ফের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন মিন্নির

আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (ফাইল ছবি)

ঠিকানা অনলাইন : বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে ফের আবেদন করেছেন। তার অন্যতম আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান আজ ৮ মে (সোমবার) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু পরে তা নাকচ করা হয়। সর্বশেষ গত বছরের ১৬ অক্টোবর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে মিন্নির উপস্থিতিতে তার স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয় জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা।

পরে একই বছরের ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হয়।

আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় দেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালত। রায়ে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তিনজনকে খালাস দেয়া হয়।

এর আগে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিষয়ে রায় দেন আদালত। রায়ে ১০ জনের মধ্যে ৪ জনকে খালাস এবং ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।

খালাস পেয়েছেন— মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

আদালত রায় ঘোষণার পর নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে যায়। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করে। ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর সে আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জরিমানাও স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। এখন আদালত জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করলে দুটি আপিল এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের বিষয়ে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি একইসঙ্গে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

ঠিকানা/এম