ঠিকানা অনলাইন : সাদিও মানে। বর্তমান ফুটবল বিশ্বের জগতে যে কয়জন ধর্মভীরু ফুটবলার রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন সেনেগালের এই তারকা। তিনি সর্বদা ইসলামের নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করেন। সেটা মাঠের বাইরে ও ভিতরে সব জায়গাতেই। খেলার মাঠেও ধর্মভীরুতার পরিচয় দেওয়ায় পশ্চিমা গণমাধ্যমের ছাঁচাছোলা কথা শুনতে হয় মানেকে। কিন্তু তার পরও এ ব্যাপারে কোনো আপোস করেননি ৩৩ বছর বয়সী এ ফুটবলার।

বরং তারকা এই ফরোয়ার্ডের প্রভাবেই ইংল্যান্ডের মার্সেসাইড শহরে ইসলাম গ্রহণে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুলে থাকাকালীন অলরেডদের অনেক সমর্থকদের প্রচণ্ড প্রভাবিত করেছে তার এই ধর্মভীরুতা।
সম্প্রতি আবার আলোচনা এ ফুটবলার। আবারও সেই ধর্মীয় ইস্যু। চলতি মৌসুমে লিভারপুল ছেড়ে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন মানে। এখানে যোগ দিয়ে নিজের সামর্থ্যের কথা জানান দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এবার বাভারিয়ানদের ঐতিহ্যবাহী ‘বিয়ার উৎসবে’ বিয়ার হাতে না নিয়ে ফটোশ্যুট করে মুসলমানদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
বেশ কয়েক বছর ধরেই রীতি অনুসারে নতুন মৌসুমের শুরুতে বিয়ার উৎসব করে বাভারিয়ানরা। যেটি ‘অক্টোবর ফেস্ট’ নামে পরিচিত। এবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। উৎসব শেষে সব বায়ার্ন ফুটবলাররা একসঙ্গে বসে ছবি তুলেন। ছবিতে উপস্থিত ৩১ জন সদস্যের মধ্যে সাদিও মানে ও মরক্কোর ডিফেন্ডার নুসাইর মাজরাউইও বিয়ার উৎসবে খালি হাতে থাকেন।
বায়ার্ন মিউনিখ নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশ পাওয়া ছবিতে দেখা যায় সামনের সারিতে বসে থাকা সাদিও মানে তার দুহাত একসঙ্গে করে দুপায়ের মাঝে রেখে চুপচাপ বসে আছেন। এই উৎসবে তিনি কতটা অস্বস্তিতে ছিলেন তা ছবি দেখেই অনুমেয়।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারিতে লিভারপুলের হয়ে কারাবাও কাপ জয়ে পর মানে সতীর্থ তাকুমি মিনামিনোকে উদযাপনের সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে শ্যাম্পেন স্প্রে না করার জন্য অনুরোধ করেন। পরে সতীর্থ তাকুমি সেনেগালিজ তারকার সে অনুরোধ রাখেন।
ঠিকানা/এম