পাল্টাপাল্টি সাধারণ সভায় একই মুখ, তবে সত্ত্বা ভিন্ন

ঠিকানা রিপোর্ট : ভবন কেনাকে কেন্দ্র করে প্রবাসে সিলেটবাসীর বৃহত্তম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনে তীব্র সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এই সঙ্কটে পড়ে পাল্টাপাল্টি সাধারণ সভা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি বহিস্কারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়- পাল্টাপাল্টি সাধারণ সভা ও বহিস্কারের সঙ্গে এমন কিছু সদস্য রয়েছেন, যাদের দ্বিচারিতা সবাইকে অবাক করেছে। অর্থাৎ যারা মইনুল ইসলামকে বহিস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন, পরের সভায় তারাই আবার বদরুল খানকে বহিস্কারের ব্যাপারে অভিন্ন মত দিয়েছেন। গত ১১ জুন রোববার উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে সংগঠনের সভাপতি বদরুল খান আহূত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তিন শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সভাপতি বদরুল খানের প্রস্তাবে সাধারণ সম্পাদক পদে মইনুল ইসলামকে চূড়ান্ত অব্যাহতি দেওয়া হয়। উপস্থিত সদস্যের মধ্যে বেশিরভাগ সদস্য হাত তুলে সমর্থন জানান। ২৫ জুন রোববার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে এক সপ্তাহ পরেই গত ১৮ জুন রোববার একইস্থানে জরুরি সাধারণ সভা আহ্বান করেন মইনুল ইসলাম। ওই সভায় তিনশতাধিক সদস্য উপস্থিত হন। একইভাবে সভার সভাপতি ও সংগঠনের সহ-সভাপতি (সুনামগঞ্জ) শাহীন কামালী এক প্রস্তাবে সংগঠনের সভাপতি বদরুল খান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক (সহ-সম্পাদক) রোকন হাকিমকে বরখাস্ত করার প্রস্তাব করেন। সাধারণ সদস্যরা এসময় দাঁড়িয়ে ও হাত তুলে তাতে সমর্থন জানান। গৃহীত হবার পর আলোচনার পথ খোলা রেখে এই বহিস্কারাদেশ ২৫ জুন রোববার থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মইনুল আহূত জরুরি সাধারণ সভায় শতাধিক সদস্য ছিলেন, যারা বদরুল খান আহূত সাধারণ সভায়ও উপস্থিত ছিলেন। তাদের বেশিরভাগই উভয়পক্ষের বহিস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। আবার অনেকে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মুরব্বিদের ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, প্রবাসে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঐক্যের প্রতীক। আমরা এই ঐক্য ধরে রাখতে চাই। তাই সিলেটবাসীর প্রাণের এই সংগঠনকে কোনোভাবে বিভক্ত করা ঠিক হবে না।