ফক্স নিউজের সঙ্গে টক্কর দিতে টিভি চ্যানেল আনবেন ট্রাম্প

ঠিকানা অনলাইন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তারই মিত্র বলে পরিচিত টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধ এখন তুঙ্গে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, রক্ষণশীল মার্কিনিদের মধ্যে ফক্সের একচ্ছত্র আধিপত্য চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই উদ্দেশ্যে নিজের স্ট্রিমিং চ্যানেল চালু করতে চাইছেন ট্রাম্প। এ খবর প্রকাশ করেছে আক্সিওস।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, তিনি ফক্সকে ধ্বংস করে দিতে চান। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
আক্সিওস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের চ্যানেলটি উপভোগ করার জন্য দর্শকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হতে পারে। ফক্স নিউজ তাদের স্ট্রিমিং সেবা ফক্স নেশনের জন্য প্রতি মাসে ৫.৯৯ ডলার করে ফি নিয়ে থাকে। এরকমই একটা ফি ধার্য করা হবে ট্রাম্পের স্ট্রিমিং চ্যানেলের জন্য।

দুই সপ্তাহ ধরে ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না ফক্স নিউজের। বিরোধের সূত্রপাত মার্কিন নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। ফক্স নিউজের ভোট গণনাবিষয়ক দল গতানুগতিক ট্রাম্পপন্থি অবস্থান নেয়নি। বরং, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনায় ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন জিতেছেন মর্মে সবার আগে ঘোষণা দেয় ফক্স। অথচ, ডেমোক্রেট ঘেঁষা বলে পরিচিত সংবাদমাধ্যমও তখন পর্যন্ত অ্যারিজোনায় বাইডেন জিতেছেন মর্মে স্বীকৃতি দেয়নি। এরপর একে একে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে সবার আগে বাইডেনের জয়ের সংবাদ দেয় ফক্স। অপরদিকে এসব অঙ্গরাজ্যের ফল নিয়ে কারচুপি, ভোট গণনা ও ডাকযোগে ভোট প্রদানে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এখন পর্যন্ত ফল মেনে নেননি ট্রাম্প। কিন্তু তার বয়ান ঠিক বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না, খোদ ফক্স নিউজের এই পরিবর্তিত আচরণে।

নির্বাচনের দিন ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমটি আগের চেয়ে অনেক বদলে গেছে। তিনি বলেন, কেউ একজন জিজ্ঞেস করেছিল, চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে পরিবর্তন কী এসেছে? আমার উত্তর হচ্ছে, ফক্স।

এদিকে ফক্স নিউজের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ফক্স কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মী লাচলান মারডক নির্বাচনের দিন ট্রাম্পের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে জানান, ফক্স নিউজ প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানায়।

ঠিকানা/এসআর