বইটি একপলকে: “রেটিনার লোনা জলে উত্তরাধিকার”

সুমি সৈয়দা

রেটিনার লোনা জলে উত্তরাধিকার” গ্রন্থটি কবি হেলাল হাফিজের উপর লেখা পশ্চিমবঙ্গের কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায়ের। ২৮ জুলাই কলকাতায় বইটির মোড়ক উন্মোচিত হয়। আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক হাসান।
উল্লাস চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের একজন কবি। পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিসের চাকুরী করার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যের পথে হেঁটেছেন। তাঁর বহু কাব্যগ্রন্থে ও উপন্যাসে উঠে এসেছে ঘুনে ধরা সমাজের অবক্ষয়ের ছবি, মানুষের শুভ্র সুন্দর মানবিকতা ও উজ্জল মূল্যবোধ। তিনি বহু কাব্যগ্রন্থ ও উপন্যাসের রচয়িতা। তিনি কবি হেলাল হাফিজের লেখা সমস্ত কবতিার অন্তর্নিহিত অর্থের বিশ্লেষণ করে লিখেছেন “রেটিনার লোনা জলে উত্তরাধিকার”। এ গ্রন্থে কবি হেলাল হাফিজের প্রতিটি কবিতার কাব্যিক বিশ্লেষণ ছাড়াও কোন্ প্রেক্ষাপটে কবিতাটি লেখা, সে তথ্যও জানিয়েছেন পাঠকদের।
কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায় অপরিসীম আন্তরিকতা ও ভালোবাসায় কবির প্রতি সিক্ত হয়ে এ অপূর্ব গ্রন্থটি লিখতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি প্রচুর শ্রম দিয়েছেন তা বইটি পড়লে বোঝা যায়।
ব্যক্তি হেলাল হাফিজ ও কবিতার হেলাল হাফিজকে তিনি অন্তর দিয়ে দেখেছেন। বিভিন্ন সময়ে কবির সাথে নিরিবিলি আলাপচারিতার অনেক কিছু উঠে এসেছে বইটিতে।
কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায় বইটির নামকরণে দারুন চমক সৃষ্টি করেছেন। কবির পুরো জীবনের উপর আলোকপাত করলেন শিরোনামের মাধ্যমে। তাঁর লেখার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এর গূঢ় অর্থ।
কবি হেলাল হাফিজের শৈশবে যখন তাঁর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করলেন, তখন অভিমান ভরে বাবাকে এক পত্র লিখেছিলেন,
“জরায়ূর রক্তিম সৈকতে, পুণর্বার সাজালে জীব,
একটি যুবক কেঁদে কেঁদে ভেসে এল
যৌবনের সোনালী আগুনে।”
বাবা অভিমানী পুত্রকে কবিতা দিয়েই উত্তর দিয়েছিলেন,
“রেটিনার লোনাজলে তোমার সাঁতার,
পিতৃদত্ত সে মহান উত্তরাধিকার।”
সারাজীবন আপাত নিঃসঙ্গ হেলাল হাফিজ মহান উত্তরাধিকার বহন করে কাটিয়েছেন।
“রেটিনার লোনাজলে উত্তরাধিকার” গ্রন্থটিতে কবি হেলাল হাফিজের লেখা ’যে জলে আগুন জ্বলে’ বইয়ের ৫৬ টি কবিতা এবং কার্ড আকারে প্রকাশিত ১৫টি কবিতা নিয়ে সাজিয়েছেন উল্লাস চট্টোপাধ্যায়।
আমরা জানি যে, ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কবি হেলাল হাফিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। গগনচূম্বী জনপ্রিয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ গ্রন্থটির ত্রয়োবিংশ সংস্করণ হয়েছে। দীর্ঘ ২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় ”কবিতা একাত্তর”। প্রথম গ্রন্থের ৫৬টি কবিতার সাথে ” অচল প্রেমের পদ্য” সিরিজের ১৫টি কবিতা যোগ করে মোট ৭১ টি কবিতা নিয়ে প্রকাশিত দ্বিভাষিক বাংলার পাশাপাশি ইংরেজী অনুবাদও ছাপা হয়েছে। ১৯৮৬ সালের পর, ২৬ বছর পরও সবাইকে বিষ্মিত করে “কবিতা একাত্তর” বই মেলার বেস্ট সেলার এবং মিডিয়ায়ও ব্যাপক প্রচারণা