প্রতীক্ষা

সালেহীন সাজু

তুমি চাইলেই আসতে পারতে সহস্র বছর আগের কোনো এক প্রাচীন জনপদে; নীল নয়নে ঝড় তুলতে পারতে প্রাচীন পানশালা-সুরার গ্লাসে; তোমার রূপ-যৌবনে মুগ্ধ হয়ে
শ্বেতপাথরে প্রেমের প্রথম কবিতা লিখতেন কোনো এক প্রাচীন কবি; পাললিক শিলার অন্তরে, খুব যত্ন করে, কোনো এক চিত্রশিল্পী খোদাই করে এঁকে দিতেন পৃথিবীর সবচেয়ে লাস্যময়ী নারীর ছবি। হয়তো তার বহু, বহুকাল পরে ওল্ড টেস্টামেন্ট কিংবা
নিউ টেস্টামেন্টের কোনো সূত্র ধরে, তোমাকে নিয়ে লেখা সেই প্রেমের কবিতা কিংবা মূল্যবান ছবি উদ্ধারে কায়রো থেকে এথেন্স
কিংবা এজিয়ান সাগরের বিশাল-বিস্তীর্ণ উপকূলে শতকের পরে শতক ধরে চলত অবিরাম প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁড়াখুঁড়ি;

হয়তো তুমি হতে পারতে বিলকিস-সাবার সম্রাজ্ঞী, পেতে
পারতে নিমন্ত্রণ-সুলাইমানি চিঠি, চাইলেই তুমি হতে পারতে সৌন্দর্যের প্রতীক নেফারতিতি কিংবা অনন্যা সুন্দরী ক্লিওপেট্রা-সেনাপতি মার্ক এন্টিনির প্রেম প্রণয়িনী। হতে পারতে সম্রাট সেলিমের চতুর, সুন্দরী সহধর্মিণী কিংবা শাহজাহানের জীবনসঙ্গিনী মমতাজ-তোমার নামেই যমুনার তীরে গড়ে উঠতে পারত তাজমহল-প্রেমের প্রাসাদ।

যদি বলি সহস্র সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে তুমি স্বর্গে সহস্র বছর প্রতীক্ষায় ছিলে এই আমার মর্ত্যে আগমনের জন্য কিংবা এই আমি প্রতীক্ষায় ছিলাম তোমার জন্য; তবে কি ভুল বলা হবে?