ঠিকানা রিপোর্ট: পেনসিলভেনিয়ার ল্যাফটেনেন্ট গভর্নর নির্বাচনের প্রাইমারিতে পারলেন না বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ড. নীনা আহমেদ। ডেমোক্র্যাটিক দলের ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য মনোনীত হয়েছেন জন পিটারম্যান। ড. নীনা আহমেদ দ্বিতীয় হয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯৪% ভোটের মধ্যে জন পিটারম্যান ভোট পেয়েছেন ২৭২,৪৫৮ ভোট। যার পরিমাণ ৩৮.৪%। অন্যদিকে ডা. নীনা আহমেদ পেয়েছেন ১৬৬,৫২৩ ভোট। যার পরিমাণ ২৩.৪%। বর্তমান গভর্নর কোজনি ক্যাথি তৃতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২৯,০১১। তার ভোটের পরিমাণ ১৭.৩৬%। চতুর্থ হয়েছেন স্টিক মাইক। তিনি পেয়েছেন ১০১৫০২ ভোট। যার পরিমাণ ১৮.২%। সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন সোসা রে। তিনি পেয়েছেন মাত্র ১৯৪৩৮ ভোট। যার পরিমাণ মাত্র ৩.১৭%।
মূলত: সকাল থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হলে বাংলাদেশীরা ঘরে বসে না থেকে ভোট কেন্দ্রে চলে আসেন এবং ভোটারদের উদ্ভুদ্ধ করতে থাকেন।সকাল থেকেই বিভিন্ন নির্বাচনি কেন্দ্রে গিয়ে তদারকি করছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা ডঃ ইবরুল চৌধুরী। সার্বিক দায়িত্বে থাকা ডঃ জিয়াউদ্দীন আহমেদ এবং তাদের সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন আপারডারবি কাউন্সিল্ম্যান শেখ সিদ্দীক , শাখাওয়াত হোসেন , শেখ ফরিদ, মেলবোর্ন কাউন্সিলম্যান হাসান , লান্সডেল থেকে মফিজুল ইসলাম, হ্যাটফিল্ড থেকে মোহাম্মেদ রাজ্জাক প্রমুখ।
ড. ইবরুল চৌধুরী জানান, প্রথমবার এত বড় পদে ভোট করতে গিয়ে ড. নীনা আহমেদ ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছেন। তিনি জয় লাভ না করলেও দ্বিতীয় হয়ে আমাদের গর্বিত করেছেন। আমি মনে করি বর্তমান গভর্নরকে পেছনে ফেলে নীনার দ্বিতীয় হওয়াই আমাদের জন্য বিজয়ের সমান। তিনি বলেন, ড. নীনা আহমেদ আমাদের জন্য দরজা খোলা করে রেখেছেন এবং আগামীর জন্য পথ তৈরি করেছেন।