বন্ধন

রাজিনা চৌধুরী :

বারংবার ছিন্ন করেছ যে বন্ধন এসেছি গতিবেগ বাড়িয়ে ততবার তার কাছে।
অদৃশ্য প্রাচীর রুখে দিতে চেয়েছে যে বন্ধন, দুর্বার গতিতে ভেঙেছি সে প্রাচীর,
যদিও জানা ছিল পাব না শেষ ঠিকানা।

অর্থপূর্ণ সময়গুলো অর্থহীন ব্যয়ই করছ, মিথ্যা অপবাদ ও সবচেয়ে বাজে বিলাসিতায়।
দিনকে দিন ছিন্ন হচ্ছে রক্তের বন্ধন!
আমি প্রতিটা দিন প্রতিটা বেলা কুরে কুরে কষ্ট পাচ্ছি অপবাদের বিষাক্ত বাতাসে।
আফসোস সেই কষ্ট বন্ধনের কাউকে স্পর্শ করতে পারছে না।

কষ্ট লুকাতে সবার সামনে অস্কারজয়ী অভিনেতার মতো ভালো থাকার নিখুঁত অভিনয় করছি।
দুরাশা বুঝিয়ে দিচ্ছে রক্তের বন্ধন কিছুই না।

নূপুরের ধ্বনির মতো বৃষ্টির শব্দগুলো হঠাৎ রোদেলা আকাশ হয়ে যাচ্ছে।
স্মৃতির প্রাচীর মুছে যাচ্ছে হৃদয় থেকে।
বদলে যাওয়া সময়টার সাথে বদলে যাচ্ছে আমাদের সম্পর্কগুলো।
ভিড়িয়ে জীবননৌকা, কে বা কোথায় পড়ে আছিÑঅভিমানী কণ্ঠেও নিই না তার খবর।

রক্তে-আরণ্যের এই আবেদন ছটফটানি মনে হয় হৃদয় যন্ত্রণায় ফেটে যাবে।
প্রচণ্ড ঝড় উঠেছে সাগরের বুকে, মেঘের গুরু গর্জন শোনা যাচ্ছে।
আকাশের বুকচেরা অগ্নিময় খড়্্গ যেন বন্ধনটাকে ফালা ফালা করে চিরে দিচ্ছে।

হে কবিতা তুমি আমার সাক্ষী হয়ে থাকো, এ বন্ধনকে আমি আনন্দ সুন্দর নয়নে পবিত্র দৃষ্টিতে দেখি।
সুন্দর, পবিত্র, অনন্য হে বন্ধন তুমি।