ঠিকানা অনলাইন : ইনিংসের প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্তর গোল্ডেন ডাক দিয়ে শুরু। এরপর ইয়াসির আলি রাব্বীর স্টাম্প উপড়ে যাওয়া। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুর এই বিবর্ণতা আর কাটল না। লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, জাকির হাসানরা লড়াইয়ের বার্তা দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না। ব্যাটিং ব্যর্থতায় দিনটা তাই চূড়ান্ত হতাশায় কাটল বাংলাদেশের।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ৮ উইকেটে ১৩৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ভারতের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ২৭১ রানে পিছিয়ে তারা। অর্থাৎ ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ, যা এড়াতে হলে এখনো স্বাগতিকদের প্রয়োজন ৭২ রান।
মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৫ বলে ১৬ ও ইবাদত হোসেন ২৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। নবম উইকেটে তাদের ৫৪ বলে ৩১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিই এদিন অলআউট থেকে রক্ষা করেছে বাংলাদেশকে।
শুরুতে বাংলাদেশকে ভোগান পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপ যাদব ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজটা করেন।
এর আগে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। দ্বিতীয় সেশনে অলআউট হওয়ার আগে ৪০৪ রানের পুঁজি গড়ে দলটি। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ৩৭ রান তুলে চা বিরতিতে যায়।
চা বিরতি থেকে ফিরেই লিটন ফিরে যান সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে। এর আগ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ের বার্তাই দিচ্ছিলেন তিনি। ৩০ বলে ৫ চারে ২৪ রান করেন লিটন।
সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন মুশফিকুর রহিম। জাকির হাসানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৭, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৯, নুরুল হাসানের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ২২ রান। অর্থাৎ আশা দেখিয়েও কোনো জুটিই বড় হয়নি। বাংলাদেশও পারেনি প্রতিরোধ গড়তে।
ঠিকানা/এনআই