটে বিমান হামলায় জঙ্গি হত্যা নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে ভারতেই। গত ২৬ ফেব্রæয়ারির ওই হামলার পরই ভারতের গণমাধ্যমে তাৎক্ষণাৎ দাবি করা হয়, হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটির ৩০০ জঙ্গি ও তাদের অন্তত ২৫ প্রশিক্ষক নিহত হয়েছে। কয়েক দিন পর গত ২ মার্চ সেই দাবি থেকে সরে এসে বিবৃতি দেন ক্ষমতাসীন বিজেপির মন্ত্রী এসএস অহলুওয়ালিয়া।
তিনি বলেন, হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। দুই দিন পর গত ৪ মার্চ বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেছেন, বালাকোটে আড়াই শতাধিক জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। অমিত শাহের এমন দাবির মধ্যেই দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বীরেন্দ্র সিংহ ধানোয়া দাবি করে বলেছেন, ‘আমরা মৃতদেহ গুনে দেখি না। শুধু দেখা হয়, নির্দিষ্ট করে দেয়া লক্ষ্যমাত্রায় নিখুঁত হামলা করা সম্ভব হয়েছে কি না। সেই দিক থেকে এ অভিযান সফল।’