পোস্টার লেগেছে ‘হে চীন, ভারতকে সেলাম’ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ‘বাংলাদেশি খেদাও’ আন্দোলন জোরদার

মঈনুদ্দীন নাসের : আসামসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশসমূহ থেকে ‘কথিত বাংলাদেশিদের’ বিতাড়নের দাবিতে উত্তাল আন্দোলন চলছে। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় সম্ভবত এসব খবর প্রকাশ করা নিষেধ! বিশেষ করে, গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের নির্বাচনের পর এ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নিয়েছে। আসামের পত্রপত্রিকা শুধু নয়, ভারতের প্রধান প্রধান, অপেক্ষাকৃত নিরপেক্ষ, মিডিয়াতেও এ নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। অন্যতম পত্রিকা ‘দি হিন্দু’ ও ‘ফ্রন্টলাইন’ ম্যাগাজিনে এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বাঙালি নামের সবাইকেই ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে টার্গেট করা সিটিজেনশিপ (সংশোধনী) বিল-২০১৯, যা লোকসভায় গত ৮ জানুয়ারি পাস করা হয়েছে, তা বাতিল করে সব ‘বাংলাদেশি, আফগানি ও পাকিস্তানিদের’ ভারত ছাড়া করার দাবি জানাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ।

তারা বলছেন, শুধু মুসলমান নয়, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিষ্টানদের যারা উপরোল্লিখিত দেশগুলো থেকে এসেছে, তাদেরও বের করে দিতে হবে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বসতি গড়ে তোলা ভারতীয় বাংলাভাষী বাঙালি, বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিষ্টান, তাদেরও ‘বাংলাদেশি’ বলে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের প্রতিবাদ যে হবে, তা নয়াদিল্লির সংঘ পরিবারের এজেন্ট মোদি সরকারও কল্পনা করতে পারেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সিটিজেনশিপ বিল দীর্ঘদিন সংসদে নিথর পড়ে থাকলেও তা হঠাৎ করে কেন বাংলাদেশের নির্বাচনের পর পরই পাস করা হলো? আর তার পরই কেন আন্দোলনের ‘খড়ের স্তুপে’ আগুন ঢেলে দেওয়া হলো, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে গভীর আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। বেশি আলোচনার কারণ হচ্ছে বিজেপি সরকার এখন পশ্চিম বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে রাজ্যসভায় এই বিল পাস করার আহ্বান জানিয়েছে।

ক্রমবর্ধমান প্রতিবাদের কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতের বাঙালিরা ক্রমাগত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে পরিণত হচ্ছে। এতে তারা ভাষা ও সংস্কৃতিকগত পরিচয়ও হারাতে বসেছে। বাংলাদেশের অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের ধরে বহিষ্কারের পরিবর্তে যদি নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, তাহলে এ ভয় নিবিড় থেকে নিবিড়তর হবে বলে বিভিন্ন প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করা হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বের হচ্ছে মশাল মিছিল। এতে বাঙালিরা ভয়ে আড়ষ্ট। আশ্রয় নিচ্ছে গৃহকোণে। সড়কে চলাচলও তাদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।

আঞ্চলিক দল, ছাত্র-যুবক, সিভিল সোসাইটি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের হাজার হাজার সমর্থক এ বিলের বিরোধিতায় তৎপর। বিলে মুসলমান ছাড়া অন্যদের সিটিজেনশিপের জন্য আবেদন করার কথা বলা হলেও প্রতিবাদকারীরা বলছেন কেউই সিটিজেনশিপ পাবে না। তাদের ঠেলে পাঠাতে হবে, যেখান থেকে তারা এসেছে। বলা হচ্ছে, তারা এসেছে বাংলাদেশ থেকে। কারণ সেখানে বাংলাভাষীদের সংখ্যাই দৃশ্যমান।

মিজোরামের আইজাওল ও অন্যান্য অঞ্চলে হাজার হাজার প্রতিবাদকারী রাজপথে মিছিল করছে। কারো কারো হাতে প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছে : ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া।’ অর্থাৎ ‘হে চীন, ভারতকে সেলাম।’ এরপর দেখা গেছে, মিজোরামে গত ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় রিপাবলিকান ডে সম্পূর্ণরূপে বয়কট করা হয়েছে। সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে চীনের প্রভাব ক্রমান্বয়ে জোরালো হচ্ছে। ভেতর থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ এই বিলের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছিলেন। ৪ জানুয়ারি মোদি বলেন, তারা বিল পাস করতে যাচ্ছেন। আর ৮ জানুয়ারি লোকসভায় তা পাস হলো। ২ ফেব্রুয়ারি মোদি পশ্চিম বাংলার ঠাকুরনগর সমাবেশে তৃণমূলকে রাজ্যসভায় বিলটি পাস করতে বলেন। এ নিয়ে ফেব্রæয়ারিজুড়ে আন্দোলন-সংগ্রাম হলো উত্তর-পূর্বাঞ্চলে।

