ফলাফল নিয়ে রুদ্ধশ্বাস

মধ্যবর্তী নির্বাচন : মেজরিটি হারানোর ঝুঁকিতে ডেমোক্র্যাটরা

ঠিকানা রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল রুদ্ধশ্বাস অবস্থা বিরাজ করছে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বাইডেনের গদি রক্ষা হলেও কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টি। ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় ফল গণনা। রাত দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টি ৪৮টি আসন পেয়েছে। রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে ৪৭টি আসন।

নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভস) ৪৩৫টি আসনের মধ্যে ২১৮টি আসন জিতবেন, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হবেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে ২২২টি আসন পেয়েছিল ডেমোক্রেটিক পার্টি। ৮ নভেম্বর মঙ্গলবারের নির্বাচনে তাদের আসন বাড়বে নাকি কমবে তা এ খবর লেখা পর্যন্ত বলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সিএনএর-এর খবর অনুযায়ী- ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ১৬৯টি আসন। রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে ১৯২ আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে আর মাত্র ২৬টি আসন দরকার রিপাবলিকানদের। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭৪টি আসনের ফল প্রকাশ বাকি ছিল।
প্রাপ্ত ভোটের ফলে দেখা গেছে, নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এর ফলে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টি। অ্যাবসেন্টি ও মেইল ইন ব্যালটের ফল যোগ হলে ফলাফলে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।

সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য মঙ্গলবারের নির্বাচন ছিল অস্তিত্বের লড়াই। ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজিত ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে চান। কিন্তু তিনি আদৌ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি-না, তা অনেকাংশে এই মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে। প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী- ট্রাম্প এক্ষেত্রে অনেকটা সফল হবার পথে রয়েছেন। কারণ কংগ্রেসের মোট ফলাফল যা-ই হোক না কেন, গোটা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ভাল ফল করেছে রিপাবলিকান পার্টি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার ও ক্যাপিটল হিল হামলার ঘটনায় মামলার মুখে পড়া ট্রাম্পের কাছে এই ভোট ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০টির মধ্যে ৩৫টি এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫টি সাধারণ আসনের সবকটিতেই ভোট হচ্ছে এবার। সেই সঙ্গে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ‘ভোটদানের ক্ষমতাহীন’ ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি ও ৩৬টি রাজ্য ও ৩টি টেরিটরির গভর্নর নির্বাচিত হচ্ছেন মঙ্গলবারের ভোটে।
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আলাদা প্রভাব রয়েছে। যে দল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণ করবে, তাদের হাতে থাকবে বিভিন্ন তদন্ত ক্ষমতা। ডেমোক্র্যাটরা গত দুই বছর ধরে হোয়াইট হাউসের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ সীমিত রেখেছে। সেই জায়গায় গত বছরের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল হামলার ঘটনাকেই বেশি সামনে এনেছেন তারা।
তবে রিপাবলিকানরা আশা করছে, তারা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের নিয়ন্ত্রণ পাবে। সেক্ষেত্রে তারা কী করবেন তাও জানিয়ে রেখেছেন রিপাবলিকানরা। তারা বলেছেন, ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল হামলার শুনানি বন্ধ করে দেয়া হবে।
ক্ষমতাসীন দলের ওপর একধরনের গণভোট হিসেবে বিবেচনা করা হয় মধ্যবর্তী নির্বাচনকে। এক বছরের বেশি সময় ধরে বাইডেনের প্রতি সমর্থন কমেছে। মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মতো ইস্যুতে জোরেশোরে প্রচার চালিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। কংগ্রেসের দুই কক্ষে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা। কিন্তু মঙ্গলবারের নির্বাচনে ভোটের ফল তা বলছে না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দুই বছরে বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ, অবকাঠামোগত বিনিয়োগ, শিশু দারিদ্র্যের মতো ক্ষেত্রগুলোতে নতুন আইনের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করেছেন। কংগ্রেসে পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও বাইডেনের চেষ্টা থামেনি। ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত দুটি কক্ষের একটিও যদি শেষ পর্যন্ত রিপাবলিকানদের দখলে চলে যায় তাহলে এসব ইস্যুতে তারা ডেমোক্র্যাটদের বিল আটকে দেবেন।
এদিকে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ফল অনুকূলে না গেলে ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের জায়গায় অন্য ডেমোক্র্যাট খোঁজা হতে পারে।

ট্রাম্প রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থীদের জন্য সমর্থন কামনার পাশাপাশি বাইডেনের অভিবাসন নীতির কঠোর সমালোচনা করে আসছিলেন। এছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্য, অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। চরম মূদ্রাস্ফীতির জন্যও প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে দায়ী করেন ট্রাম্প।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচনে রিপাবলিকানরা এগিয়ে গেলে আগামী দুই বছর কঠিন চাপের মুখে থাকবেন বাইডেন। যেকোনো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের মুখোমুখি হতে হবে বাইডেন প্রশাসনকে। এর ফলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ডেমোক্র্যাটরা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সিনেট ও হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ-দুটি কক্ষ নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। দেশটিতে আইন প্রণয়ন করে কংগ্রেস। এজন্য দুটি কক্ষ আলাদাভাবে কাজ করে। কোন আইনগুলো অনুমোদনের জন্য সিনেটে উঠবে তা নির্ধারণ করে নিম্নকক্ষ। কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ধারণে দুই বছর পর হয় এই মধ্যবর্তী নির্বাচন।

