প্রবাসী নারীদের চোখে নির্বাচন

বিশেষ প্রতিবেদন : মার্কিন নির্বাচন একেবারে দোরগোড়ায়। বাকি মাত্র ৫ দিন। ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান-দুই দলের সমর্থকেরাই নিজ নিজ প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে কোনো পক্ষই নিশ্চিত নয়।
রিপাবলিকানদের আশা গত নির্বাচনের ফলাফলেরই পুনরাবৃত্তি হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পই পুনর্নির্বাচিত হবেন। আর ডেমোক্র্যাটরা আশাবাদী, হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন তাদেরই প্রতিনিধি জো বাইডেন। মার্কিন নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বেই ব্যাপক কৌতূহল। এবারের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকানদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নির্বাচন নিয়ে রোমাঞ্চিত। তারাও নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গিতে মূল্যায়ন করছেন এই নির্বাচনকে। নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি পেশাজীবী নারীদের চোখে দেখে নেওয়া যাক মার্কিন নির্বাচনের আদ্যোপান্ত।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও কংগ্রেশনাল নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট-২৬ এর কংগ্রেসওমেন পদে সাবেক প্রার্থী বদরুন নাহার খান মিতা বলেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের পক্ষে রয়েছে পুরো পরিস্থিতি। আমরা তার সমর্থক। তার জয়ের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী তিনি নির্বাচনে জয়ী হবেন। মিতা গত শনিবার আগাম ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ লাইন থাকায় ভোট দিতে পারেননি। ভাবছেন আরেক দিন পুরো পরিবার নিয়ে সকাল সকাল ভোট দিয়ে আসবেন। তার আশা, বাইডেনই জয়ী হবেন। মিতার মতে, বাইডেন বিজয়ী হলে ইমিগ্র্যান্টদের জন্য সুবিধা হবে।
নিউ আমেরিকান ওমেন্স ফোরামের সভাপতি ও আশার প্রেসিডেন্ট রুবাইয়া রহমান বলেন, মেইলিং ভোটের মাধ্যমে তিনি ইতিমধ্যে জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছেন। তার মতে, ফ্লোরিডা স্টেটের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। সেই সঙ্গে সুইং স্টেটের ভোটও ফ্যাক্টর হবে। ইলেকটোরাল ভোটের বিষয়ে শঙ্কা থাকলেও পপুলার ভোটে বাইডেন নিশ্চিত বিজয়ী হবেন বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস। তিনি বাইডেনকে ভোট দিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জানান। সবকিছুর পরও তার বিশ্বাস, ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী বাইডেনই জয়ী হবেন।
অ্যাটর্নি ও ব্যারিস্টার ইশরাত সামী জানান, তিনি এখনো ভোট দেননি। ভোটে কে জয়ী হবেন, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তার মতে, ভোটারদের চিন্তাভাবনা করে ভোট দেওয়া উচিত। কোনো ভোটারই যেন ভোটদান থেকে বিরত না থাকেন। তিনি বলেন, মার্কিন নির্বাচনে পপুলার ভোট নয়, ইলেকটোরাল ভোটই বড় ভূমিকা রাখবে।
ব্রঙ্কস বাংলাদেশ ওমেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস-বাফার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, লম্বা লাইনের কারণে এখনো ভোট দিতে পারেননি। তবে আশা করছেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে আগাম ভোট দেবেন।
বাইডেন নাকি ট্রাম্প জয়ী হবেন-সেটা এখনো অনুমান করতে পারছেন না তিনি। তার মতে, শ্বেতাঙ্গদের ভোট যাবে ট্রাম্পের বাক্সে। তবে নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থক বেশি। তাই কী হচ্ছে তা দেখার জন্য ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ড্রামের সাংগঠনিক পরিচালক কাজী ফৌজিয়া বলেন, তিনি আগাম ভোট দেবেন। তার বিশ্লেষণ হচ্ছে, জো বাইডেনই হতে চলেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।