ঢাকা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলার পর প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তায় উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানে সে দেশের সরকারকে আমরা অনুরোধ করছি।
গত ১৭ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজক বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, সম্প্রতি বাংলাদেশের আহŸায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদ সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী ও ডিকাবের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। অনুষ্ঠানে ড. মোমেন বলেন, এত বড় একটা ঘটনা ঘটল অথচ এটাকে কেউ টেরোরিস্ট হামলা বলেনি। এর আগে বিভিন্ন সময় আমেরিকায় আমাদের প্রায় ৪৮ প্রবাসী বাংলাদেশি আততায়ী হামলায় নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ক্রাইস্টচার্চে হামলায় নিহতদের সংখ্যা বাড়ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা একটা হিসাব করেছি মৃতদেহগুলো আনতে কী রকম খরচ লাগতে পারে। সরকারিভাবেই আমরা এটি করব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায়ই বিমানবন্দরগুলোতে হয়রানির শিকার হন। আমরা এ বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনার পর হাইকমিশনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কোনো ঘাটতি ছিল না, নেই। এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কালচার অব পিস বা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক একটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব। এর মধ্য দিয়ে অপরের ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা বাড়বে। ফলে হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি কমবে। তিনি বলেন, আমরা নিউজিল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। এ ছাড়া বিশ্বের যেখানেই আমাদের খেলোয়াড়রা খেলতে যাবেন, আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই তাদের সেখানে পাঠাব। অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ক্রাইস্টচার্চ হামলার ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।