স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০১ সালে হুলিয়ান বাটারকে হারিয়ে মিলান ইন্ডোর ওপেন জিতে নেন ১৯ বছর বয়সী অচেনা এক তরুণ। পেশাদারী ক্যারিয়ারে যা ছিল তার প্রথম কোন এটিপি শিরোপা। সেদিন তিনি লক্ষ্য ঠিক করেন ‘শীর্ষ ১৫-তে উঠে আসা যা কষ্টকর হলেও অসাধ্য নয়।’ সেদিনে ম্যাচে বিবিসি রিপোর্টে বলা হয় ‘ছেলেদের টেনিস অন্যতম এক ভবিষ্যত তারকাকে পেয়ে গেছে।’
বিসিসির রিপোর্টে সেদিন একদম বাড়তি কিছু লেখা হয়নি। সেদিনের সেই ছেলেটিই যে আজকের রজার ফেদেরার। বিশ্ব টেনিসের সবখানেই যার আধিপত্য। রেকর্ড ২০ গ্র্যান্ডসø্যাম জিতে নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তিদের কাতারে। ৩৭ বছর বয়সে এসেও কি দারুণ ছন্দ তার ব্যাটে এমনই ছন্দ যে, তরুণ ভবিষ্যৎ তারকাকে হারিয়ে ১০০তম একক এটিপি শিরোপা জিতে নিলেন পরশু। ফেদেরার পরবর্তী টেনিস বিশ্বকে নেতৃত্বের আভাস আগেই দিয়ে রেখেছেন গ্রিসের ২০ বছর বয়সী স্তেফানো সিৎসিপাস। মার্শেই ওপেন জিতেই নাম লেখান দুবাইয়ে। এই তরুণের কাছে হেরেই গত অস্ট্রেলিয়া ওপেনের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিতে হয় ফেদেরারকে। দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়ন্সশিপে সেই সিৎসিপাসকে ৬-৪ ৬-৪ গেমে হারিয়ে ক্যারিয়ারের শততম এটিপি শিরোপা জিতলেন ফেদেরার। ম্যাচ শেষে তার অনুভূতি, ‘মনে হচ্ছে স্বপ্নটা সত্যি হলো।’
ছেলেদের টেনিসে তার চেয়ে বেশি একক শিরোপা জিতেছেন কেবল একজনইÑ আমেরিকার জিমি কনর্স, ১০৯টি। অবশ্য টেনিসের সবচেয়ে মর্যাদার গ্র্যান্ডসø্যাম শিরোপা কনর্সের চেয়ে ১২টি বেশি ফেদেরারের। শততম এই শিরোপা তাকে গত ৩ মার্চের র্যাংকিংয়ে সাত থেকে এক ধাক্কায় চারে তুলে আনবে। ম্যাচ শেষে সুইস তারকা বলেন, ‘আমি অভিভূত। ১০০ শিরোপার মধ্যে দুবাইয়ে এটি আমার অষ্টম।’
তারুণ্যের সংগাটা যেন নতুনভাবে লিখছেন ৩৭ বছর বয়সী। সিৎসিপাসকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েই বলেন, ‘জানি না আমি প্রথম যখন শিরোপা জিতি তখন স্টেফানোর জন্ম হয়েছে কি না। ভবিষ্যৎ তারকাদের সঙ্গে খেলার একটা সুবিধা আছে। কারণ টিভিতে ভবিষ্যতে তাদের খেলা দেখতে হবে। এটা পিট সাস্প্রাস ও আন্দ্রে আগাসিদের ট্রিট নেয়ার মতো ব্যাপার। আমি নিশ্চিত স্টেফানোর দারুণ একটা ক্যারিয়ার অপেক্ষা করছে।’
র্যাংকিংয়ের ১১ নম্বর তারকা সিৎসিপাস এ দিন ছিলেন ফাইনালে ফেদেরারের ৫০তম ভিন্ন কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী এবং ২৫তম ভিন্ন জাতীয়তার। সব মিল এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হলেন তারা।
কনর্সকে টপকে যেতে এখনো ১০টি শিরোপা জিততে হবে ফেদেরারকে। তবে ছেলেমেয়ে মিলে এই রেকর্ডটা আরো বড়। চেক সেøাভিয়ায় জন্ম নেয়া আমেরিকান টেনিস কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা ক্যারিয়ারের পাশে লেখা রয়েছে নারী এককে ১৬৭টি এটিপি শিরোপা।
