ঠিকানা রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীরা বাংলাদেশে অর্থ বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু বিনিয়োগের পরিবেশ ও প্রক্রিয়াতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সহজ নয়। বিদেশে থেকে যারা দেশে বিদিশে বিনয়োগ করতে যান তখন তাদেরকে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও প্রবাসীদের বিনিয়োগের জন্য একটি ইকোনমিক জোন থাকলে আরও ভাল হয়। এছাড়াও প্রবাসী একজন যখন দেশে যান তাকে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বাসা পর্যন্ত যেতে শুরু হয় নানা ধরণের হয়রানী। ঝক্কি ঝামেলাতো আছেই। এসব বিষয়গুলো নিরসন করা দরকার। প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগ করার জন্য গিয়েও সব সময় বিনিয়োগ করতে পারে না বিভিন্ন অফিসের অসহযোগিতার কারণে। এইসব বিষয়গুলো যত দ্রুত সম্ভব নিরসন করা প্রয়োজন। আইডি কার্ডের সমস্যা রয়েছে। এই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিতে হবে এই সব দাবি তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান খান, এন আর বি এর চেয়ারম্যা মো. মোশরারফ হোসেন ভুঁইয়া ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মহিউদ্দিনকে অবহিত করেন আমেরিকান বাংলাদেশী বিজনেস এলাইন্সের নেতৃবৃন্দ ও আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের কয়েকেজন। তারা বাংলাদেশে প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করারও অনুরোধ জানান। সেই সঙ্গে ওয়ান স্টপ সার্ভিসও চালু করার দাবি জানান। অর্থ উপদেষ্টা, এন আর বি চেয়ারম্যান প্রবাসীদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন ও তাদেরকে বেশ কিছু বিষয়ে আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে অবশ্যই প্রবাসীদের প্রস্তাব লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
২৪ সেপ্টেম্বর রাতে নিউইয়র্কে হোটেল ম্যারিয়টে আমেরিকান বাংলাদেশী বিজনেস এলাইন্স (আববা) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ১০ম অ্যানুয়াল বিজনেস সামিট। সন্ধ্যা ছয়টা অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় রাত আটটার পর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। এমপি সেলিম উদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুইয়া, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো: শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আফজাল আহমেদ,সেন্টার ফর এনআরবি গ্লোবালের চেয়ারম্যান শাকিল চৌধুরী, গেস্ট অব অনার এনআরবি ব্যাংক ও আল হেরামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহম্মদ মাহতাবুর রহমান (নাছির), সেমিনারের পেনালিস্ট ছিলেন, এয়াকুব আলী খান, সিপিএ, মোহম্মদ এন মজুমদার, ইসমাইল আহমেদ, জুবায়ের চৌধুরী মোহম্মদ জন ফাহিম, এইচ বুশ ফিশার। অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন মোহম্মদ জহিরুল ইসলাম, কনভেনর বিশিষ্ট রিয়েলটর মেগা রিয়েলটি হোমের কর্ণধার মইনুল ইসলাম, মেম্বার সেক্রেটারী ইয়াকুব আলী খান, এক্সিকিউটিভ কো কনভেনর মো: বেলাল চৌধুরী, চিফ কো অর্ডিনেটর ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, জয়েন্ট মেম্বার সেক্রেটারী এ এফ মেজবাহউজ্জামান প্রমুখ। তারা সকলেই বক্তৃতা করেন।
এমপি সেলিম উদ্দিন বলেন, প্রবাসীদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এই জন্য বিলও সংসদে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাপারে আন্তরিক। সংসদে গেলে তিনি ওই বিল পাস করে দিবেন। আশা করা যায় প্রবাসীদের জন্য আগামী দিনে ওয়ান স্টপ সেবা চালু হবে।
