বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনতে কাজ চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঠিকানা অনলাইন : যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মঙ্গলবার নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

কুইন্স প্যালেস-এ অনুষ্ঠিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন দেশ ও মানুষের কথা ভেবেছেন। স্বাধীন স্বার্ভভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য কারাবরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে বাংলাদেশের আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। বঙ্গবন্ধু কায়েদা আজমের মুখের সামনে বলে দিয়েছিলেন বাংলা হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। জাতির পিতা ৬ দফা আন্দোলন শুরু করলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক হন। বঙ্গমাতা ছিলেন জাতির পিতার অনুপ্রেরণার উৎস। ১১ দফা আন্দোলনে বঙ্গমাতা উৎসাহ যুগিয়েছেন। বঙ্গমাতা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু প্যারোলে মুক্ত হয়ে কোনো আলোচনায় যাবেন না। বঙ্গবন্ধু গোলটেবিল বৈঠক থেকে ওয়ান ম্যান ওয়ান ভোট আদায় করে নেন। ফলে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতেছিল।

৭ মার্চ জাতির পিতা বলেছিলেন, তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। বঙ্গমাতা ৭ মার্চের ভাষণের আগে বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন তুমি ভাষণে তোমার মনে যে কথা আসে ঠিক তা বলবা। একারণে ৭ মার্চের ভাষণ এক কালজয়ী ভাষণ। তিনি বলেছিলেন আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।

সপরিবারে জাতির পিতার হত্যা, ২১ সে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে অপশক্তি দেশকে এবং জাতির পিতার পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ষডযন্ত্রকারীরা জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার আদর্শ হত্যা করতে পারেনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ভবনসহ সকল ষডযন্ত্রকারীদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সকল বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের বুকে মর্যাদাশালী দেশে পরিণত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ষড়যন্ত্র বিশ্বাস করি না, পেশী শক্তি বিশ্বাস করি না। তাই তিনি পার্লামেন্টকে শক্তিশালী করেছেন। সরকারকে উৎখাতের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলার মানুষ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে চলেছেন। সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স। সুন্দরবনের বনদস্যু আত্মসমর্পণ।

বানোয়াট কথা মিথ্যা কথা দিয়ে বিদেশে কেউ কেউ অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মিডিয়ার গলা চেপে ধরিনি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে। কাউকে রক্তচক্ষু দেখাইনি।

তিনি বলেন, আমরা প্রবাসীদের অবদানকে স্বীকার করি। প্রবাসীদের কল্যাণে সরকার কাজ করছেন। বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন। ৩০০০ ডলারের আয় সূচকে আমরা চলে এসেছি। প্রবাসীগণ বিদেশে বাংলাদেশের এক একজন অম্বাসেডর। জাতির পিতার কন্যা কখনওই প্রবাসীদের অবদান ভুলে যাননি। জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা কাজ করছি। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান সকলে মিলে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। কোভিড মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব সঙ্কটে এখন। আমাদের যতটুকু সঙ্কট তা মোকাবিলা করার সকল প্রচেষ্টা এবং সামর্থ্য আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ জনবান্ধব। করোনার সময় ফ্রন্ট লাইনে কাজ করছে ও জীবন উৎসর্গ করেছে।

ঠিকানা/এসআর