বিজেপি ও সংঘ পরিবার যেভাবে বিলটি পাস করল, তাতে মনে হয়, তারা হিন্দুত্বকে সিটিজেনশিপ আইন সংশোধনের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে চাচ্ছে। ভারতে কোনো হিন্দুকে অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে গণ্য করা যাবে না, সংঘ পরিবারের সব শাখার যুক্তিও তাই। কিন্তু ১০টি আঞ্চলিক সংগঠন, যার মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোট (ঘঊউঅ)-এর অঙ্গদলসমূহও রয়েছে, তার মধ্যে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সংঘমা, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরাসতঙ্গা এবং আসাম গণপরিষদের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে গত ২৯ জানুয়ারি গোয়াহাটিতে বৈঠকে বসে। বৈঠকে তারা যৌথভাবে এ সিটিজেনশিপ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিজেপির মিত্র জনতা দলও (ঐক্য) বৈঠকে উপস্থিত ছিল।
একসময় এই ঘঊউঅ (ঘঙজঞঐ-ঊঅঝঞ উঊগঙঈজঅঞওঈ অখখওঅঘঈঊ)-র নেতৃত্বে ছিল বিজেপি। যারা ২০১৬ সালে কংগ্রেসমুক্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য আন্দোলন করেছিল। মেঘালয়ের প্রধান শাসকগোষ্ঠী ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি (এনপিপি), মিজোরামের ক্ষমতাসীন দল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং নাগাল্যান্ড বিজেপির কোয়ালিশন পার্টনার ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি একযোগে আসাম গণপরিষদের সঙ্গে হাত মেলায়। তাদের সঙ্গে অন্যান্য আঞ্চলিক দলসমূহও বিলের বিরোধিতা করে। আর এতেই প্রতীয়মান হয় যে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘঊউঅ-এর ওপর বিজেপির নিয়ন্ত্রণ হালকা হয়ে পড়ছে। ‘আসাম গণপরিষদ’ আসামে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার ছেড়ে দিয়েছে। পরিষদ বিজেপির সঙ্গে বন্ধন ছিন্ন করেছে। লোকসভায় সংশোধিত নাগরিক বিল পাসের একদিন আগে, গত ৭ জানুয়ারি, ঘঊউঅ-এর সঙ্গেও কেটে দিয়েছে সব ধরনের যোগসূত্র।
এসব বিষয়ে যখন পরিস্থিতি ভিন্ন মোড় নিয়েছে, তখন অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এএএসইউ)-এর অঙ্গসংগঠন নর্থ-ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন প্রথমবারের মতো কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্যসভায় বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানায়, যা আসামে রাজনৈতিক ঝড়ের সৃষ্টি করেছে। আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার তারা কংগ্রেসের সাহায্য চেয়েছে। বিষয়টি অনেকটাই বিস্ময়কর।

সর্ব আসাম ছাত্র ইউনিয়নের কংগ্রেসমুখী নীতি : কংগ্রেসের কাছে সাহায্য চাওয়ার কারণে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নকে বর্জন করেছে আসামের বিজেপি। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানওয়ান ও বিজেপির রাজ্য দলের প্রেসিডেন্ট রঞ্জিত কুমার দাস ছাত্রদের এই কংগ্রেসমুখী নীতির কারণে বলেন, কংগ্রেসের কাছে আশ্রয় চাওয়া এএএসইউর জন্য দুর্ভাগ্যজনক। কারণ এই কংগ্রেসই আসাম আন্দোলনের সময় ৮৫৫ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
গত ৩০ জানুয়ারি বিষয়টি এমন দাঁড়ায় যে ২০১৬ সালে আসাম আন্দোলনে ৮৫৫ জন মৃতের মধ্যে ৭৬ শহীদের পরিবার বিজেপি সরকারের দেওয়া মেমেনটোস বা প্রতীক মূর্তি ফেরত দিয়ে আসে। ১৯৭৯ সালে আসামের ছাত্ররা আন্দোলনের সূত্রপাতের পর ১৯৮৫ সালে সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়।