পেল। এ থেকেই বোঝা যায় এ কবির জনপ্রিয়তা অটুট রয়েছে। তিনি ২৫ বছর লেখেন নি ঠিকই কিন্তু পাঠকের হৃদয়ে তাঁর আসন টলেনি। কবি হেলাল হাফিজ বাংলা কবিতাতে একটি প্রবাদ তুল্য নাম। একটি মাত্র কাব্যগ্রন্থ লিখে এই কবি যে পরিমাণ খ্যাতি পেয়েছেন, তাঁর তুল্য অন্য কেউ নেই। তিনি অতি সরল ভাষায় তাঁর অসাধারণ কবিতাগুলো রচনা করেছেন। তাঁর কবিতা গুলো বুঝতে বা অনুধাবন করতে তেমন কঠিন শ্রম দিতে হয় না। নিজ গুণেই পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়।
নান্দনিক মূর্ছনার অলঙ্করণে লেখা কবিতাগুলোকে যখন কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায় অন্তর দিয়ে তুলে ধরলেন বর্তমান পাঠক সমাজে যা এক অভূতপূর্ব নিষ্ঠার ফসল তা ”রেটিনার লোনা জলে উত্তরাধিকার” আদ্যোপান্ত পড়লেই বোঝা যাবে।
উল্লাস চট্টোপাধ্যায় প্রতিটি কবিতার গভীরে প্রবেশ করেছেন। মর্ম উপলব্ধি করেছেন। নিভৃতচারী প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজের কবিতার প্রতিটি লাইন, শব্দ, ভাব নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী গবেষণা করেছেন। এ এক অসাধারণ সাধনা। শুধু তাই নয়, হেলাল হাফিজের কবিতার সাথে দেশী বিদেশী কবিদের কবিতার অনুবাদ তুলে ধরেছেন, তুলনা করেছেন, মিল, অমিল। আলোচনা করেছেন অপূর্ব শব্দশৈলী ও ভাব ব্যঞ্জনার শৈল্পিক মিশ্রনে। “রেটিনার লোনা জলে উত্তরাধিকার” গ্রন্থটিতে হেলাল হাফিজের কবিতার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ দাস, শঙ্খ ঘোষ, নবারুন ভট্টাচার্যের কবিতার কথা যেমন এসেছে, তেমন ভাবেই লোরকা, বোদল্যেয়র, এলিয়ট, কিটস এর বিভিন্ন কবিতার উক্তিও ঘুরে ফিরে স্থান পেয়েছে আলোচনায়।
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তাঁর শ্রেষ্ঠ সময়,
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তাঁর শ্রেষ্ঠ সময়।
‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ নামে কবি হেলাল হাফিজের এই কবিতাটি তিনি লিখেছিলেন ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে। উল্লাস চট্টোপাধ্যায় তাঁর বইয়ে এ কবিতার কথা বলতে যেয়ে কবির এক সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করেছেন। সাহিত্যিক বিদগ্ধ সুধী অনুপম হাসানকে এক সাক্ষাৎকারে হেলাল হাফিজ বলেছিলেন, ”মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি টগবগে তরুণ, তখন সাহিত্যের পোকা আমার মাথায় ঢুকে গেছে। নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় কবিতাটির আগে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, মুক্তি সংগ্রাম নিয়ে এতো সরাসরি আমাদের আর কোনো কবি সাহিত্যিকের লেখা নেই। অন্তত আমার চোখে পড়েনি।
উল্লাস চট্টোপাধ্যায় এ কবিতাটির প্রেক্ষিতে বাংলার প্রতিবাদী কবি নবারুন ভট্টাচার্য- এর কবিতার লাইন তুলে দেখিয়েছেন মিল অমিলের উদাহরণ।
ভিয়েতনামের উপর নবারুনের কবিতা
“ আমার শব্দগুলো দাউ দাউ করে জ্বলছে,
ঝোড়ো হাওয়ায় ঝঞ্ঝার মতো উড়ছে কবিতা আমার।”
উল্লাস চট্টোপাধ্যায় বললেন, নবারুন ও হেলালের মধ্যে মিল ও অমিল দুটোই আছে। তিনি আগুন জ্বলা সময়ের বিচারে নিষিদ্ধ কবিতার কবি। হেলাল সেখানে নিষিদ্ধ সময়ে নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়তে একটা বিরাট জাতিকে কয়েকটা লাইনে নিয়ে এলেন। তিনি আরো বললেন, এমন কবিতা আজ পর্যন্ত কজন লিখতে পেরেছেন, যিনি না দেশের জন্য নিজেকে নিবেদন করেছেন।