অনুযায়ী, নির্বাচনে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টি ৪৮টি আসন পেয়েছে। রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে ৪৭টি আসন।
নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভস) ৪৩৫টি আসনের মধ্যে ২১৮টি আসন জিতবেন, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হবেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে ২২২টি আসন পেয়েছিল ডেমোক্রেটিক পার্টি। ৮ নভেম্বর মঙ্গলবারের নির্বাচনে তাদের আসন বাড়বে নাকি কমবে তা এ খবর লেখা পর্যন্ত বলা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সিএনএর-এর খবর অনুযায়ী- ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ১৬৯টি আসন। রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে ১৯২ আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে আর মাত্র ২৬টি আসন দরকার রিপাবলিকানদের। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭৪টি আসনের ফল প্রকাশ বাকি ছিল।
প্রাপ্ত ভোটের ফলে দেখা গেছে, নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এর ফলে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টি। অ্যাবসেন্টি ও মেইল ইন ব্যালটের ফল যোগ হলে ফলাফলে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।

সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য মঙ্গলবারের নির্বাচন ছিল অস্তিত্বের লড়াই। ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজিত ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে চান। কিন্তু তিনি আদৌ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি-না, তা অনেকাংশে এই মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে। প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী- ট্রাম্প এক্ষেত্রে অনেকটা সফল হবার পথে রয়েছেন। কারণ কংগ্রেসের মোট ফলাফল যা-ই হোক না কেন, গোটা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ভাল ফল করেছে রিপাবলিকান পার্টি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার ও ক্যাপিটল হিল হামলার ঘটনায় মামলার মুখে পড়া ট্রাম্পের কাছে এই ভোট ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০টির মধ্যে ৩৫টি এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫টি সাধারণ আসনের সবকটিতেই ভোট হচ্ছে এবার। সেই সঙ্গে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ‘ভোটদানের ক্ষমতাহীন’ ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি ও ৩৬টি রাজ্য ও ৩টি টেরিটরির গভর্নর নির্বাচিত হচ্ছেন মঙ্গলবারের ভোটে।
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আলাদা প্রভাব রয়েছে। যে দল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণ করবে, তাদের হাতে থাকবে বিভিন্ন তদন্ত ক্ষমতা। ডেমোক্র্যাটরা গত দুই বছর ধরে হোয়াইট হাউসের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ সীমিত রেখেছে। সেই জায়গায় গত বছরের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল হামলার ঘটনাকেই বেশি সামনে এনেছেন তারা।

তবে রিপাবলিকানরা আশা করছে, তারা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের নিয়ন্ত্রণ পাবে। সেক্ষেত্রে তারা কী করবেন তাও জানিয়ে রেখেছেন রিপাবলিকানরা। তারা বলেছেন, ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল হামলার শুনানি বন্ধ করে দেয়া হবে।

ক্ষমতাসীন দলের ওপর একধরনের গণভোট হিসেবে বিবেচনা করা হয় মধ্যবর্তী নির্বাচনকে। এক বছরের বেশি সময় ধরে বাইডেনের প্রতি সমর্থন কমেছে। মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মতো ইস্যুতে জোরেশোরে প্রচার চালিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। কংগ্রেসের দুই কক্ষে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা। কিন্তু মঙ্গলবারের নির্বাচনে ভোটের ফল তা বলছে না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দুই বছরে বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ, অবকাঠামোগত বিনিয়োগ, শিশু দারিদ্র্যের মতো ক্ষেত্রগুলোতে নতুন আইনের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করেছেন। কংগ্রেসে পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও বাইডেনের চেষ্টা থামেনি। ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত দুটি কক্ষের একটিও যদি শেষ পর্যন্ত রিপাবলিকানদের দখলে চলে যায় তাহলে এসব ইস্যুতে তারা ডেমোক্র্যাটদের বিল আটকে দেবেন।
এদিকে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ফল অনুকূলে না গেলে ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের জায়গায় অন্য ডেমোক্র্যাট খোঁজা হতে পারে।

ট্রাম্প রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থীদের জন্য সমর্থন কামনার পাশাপাশি বাইডেনের অভিবাসন নীতির কঠোর সমালোচনা করে আসছিলেন। এছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্য, অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। চরম মূদ্রাস্ফীতির জন্যও প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে দায়ী করেন ট্রাম্প।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচনে রিপাবলিকানরা এগিয়ে গেলে আগামী দুই বছর কঠিন চাপের মুখে থাকবেন বাইডেন। যেকোনো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের মুখোমুখি হতে হবে বাইডেন প্রশাসনকে। এর ফলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ডেমোক্র্যাটরা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সিনেট ও হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ-দুটি কক্ষ নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। দেশটিতে আইন প্রণয়ন করে কংগ্রেস। এজন্য দুটি কক্ষ আলাদাভাবে কাজ করে। কোন আইনগুলো অনুমোদনের জন্য সিনেটে উঠবে তা নির্ধারণ করে নিম্নকক্ষ। কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ধারণে দুই বছর পর হয় এই মধ্যবর্তী নির্বাচন।