বিজেপির সরকার মেমেনটোস ও এককালীন ৫ লাখ রুপি করে প্রতিটি শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়। শহীদ পরিবারের সদস্যরা আসাম ছাত্র ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ে সমবেত হয়। গোয়াহাটিতে এবং সাধু আসাম জাতীয় শহীদ পারিয়াল সমন্বয় রাখী পরিষদ, কামরূপ (মেট্রোপলিটন) ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে মেমেনটাসগুলো অফিসারদের কাছে জমা দেয়। বিজেপি বলে, কংগ্রেসে ও কমিউনিস্টরা এই প্রতিবাদের আয়োজন করেছে। কংগ্রেস ও বাম দলসমূহও এ বিলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে।
আসাম গণপরিষদ (এজিপি) বলেছে, বিজেপি তাদের দাাবির প্রতি নজর না দেওয়ায় তারা কংগ্রেসের সমর্থন চাইতে বাধ্য হয়েছে।
আসাম গণপরিষদ প্রেসিডেন্ট অতুল বোরা বলেন, এখন রাজ্যসভায় এই বিলের পক্ষে কংগ্রেস ভোট দেয় কি না, তা দেখা হবে। এজিপির পজিশন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নয়া মেরুকরণের ইঙ্গিত বহন করছে। অথচ বিজেপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আসাম ছাত্র ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে।

মুখ্যমন্ত্রী সনোয়াল একসময় ছাত্র পরিষদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি অবৈধ মাইগ্রেন্ট (ডিটারমিনেশন বাই ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট ১৯৮৩-তে আবেদনকারী ছিলেন। যখন সুপ্রিম কোর্ট ২০০৫ সালে এ আইন বাতিল করে, তখন তাকে সম্মান জানিয়ে ‘জাতীয় নায়ক’ অভিধায় অভিষিক্ত করা হয়।
মোদি কেবিনেট যখন গত ৭ জানুয়ারি সিটিজেনশিপ সংশোধনী আইন-২০১৯ পাস করে, তখন উত্তর-পূর্ব স্টুডেন্টস অর্গাইজেশনের উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য প্রধানমন্ত্রী মোদি, মুখ্যমন্ত্রী সনোয়াল ও বিজেপিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, তারা প্রতিজ্ঞা করেছিল আসাম চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত এবং বাংলাদেশিদের বিতাড়িত করা হবে। কিন্তু লোকসভায় এ বিল পাস করে তারা প্রমাণ করল যে, তারা বাংলাদেশিদের (হিন্দুসহ অন্য সব ধর্মাবলম্বী নির্বিশেষে) ভোট ব্যাংকক সৃষ্টি করতে চায়।

রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আসাম ছাত্রদের বৈঠকের যে সমালোচনা বিজেপি করেছে, তার জবাবে সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, আমরা রাহুল গান্ধী ও অন্য নেতাদের কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সকে রাজ্যসভায় এ বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য বলেছি।
ছাত্রনেতারা বলেন, ১৯৭১-এর ২৪ মার্চের পর যারা এ দেশে এসেছে, তারা হিন্দু-মুসলমান যা-ই হোক, তাদের অবৈধ বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে বহিষ্কার করতে হবে।
এই সমীকরণ একটি কথাই বারবার তুলে এনেছে, মুসলিমরা বিজেপি ও কংগ্রেস উভয়ের টার্গেটে পরিণত হতে চলেছে। একমাত্র আসাম ও অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যের স্থানীয় জনগণ ছাড়া হিন্দু ও অন্য ধর্মাবলম্বীরা এখনো সরাসরি কোনো গ্রুপের টার্গেট নয়। কংগ্রেস কারো বিরুদ্ধে এখনো যদিও কোনো কথা বলেনি, তার পরও আসাম ছাত্রদের সাথে সখ্য তাদের উদ্দেশ্যকে পরিষ্কার করেছে। এই উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে যারা পশ্চিম বাংলার বাঙালি, এখন সেখানে বসবাস করছে, তাদেরকেও বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশব্যাক করার কায়দাকানুন নিয়ে কৌশল আঁটা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে আসাম সরকার সংসদে জানিয়েছে, ১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত আসামে বিদেশিদের বিরুদ্ধে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে বিভিন্ন বিদেশি ট্রাইব্যুনাল ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬৪ জনকে বিদেশি এবং ১ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জনকে ভারতীয় হিসেবে ঘোষণা করেছে। ১৯৮৫ থেকে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৯ হাজার ৮২৯ জন বাংলাদেশিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সংখ্যা আসাম ও অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যসমূহে রাজনৈতিক উত্তেজনাকে যে বাড়িয়ে তুলছে, তা বলাই বাহুল্য। এই বহিষ্কৃতরা কি বাংলাদেশে এসেছে? এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কোনো কথা নেই।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এটাই প্রতীয়মান হয়, শুধু মুসলমান ছাড়া হিন্দু ও অন্য ধর্মীয় লোকদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করে এ বিলের মাধ্যমে ভারত স্থায়ীভাবে প্রতিবেশীদের মধ্যে নিজেদের কুইজ লিংক চালু করতে চাইছে। আর এতে বাংলাদেশই হবে তাদের প্রধান টার্গেট।