
রাজধানী ডেস্ক : ঢাকার চারপাশে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর সীমানা চিহ্নিত করে ১০ হাজার নতুন পিলার স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভ‚মিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর পুরো অর্থই সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) থেকে দেওয়া হবে। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রকল্প (বিআইডব্লিউটিএ) বাস্তবায়ন করবে।
যা আগামী জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মোট ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের ৩৫ দশমিক ৫১ কিলোমিটারই নির্মিত হবে নদীর নিচু তীরভ‚মিতে এবং ১০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার হবে উঁচু তীরভ‚মিতে। আর ৫ দশমিক ৯২ কিলোমিটার তীরভ‚মিতে কলামের ওপর ওয়াকওয়ে (হাঁটার রাস্তা) করা হবে। দশমিক ৩০ কিলোমিটার হাঁটার সেতু বানানো হবে। ৪৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার তীররক্ষা কাজ করা হবে। এক কিলোমিটার প্রাচীর, এক দশমিক ৫০ কিলোমিটার বেড়াসহ সীমানাপ্রাচীর, তিনটি ইকো পার্ক, ১৯টি জেটি ও ১৮২০টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীর চার দিকে নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল একটি সভাও হয়।