বদিকে দিয়ে মাদক শাজাহানকে দিয়ে সড়ক নিয়ন্ত্রণ কতটা সক্ষম হবে

ঢাকা : সড়কে দুর্ঘটনা রোধ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সুপারিশমালা প্রণয়নে সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধান করে গত ১৭ ফেব্রæয়ারি গঠিত কমিটি নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন উত্থাপিত হলে এ নিয়ে সংসদে পাল্টা জবাব, প্রতিবাদ ও কৈফিয়ত প্রদানের ঘটনা ঘটে। শাজাহান খান প্রশ্নকর্তার বক্তব্য এক্সপাঞ্জ ও প্রত্যাহারের দাবি করেন।

গত ১৮ ফেব্রæয়ারি প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম এই প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ‘বদিকে দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ, শাজাহান খানকে দিয়ে সড়ক নিয়ন্ত্রণ। গতবার শাজাহান খানের একটা হাসি নিয়ে কত কিছু ঘটল। সেই শাজাহান খানকে প্রধান করে গঠিত কমিটি সরকারের প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে কতটা সক্ষম হবে?’

প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে ব্যক্তিগত কৈফিয়তের বিধিতে ফ্লোর নিয়ে শাজাহান খান ইয়াবা ব্যবসার সাথে সড়ক দুর্ঘটনাকে মিলিয়ে তার সম্পর্কে প্রশ্ন তোলাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে বক্তব্যের প্রতিবাদ ও এক্সপাঞ্জের দাবি জানান। পরে শাজাহান খান মাইক ছাড়াই বক্তব্যটি এক্সপাঞ্জের বিষয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলে স্পিকার বলেন, আপনি বসেন, বিষয়টি আমি দেখবো।

বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১৭ ফেব্রæয়ারি রাজধানীর বনানীতে নবনির্মিত বিআরটিএ ভবনে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও কয়েকজন মন্ত্রীও ছিলেন। তারা নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে এসেছেন। পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতারাও ছিলেন। সড়ক বিশেষজ্ঞরাও যেমন ইলিয়াছ কাঞ্চন, সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং রিলেটেড মিনিস্ট্রির সচিব কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিআইজি হাইওয়ে সবার উপস্থিতিতে আমরা নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা করেছি। সেখানে আমরা সাম্প্রতিককালে বিগত শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে যে সড়ক পরিবহন আইন পাস হয়েছিল এই আইন বাস্তবায়নের কিছু বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের বিষয়ে ফেডারেশন নেতাদের এবং শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা স্বরাষ্ট্র, আইন ও রেলপথ মন্ত্রীকে দিয়ে একটি কমিটি করেছি। সেখানে সড়ক দুর্ঘটনার ব্যাপারে একটি সুপারিশমালা/ রিপোর্ট তৈরি করার জন্য ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটা কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটির প্রধান হিসেবে শাজাহান খানের নামটি প্রস্তাব করা হয়েছিল। ওখানে কেউই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেননি। তার নেতৃত্বে আরো ১৫ জন কমিটিতে আছেন। আমি এখানে ব্যক্তি দেখব না। ব্যক্তি অতীতে তার কোনো স্মিতহাসির জন্য কোনো সমস্যার উদ্ভব হয়েছে সেটা আমি দেখতে চাই না। আমি দেখব এই কমিটি যে সড়ক দুর্ঘটনা নিযন্ত্রণে সড়কের পরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়নে তারা সবাই মিলে সুপারিশমালা এবং রিপোর্টটি কিভাবে পেশ করে, কিভাবে তৈরি করে সেটার ভিত্তিতেই আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব। এখানে ব্যক্তি কোনো বিষয় না। একজনইতো রিপোর্টটি প্রণয়ন করবে না। এখানে যেহেতু তিনি অভিজ্ঞ মানুষ সে জন্য তার নামটি এখানে প্রস্তাব করা হয়েছে।