কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক থেকে এবার ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। এক মাস আগেই গত ৩১ মার্চ সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ৮৪ দিনপর দানসিন্দুক খোলা হয়। পরে টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ। বিকেলে গণনা শেষে দানের এ টাকার হিসাব পাওয়া যায়। এ ছাড়াও দান বাক্স থেকে সোনা, রূপা ও বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হুছাইন, সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদ বাংলানিউজকে জানান, সাধারণত চার মাস পরপর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার এক মাস আগেই দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে টাকাগুলো গুনে নগদ ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, এই মসজিদের যখন দানবাক্সগুলো খোলা হয়, তখন সাধারণত এক কোটি টাকার কাছাকাছি পাওয়া যায়। এবার আগেই দান বাক্স খোলায় টাকার পরিমাণ কম হয়েছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে, তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সাথে যোগ করে সিন্দুকে রেখে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দানে পাওয়া গবাদিপশু ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়।
সর্বশেষ ৬ জানুয়ারি মসজিদের দানসিন্দুক খুলে গণনা করে সর্বোচ্চ এক কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি অনেক পুরনো। এখানে জুমার দিন প্রচুর লোকসমাগম হয়। মসজিদে নারীরা আলাদা নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের সঙ্গে একটি মাদরাসাও রয়েছে।