অনুষ্ঠানে ক্ইুন্স বরো আগামী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এলিজাবেদ ক্রাউলী বলেন, কুইন্সে স্মল বিজনেসে বাংলাদেশীরা খুবই ভাল করবে। আগামীতে আরও ভাল করবে বলে আশা করছি। বাংলাদেশীদের তিনি এনার্জি, সেনস আছে। বিজনেস লিডার হিসাবেও তারা ভাল করছে। আমরা একসাথে কাজ করবো। বাংলাদেশ কমিউনিটি এখানে খুব ভাল কাজ করছে। ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, এখান থেকে কেউ দেশে ব্যবসা করতে গেলে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে কয়েকদিন ব্যবসার জন্য ঘুরাঘুরি করলে আর এই দেশে ব্যবসা করার ইচ্ছে থাকে না। বাংলাদেশে যারা ব্যবসা করতে চান তাদেরকে সহযোগিতা করবেন বলে আমি সরকারের উর্ধ্বতনদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অনেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
অন্যান্য দেশের (চীন, নেপাল) মানুষ তার দেশে থাকা তার সম্পদ বিক্রি করে এই দেশে অর্থ নিয়ে আসতে পারেন ও এখানে বাড়ি কিনতে পারেন, ব্যবসা করতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশ থেকে টাকা এখানে আনতে দেওয়া হয় না। এটা ঠিক না। আমাদেরকেও এই সুযোগ দিতে হবে। আমরা যাতে প্রয়োজনীয় ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারি সেই ব্যাপারে সুযোগ তৈরি করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করবো।
এবিএইচ ফার্মার চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৩ বছর বয়সে এসেছিলাম এই দেশে, আসার পর থেকেই চিন্তা করেছি দেশের মানুষকে সহযোগিতা করবো, ব্যবসা করবো। সেই স্বপ্ন আজও পূরণ করতে পারিনি। তবে চেষ্টা করবো। সবাই মনে করে এই দেশে আমরা স্বর্গের রাজ্যে বাস করি, অনেক ভাল আছি। আসলে আমরা অত ভাল নেই। আমরা দেশের জন্য কিছু করতে চাই, সব সময় সহযোগিতা মিলে না। দেশের অনেকেরই আন্তরিকতার অভাব আছে। সেই অভাবটি দূর করা দরকার। আমরা বিদেশে যারা আছি তাদেকে একটি জায়গা দেওয়া দরকার। দেশে ব্যবসা করতে বাঁধা না পাই। বাংলাদেশের উন্নতি করার জন্য আরো কাজ করতে পারি। ইন্টারকানেকশন ব্যবস্থা করে দেওয়ার বিষয়েও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
মোহম্মদ এন মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ থেকে টাকা আনা যায় না। কিন্তু টাকা আনার সুযোগ দিতে হবে। এখানে চীনে যার সম্পদ আছে তিনি তাদের ওই সম্পদের বিপরীতে এখানে ঋন নিতে পারে। তারা সহজেই বাড়ি কিনতে পারে। আমাদের দেশের মানুষেরা এখানে সেটা পারে না। তিনি বলেন, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। আগামী প্রজন্ম যাতে এখান থেকে দেশে যেতে আগ্রহী হয় সেই ব্যাপারেও সুযোগ তৈরি করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য শিক্ষা বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করতে হবে। অর্থ উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ থাকবে যাতে তারা এমন কিছু করেন আগামী প্রজন্ম দেশে ফিরতে চায়।
এনআরবি এর চেয়ারম্যান এমএইচ চৌধুরী বলেন, প্রবাসে আপনার নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাই। একের জায়গার সমস্যা একেক রকম। এই সমস্যা আলাদা আলাদা করে শুনছি ও সমাধানের জন্য সরকবার উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা কাজ করছি। আপনারা বাংলাদেশে আসেন। আপনাদের জন্য সেখানে সুযোগ রয়েছে। আপনারা যদি সেখানে ব্যবসা করতে চান তাহলে সুনির্দিষ্ট করে লিখিত প্রস্তাব দিন। সেই প্রস্তাবের আলোকে আমরা কাজ করবো। মুখে এই ভাবে বললে আসলে এখন আমরা শুনবো। প্লেনে উঠতে উঠতে হয়তো ভুলে যাবো। কিন্তু