ঠিকানা রিপোর্ট: উৎসবে পাগল বাঙালি। সুযোগ পেলেই বাঙালি উৎসবে মেতে উঠেন। বিশেষ করে যারা আমেরিকায় বসবাস করছেন তাদের জন্য উৎসবের বড় সুযোগ হলো সামার। সামার আসলেই বাঙালির নানা আয়োজন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বনভোজন। বাঙালি যেমন উৎসব পাগল ঠিক তেমনিভাবে সংগঠন প্রিয়ও বটে। নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকায় বাঙালিদের এখন অনেক সংগঠন। নিউইয়র্ক সিটির নথিভূক্ত ছাড়াও নামে- বেনামে এবং প্যাড সর্বস্ব অনেক সংগঠন রয়েছে। আবার নেতৃত্বের কোন্দলের কারণেও একই এলাকার বেশ কয়েকটি সংগঠন আছে। সামার এলেই এ সব সংগঠন বনভোজনের আয়োজন করে থাকে। বিশেষ করে শনি এবং রোববার বনভোজন আমেজে থাকে পুরো কম্যুনিটি। স্থানের অভাবে অনেকই আবার অন্যান্য দিনও বনভোজন করছেন। প্রতি সপ্তাহেই কয়েকটি করে বনভোজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশেষ করে এস্টোরিয়া, লংআইল্যান্ড, কানেকটিকাট, পেনসিলভেনিয়া, ওস্টেচেস্টার, নিউজার্সিসহ বিভিন্ন পার্কের পিকনিক স্পটে এ সব বনভোজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি শনিবার এবং বোরবার সকাল এবং সন্ধ্যায় বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকাগুলো বিশেষ করে জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস এবং ওজনপার্কে চোখে পড়ে বনভোজনের গাড়িগুলো। বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দিন দিন বনভোজনে মানুষও বাড়ছে, সেই সাথে ব্যয়ও বাড়ছে। তারা জানান, এখন সব কিছুরই দাম বেশি। আগে যে বাস ১ হাজার থেকে ১২ শ’ ডলারে ভাড়া পাওয়া যেত এখন সেই বাস ভাড়া ১৩ শত ডলার থেকে ১৪ শত ডলার।
আবার খাবারের মূল্যও বেড়েছে প্রায় জনপ্রতি ১ ডলার করে। কোন কোন সংগঠন রয়েছে যাদের কয়েকটি গাড়ি লাগে। বাস ভাড়া, খাবার খরচ, পানি, সোডা, শিল্পী, র্যাফেল ড্রর পুরস্কার- সব মিলিয়ে একটি বড় সংগঠনের বনভোজন করতে খরচ পড়ে ৪০ হাজার ডলার থেকে ৫০ হাজার ডলার। সদস্যদের চাঁদার মাধ্যমে বনভোজনের আয়োজন করা হলেও অনেক সময়ই নিজেদের পকেট থেকে নেতাদের অর্থ দিতে হয়। তারা বলেন, পকেট থেকে অর্থ দিলেও বনভোজনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্য- সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি হয়। অন্যদিকে উৎসবে- আনন্দে পরিবার- পরিজন নিয়ে সবার সময় কাটে। সেই সাথে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের হাজার বছরের কৃষ্টি এবং কালচার।
বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্যানেল এবং একক প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন বনভোজন স্পট। তারা ব্যস্ত সবার নজর কাড়তে এবং ভোট ভিক্ষা চাইতে। এবারের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্যানেলে রয়েছেন রব- রুহুল প্যানেল এবং নয়ন- আলী প্যানেল। সদস্য ফর্ম জমা দেয়ার পর তাদের বর্তমান নির্বাচনী কর্মকান্ড হচ্ছে বনভোজনে যাওয়া এবং সবার মন রক্ষা করা। একটি প্যানেলের একজন সদস্য জানান, একদিনেই তারা ৬টি বনভোজনে গিয়েছেন। নির্বাচনে দাঁড়ানোর কারণেই তাদের সবার মন রক্ষা করতে হচ্ছে।