বছরভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা


নিজস্ব প্রতিনিধি : বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সরকার বছরভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের রিটায়ারমেন্ট সিডিউল অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ১ হাজার ৯৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্ষমতা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ হাজার ৭৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র অবসরে যাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনার আওতায় নির্ধারিত বিদ্যুৎ চাহিদা, রিটায়ারমেন্ট সিডিউল অনুযায়ী দেশব্যাপী প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য বর্ধিত চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বছরভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে বিদ্যুতের চাহিদা ১০ থেকে ১৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চাহিদা পূরণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে ক্যাপটিভসহ বিদ্যুতের দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা ২০ হাজার ৫৭৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার চলতি বছরের মধ্যে ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সকল নাগরিককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য একটি প্রক্রিয়াকরণ কমিটি এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারায় বেসরকারি খাতে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এলএনজি-ভিত্তিক আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। নিজ দায়িত্বে কোম্পানি এলএনজি আমদানি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করবে। আনোয়ারায় গ্যাস/আরএলএনজি-ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের আরেকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে উৎপাদন হবে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এ জন্য দৈনিক ৯৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হবে। বেসরকারি কোম্পানি প্রয়োজনীয় গ্যাস/আরএলএনজি আমদানি করবে। ভারতের রিলায়েন্স কোম্পানি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। সামিট করপোরেশন লি. নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে গ্যাস/আরএলএনজি-ভিত্তিক ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার এবং মেঘনাঘাটে রিলায়েন্স ৭১৮ মেগাওয়াটের আরএলএনজি-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।