লিখিত হলে সেটা হবে না। এই কারণে দেশে ব্যবসার জন্য আপনারা কি করতে চান, কেমন করে করতে চান। কোন এলাকায় ব্যবসায়িক জোন চান সেটাও লিখুন। সরকার সেটি দেখবে। আপনারা অবশ্যই ন্যাশনাল আইডি কার্ডটি করিয়ে নিবেন। কারণ দেশে বেশিরভাগ সেবা নিতে এই কার্ড লাগে। তাই এখন কার্ড না করলে পরে নানা রকম সমস্যা হবে। আপনারা ভোটাধিকার চান, সেই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক, কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখন ওইভাবে পারবে না। সময় লাগবে। তবে এইটুকু আশা করা যায় আগামীতে হবে।
জাকারিয়া মাসুদ জিকো বলেন, আমাদের ইচ্ছে আছে দেশে ফিরে যাওয়ার ও সেখানে গিয়ে কিছ করার। দেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। সেটা কাটিয়ে উঠতে পারলে প্রবাসীদের পক্ষে অনেক কিছু করা সম্ভব।
আল হেরামাইন গ্রুপের ও এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান বলেন, ৪০ বছর ধরে আমি প্রবাসী। মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করছি। আপনারা এখানে ভাল আছেন। এখানে সিটিজেনশিপ পান। কিন্তু আমরা ওখানে সারাজীবন ব্যবসা করে মরে গেলেও সিটিজেনশিপতো দিবে না। উল্টো মরে গেলেও লাশ দাফন করতে দেওয়া হয় না। এখানে প্রবাসীদের দাবি দাওয়ার অনেকগুলো বিষয় উঠে এসেছে। সেই সব বিষয়গুলো অর্থ উপদেষ্টা দেখবেন ও সরকারকে বলবেন বলে আশা করি। প্রবাসীদের সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।
অনেকেই দেশে ব্যবসা করতে গিয়ে প্রতারনার শিকার হন। দেশে ব্যবসা করতে চান। তারা যাতে ব্যবসা করতে পারেন এই জন্য ইকোনমিক জোন করে দিতে হবে। ওয়ানস্প সার্ভিসের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রবাসীরা সেখানে বিনিয়োগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানী করবে। আমরা এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক করেছি। আমরা আমাদের ওখানে বিজনেস কাউন্সিল করেছি। এরমাধ্যমে প্রবাসীদের সহায়তা করি। এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে কাজ করছি। তারাও সহযোগিতা করছে। আমি বাংলাদেশে পাঁচবার সিআইপি হয়েছি। সিআইপি হয়েছি সর্বোচ্চ রেমিন্সে প্রেরণ কারী হিসাবে এক নম্বর। আমি আরও বেশি রেমিটেন্স পাঠাতে চাই।
তিনি বলেন, আমি মনে করি নতুন প্রজন্মের প্রবাসীদের নিয়ে দেশে কোটা ভিত্তিক সরকারী চাকরির ব্যবস্থা করা দরকার। তাহলে অনেক ছেলে মেয়ে এই দেশ থেকে দেশে গিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে আগ্রহী হবে। তিনি নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশীদের জন্য ওয়েজ আর্নার বন্ড, সোনালী ব্যাংক বন্ড সহ বিভিন্ন বন্ডে বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ডলার বন্ডে সাতে ছয় ভাগ আর টাকা বন্ডে সাড়ে বারো ভাগ লাভ মিলে। তিনি বলেন, আপনারা সবাই বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠান। সিআইপি হওয়ার সুযোগ নিন। দেশে গেলে আপনারা এফসি অ্যাকাউন্ট করে আসবেন। সেখানে আপনি যত ডলার রাখবেন। সেই পরিমান ডলার আপনি বিদেশে খরচ করতে পারবেন। এই জন্য আলাদা করে কোন অনুমতি লাগবে না।
অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী অর্তনৈতিক উন্নতির গতি আরও বাড়াতে অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটি করেছেন। এই কমিটি বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে তারা কি চায় তা জানতে চান।সেই প্রেক্ষিতে উন্নয়ন করতে হবে। নেত্রী চান জনগন যেভাবে উন্নতি চান সেইভাবে উন্নতি করা হবে।