“ইচ্ছে ছিলো” কবিতাতে তিনি প্রেমিক কবি হেলাল হাফিজের ব্যক্তি জীবনের কিছু কথা তুলে ধরেছেন। কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায় হেলাল হাফিজের কবিতা পড়ে রবীন্দ্রনাথ- কে খুঁজে পান বলে উল্লেখ করেছেন।
“নানা এতো প্রেম, সখী ভুলিতে যে পারে তারে কেহ সেধোনা,
আমি কথা নাহি কব, দুঃখ লয়ে রব মনে মনে সব বেদনা।”
উল্লাস চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কবি হেলাল হাফিজ নিজেই বেদনার প্রেমে পড়েছেন, বুঁদ হয়ে আছেন আজীবন। নিজের মুখেই বলেছেন, যেসব নারীর নাম আমার নানা কবিতায় উল্লেখ আছে তাদের মধ্যে সবিতা সেন, হেলেন, হিরণ বালার কথা পাঠকদের জানা। কিন্তু এর বাহিরে ও একজন নারী আছেন যার নাম আমার কবিতায় সরাসরি উল্লেখ নেই কোথাও, তিনি আমাকে সাংঘাতিক ভাবে প্রভাবিত করেছেন। তিনি আমার ফুফাতো বোন মেহেরুন্নেছা রেণু। কবি অকপটে আরো বলেছেন, রেণু আপা ছিলেন অনন্য সাধারণ রূপসী এবং বিদুষী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারী। আমি মগ্ন ছিলাম অবিমিশ্র প্রেমে। রেণু আপাকে আমি ভালোবাসতাম মায়ের মতো, কখনও তাকে মনে হতো বড় বোনের মতো, আবার কখনও একান্ত প্রিয়জনের মতো।
”ইচ্ছে ছিল” কবিতাটি কবি হেলাল হাফিজের রেণু আপাকে নিয়েই লেখা।
কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায় কি অসাধারণ সুন্দর আবেগ দিয়ে হেলাল হাফিজের প্রতিটি কবিতা বর্ণনা করেছেন। হেলাল হাফিজের কবিতার সাথে বিশ্ববরেণ্য কবিদের কবিতার পঙক্তি গুলোও তিনি দারুনভাবে আলোচনায় এনেছেন। হেলাল হাফিজের “দুঃখের আরেক নাম” কবিতার আলোচনায় তিনি বোদলেয়ার, টি,এস, এলিয়ট, জীবনানন্দ দাস, রাশিয়ান কবি আন্না আমমাতোভাকে সামনে এনেছেন। তিনি বার বার বলেছেন, হেলাল হাফিজ- এক মহান প্রেমিক, মহান প্রেমের কবি।
কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায় প্রেমিক ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজের সংগ্রামী মনোভাব, সমাজ সচেতন, মানবতাবোধকেও ব্যাখ্যা করেছেন তাঁর কবিতার মাধ্যমে।
“পরাণের পাখি” কবিতার লাইনে “আমার সূর্যের কথা, কাঙ্খিত দিনের কথা, সুশোভন স্বপ্নের কথা” এখানে তিনি বলেছেন, সূর্য এক নতুন দিনের নব নব আশা-প্রত্যাশার রক্তিম সম্ভাবনার প্রতীক। তিনি হেলাল হাফিজকে সুশোভন আশার কবি উল্লেখ করেছেন।
কি মাধূর্যের সাথে উল্লাস চট্টোপাধ্যায় হেলাল হাফিজকে অনুভব করেছেন। তিনি “ইদানিং জীবনযাপন” কবিতার আলোচনায় বলেছেন, ‘হেলাল সময়ের চরিত্রহীন নির্লজ্জতায় কষ্ট পাচ্ছেন। তিনি জানেন তাঁর কষ্ট একটা চরম মূল্যহীনতার যুগের কষ্ট, ব্যক্তি, সমষ্টিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক দিশাহীনতাঁর কষ্ট। সে কষ্ট ব্যক্তি হেলালের চবৎংড়হধষ ঝড়ৎৎড়ি না।
কবি হেলাল হাফিজ কোন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমার বামহাত তোমাকে দিলাম” কবিতা পড়ে মনে হতে পারে একটি মেয়েকে বলেছি এসব কথা, আসলে তা নয়। এটি একটি পুরোপুরি রাজনৈতিক কবিতা। বাম দলগুলো মানুষের মধ্যে ঢুকতে পারলো না, মানুষের মধ্যে যেতে পারলে কি সুন্দর হতে পারত।
