ঠিকানা অনলাইন : নওগাঁ ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁয় ৪ জন ও সুনামগঞ্জে ৩ জনের মৃত্যু হয়।
১৭ জুন শনিবার বিকেলে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় তিনজন এবং পোরশা উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি পলাশ চন্দ্র দেব জানান, বিকেলে বজ্রপাতে উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের খাদেমুল ইসলাম (৪৫) এবং মো. মোতাহার হোসেন (৩৫) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে একই উপজেলার দিবর ইউনিয়নের ছোটমহারন্ছদী গ্রামের মাসুদ রানা (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক জানান, বিকেলে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে গিয়ে বজ্রপাতে আজিজুল হক (৬৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আজিজুল হক উপজেলার নিতপুর সোহাতী গ্রামের মৃত তছির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
এদিকে সুনামগঞ্জে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে একজন ও নদীতে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে দুই শ্রমিকের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জুন শনিবার সকালে জেলার দিরাই ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় এই প্রাণহানি ঘটে।
নিহতরা হলেন দিরাই উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে আবদুল মালেক (৩৫), বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার জিনারপুর গ্রামের ফরহাদ মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (২৮) ও শিশু মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া (৩৫)।
জানা যায়, শনিবার ভোরে দিরাই উপজেলার ছায়ার হাওরে মাছ ধরতে যান আবদুল মালেক। এ সময় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে আশপাশের লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চলতি নদীতে বালু উত্তোলন করতে যান বিশ্বম্ভরপুরের সেলিম মিয়া ও জয়নাল মিয়া। সেখানে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান, নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় হাওরে না যাওয়ার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন।
ঠিকানা/এনআই