তিনি বলেন,এখানে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলেছেন। আমি শুনেছি। দেশে ব্যবসায়ীদের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। যারা দেশে বড় ধরণের বিনিয়োগ করতে চান তাদের জন্য কোন সমস্যা নেই। যারা প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগ করবেন তারা দেশে থেকে মুনাফা আনতে পারবেন, তবে মূল টাকা আনতে সহজ হবে না।
বিদেশ থেকে কেউ গিয়ে যদি দেশে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে তিনি যে বিনয়োগ করছেন সেটা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি লাগবে না, তবে অবহিত করতে হবে। মূলধন ফেরত আনতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। কারণ এই ব্যাপারে তাদের কর্তৃত্ব আছে।
দেশে ১০০ ইকোনমিক জোন আছে। এক একটি জোনের আয়তন ১৫০ থেকে ২০০ একর। আপনারা যদি এই ধরণের জোনে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাদের প্রস্তাব দিতে হবে। নিজে বিনিয়োগ করতে হবে। নজরদারিও করতে হবে। আপনাদের কোম্পানী থাকতে হবে, একটি ম্যানেজমেন্ট থাকতে হবে। বিশস্ত মানুষ দিয়ে পরিচালনা করলে ভাল হবে।
এয়ারপোর্টের ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে আরও ভাল হয়েছে। আপনারা বিনিয়োগ করতে চাইলে বিনিয়োগ করলে কি করতে চান, বিনিয়োগ সহজ করার জন্য প্রস্তাব দেন। আপনারা ইনভেস্ট করতে চাইলে ডলার বন্ড ও টাকার বন্ডও কিনতে পারেন।
আপনারা এই দেশে সব কাজ অনেক সহজে করতে অভ্যস্ত। আমাদের দেশে অনেক কিছুই এই দেশের মতো এত সহজ না। তাই অনেক সময় আপনাদের কাছে দেশের কিছু কিছু ব্যবস্থা সমস্যা মনে হতে পারে। তাই একটু অভ্যস্তও হতে হবে।
তিনি বলেন, একজন বিদেশে পড়া ছেলে মেয়েদের চাকরি দেওয়ার জন্য কোটা বরাদ্দের কথা বলেছেন। আমার মনে হয় আপনারা আপনার সন্তানদের কােেছ জানতে চান দেখবেন তারা প্রতিযোগিতা ভিত্তিকও চাকরি চাইবে। আর এখানে যারা পড়েন তারা দেশে গিয়ে চাকরি করতে চাইবে না। এখানেই থাকতে চাইবে। প্রধামন্ত্রী নিজেও কোটার বিপক্ষে। সংবিধানে পশ্চাদপদদের কিছুটা সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেটা দিলে কোন সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, চীন থেকে এখানে অর্থ আনা যায়, তারা তাদের দেশে সম্পদ থাকলে এর বিপরীতে ঋন নিতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশ থেকে সম্ভব হবে না। আইন কানুনও একই রকম না। দেশে আইডি জটিলতা এখন আছে। এটা হয়তো সাময়িক। পরে এই অসুবিধা থাকবে না। আপনারা আইডি করিয়ে নিবেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, এয়ারপোর্ট চলে কার নির্দেশে এটা বের করতেই আমাদের অনেক সময় লেগে যায়। কারণ সেখানে সিভিল এভিয়েশন, কাস্টমস ও বিমানের লোক কাজ করে। এর কাছে ওর কাছে যেতে বলে সমস্যা হলে। আর একটি লাগেজ আসতে দেড় দুই ঘন্টা সময় লাগে। এই সময় কমা দরকার। আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে তবে তা যথেষ্ট নয়। অনেক সময় আমাদের স্যাম্পলের জন্য যে কাপড় আসে সেই কাপড় দেরীতে পৌঁছার কারণে আমরা ২ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার হারাই। আসলে এগুলো পরিবর্তনের কথা আমরা বলেছি। আশা করি আস্তে আস্তে উন্নতি হবে। দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮। উন্নতি হচ্ছে আরও হবে। সেই দিন বেশি দূরে না। তাই বলবো আপনারা আসেন বিনিয়োগ করেন।
এছাড়াও প্রবাসীদের আরও বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন নেতৃবৃন্দ। তারা সরকারের সহযোগতিা চান। মশিউর রহমান বিষয় গুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। সবশেষে অনুষ্ঠানের কনভেনর মইনুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।