কুষ্টিয়া : গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রেম মানে না বারণ, মানে না শাসন, মানে না জাত-পাত কাল ভেদ অভেদ ধর্ম জাতি ও দেশ। সব বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে সীমান্তরক্ষীদের কড়া নজরদারিকে ভয় না করে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ভারত থেকে এক নারী বাংলাদেশি যুবকের প্রেমে পড়ে দেশ ছেড়েছে। এখন তারা ঘর বেঁধেছে সুখ ও স্বপ্নের। ঘটনাটি ঘটেছে দৌলতপুর সীমান্তে। এ নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠকও হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিম বাংলার নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার চরমেঘনা গ্রামের বিশ্বজিত বিশ্বাসের মেয়ে সঞ্জনা বিশ্বাস (১৯) প্রেমের টানে ভারত সীমানা পেরিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে চলে আসে। দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে লাবু মিয়ার হাত ধরে ঢাকায় গিয়ে ঘর বাঁধে। এ ঘটনায় মেয়েটিকে ফেরত চেয়ে বিএসএফ বিজিবিকে পত্র দেয়। পত্র পেয়ে বিজিবি জামালপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর বাড়ি গিয়ে ভারতীয় মেয়ের সন্ধান চাইলে পরিবারের লোকজন বিজিবিকে জানায়, তারা বাড়ির কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় চলে গেছে। এ নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় জামালপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের চরমেঘনা ক্যাম্পের অধিনায়ক ইন্সপেক্টর বান কে সিং এবং বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধীনস্থ প্রাগপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক নায়েক সুবেদার সুবোধ পাল। ৩০ মিনিটব্যাপী চলা বৈঠকে ভারতীয় নারীর সন্ধান পেলে তাকে ফেরতের আশ্বাস দেয় বিজিবি।
মোবাইল ফোনে দুই দেশের দুই নর-নারীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরই জেরে মেয়েটি ভারত থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশী যুবকের হাত ধরে ঢাকায় পাড়ি জমায়। তারা বিয়ে করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।