উল্লাস চট্টোপাধ্যায়ও কবিতাটি বর্ণনা করেছেন কবিকে সাম্যবাদের কবি বলে। তিনি বলেছেন, হেলাল হাফিজ সম্পদের সুষম বন্টন চাইছেন, মানুষের ত্রাণ চাইছেন, হেলাল শুধু প্রেম ও দ্রোহের কবি নয়। সাম্যবাদেরও কবি। সমাজতান্ত্রিক ভাবনার কবি।
পুরো একজীবনে একটি কবিতার গ্রন্থ কবি হেলাল হাফিজকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তুলে রেখেছে। উনি যে কবিতা আর লিখেন নি, তা নয়। লিখেছেন, মন মতো হয়নি, ছিঁড়ে ফেলেছেন।
উনার “যে জলে আগুন জ্বলে” কবিতার বইটিতে সবকিছুর সংমিশ্রণে কবিতাগুলো লেখা হয়েছে। বিদ্রোহ, যুদ্ধ, প্রেম, বিরহের সবগুলো বৈশিষ্ট্যে গড়ে উঠা কবিতা। প্রেমের কবিতা গুলো নিরেট প্রেম, রোমান্টিকতাঁর বিষয় বলে মনে হলেও স্বাদেশিকতা বা দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের শিল্পরূপ ফুটে উঠেছে।
হেলাল হাফিজ বিরহের দীর্ঘপথ বিষন্নতা আর একাকীত্ববোধ ভালোবেসে লালন করেছেন দুঃখ-কষ্ট। তাঁর দুঃখ গুলো ফুলের মতো, আবার আগ্নেয়াস্ত্রের মতো জ্বালাময়ী, নীরবে বুকের ভেতর বিস্ফোরণ ঘটায়, তবু তিনি বিধ্বস্ত হন না।
কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায় তাঁর বইটিতে হেলাল হাফিজের কবিতার এ গূঢ় বিষয়গুলো ছান্দিক বাক্যে মোহনীয় প্যাটার্নে ভেঙ্গে ভেঙ্গে সাজিয়ে আলোচনা করেছেন।
যেমন তিনি হেলাল হাফিজকে উল্লেখ করে বারবার বলেছেন, সারাজীবন আপাত নিঃসঙ্গ হেলাল মহান উত্তরাধিকার বহন করে কাটিয়েছেন। এ কষ্ট তাঁর নিজস্ব অহংকার, অলঙ্কার। আমরা যখন কবি হেলাল হাফিজের কবিতা পড়ি, তখন বুঝি উনার কবিতায় দেশ, মানুষ, গরীব মেহনতী কৃষক, আন্দোলন, প্রেম ও দ্রোহ, পাওয়া না পাওয়ার বেদনাকে শব্দের সংস্থানে শিল্পিত রূপ দিয়েছেন। উনি বিরহে ভেঙ্গে পড়েন নি, অনুভব করেছেন, উপভোগ করেছেন।
দারুন প্রাঞ্জল শব্দে কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায় বললেন, বাবার কাছ থেকে শুধু রেটিনার লোনা জলের উত্তরাধিকারী হন নি তিনি, পেলেন শুভ্র নির্লিপ্ততা আর স্বার্থহীনতা একজন মানুষ। হেলাল সেই সুখ দুঃখের বৈরাগী।
“রেটিনার লোনা জলে উত্তরাধিকার” বইটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে নতুন করে প্রেম ও দ্রোহের নিভৃতচারী কবি হেলাল হাফিজকে তুলে আনার অনবদ্য প্রয়াস।
কবি হেলাল হাফিজ সবসময়ের, সব বয়সের মানুষের কাছে আজো জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এই নিঃসঙ্গতা প্রিয়, বিনয়ী, নিভৃতচারী কবি নিজেকে আড়াল করে ভালোবেসে গেছেন আপাময় জনমানুষকে।
তিনি তাঁর একটি বই “যে জলে আগুন জ্বলে” লিখে যে আকাশচুম্বী খ্যাতি অর্জন করেছেন ঠিক সেভাবে কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায় তাঁর “রেটিনার লোনা জলে উত্তরাধিকার” বইটি প্রকাশ করে সে নিঃসঙ্গ রাজকুমারকে, তাঁর বিখ্যাত কবিতাগুলোকে আজকের পাঠকদের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
বইটি দেশে, বিদেশে কবি হেলাল হাফিজের ভক্তকূলের কাছে পাঠকপ্রিয়তা পাবে আশা করি।
দারুন এই মায়াবী প্রচেষ্টার জন্য কবি উল্লাস চট্টোপাধ্যায়কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভাশিষ।
৭ই অক্টোবর কবি হেলাল হাফিজেন জন্মদিন। বরেণ্য এই খ্যাতিমান বিনয়ী কবির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি।
শুভ জন্মদিন, কবি হেলাল হাফিজ
সুমি সৈয়দা, কবি ও গল্পকার, ঢাকা / বাংলাদেশ।