বস্টনে শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সংঘের তীর্থভ্রমণ

বস্টন : শ্রীকৃষ্ণ ভক্তসংঘ, ইউএসএ গত জুলাই ৭ ও ৮ বস্টনের বিভিন্ন মন্দির ও উল্লেখযোগ্য স্থানসমূহ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে বার্ষিক ‘তীর্থভ্রমণ’ কর্মযজ্ঞের শুভ সমাপ্তি ঘটায়। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াস্থ নব বৃন্দাবন ধাম পরিদর্শনের মাধ্যমে তীর্থভ্রমণের শুভ সূচনা করা হয়। এর পরবর্তী বছরগুলোতে উত্তর আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন স্টেটসমূহে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু মন্দির ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করা হয়। এসব তীর্থযাত্রায় দেড়শ থেকে আড়াইশ জন তীর্থযাত্রী অংশ নিয়েছেন।
এ বছর তীর্থযাত্রার আয়োজন করা হয় ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের বস্টনে। গত ৭ জুলাই, শনিবার, সকাল ৭টায় ১৬৫জন তীর্থযাত্রীসহ সত্যম্, শিবম ও সুন্দরম নামে চিহ্নিত তিনটি বাস যথাক্রমে জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা ও ব্রঙ্কস থেকে যাত্রা শুরু করে। যাত্রার মঙ্গল প্রার্থনা করে বাস ছাড়ার আগে পবিত্র গীতা পাঠ, কীর্তন, উলুধ্বনি ও মঙ্গলধ্বনি দেয়া হয় প্রতিটি বাসে।
ভক্তরা প্রথমেই বস্টনের মহালক্ষ্মী মন্দির দর্শন করেন এবং মন্দিরে দুপুরের প্রসাদ গ্রহণ করেন। এরপর জনএফ কেনেডি মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি, হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এমআইটি পরিদর্শনের পর ব্রজ মন্দির দর্শনে যান। মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত অনন্য সুন্দর রাধাকৃষ্ণের শ্রীবিগ্রহে ভক্তরা প্রণতি জানিয়ে দুর্লভ মানবজীবনকে ধন্য ও কৃত-কৃতার্থ করেন। মন্দিরের দায়িত্বে নিয়োজিত কেশব মাহারাজজী ভগবৎ কথামৃত আস্বাদন করেন ও মহানাম কীর্তনে তীর্থযাত্রী ও মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের মাতিয়ে তোলেন।
শনিবার ছিলো শ্রীকৃষ্ণ ভক্তসংঘ, ইউএসএ-র ১১৫৬তম সাপ্তাহিক গীতা সন্ধ্যা। গীতা সন্ধ্যায় নৈবদ্য ও মহাভোগ নিবেদন করেন তীর্থযাত্রার আহ্বায়ক শ্রীসুরঞ্জন বণিক ও তাঁর পরিবার।
সংঘের পক্ষে পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. প্রভাত চন্দ্র দাস ও রূপকুমার ভৌমিক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং মন্দির কর্তৃপক্ষ ও তীর্থযাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। মন্দিরে প্রসাদ গ্রহণ শেষে হোটেলে রাত্রিযাপন করেন।
পরদিন ৮ জুলাই, রোববার, খুব সকালে তীর্থযাত্রীরা কেপকোডে গমন করেন এবং গভীর সমুদ্রে তিমি মাছ ও ডলফিন দর্শন শেষে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ নিউইয়র্কে ফিরে আসেন। উভয়দিনেই যাত্রীরা বাসে হাস্য-কৌতুক, সঙ্গীত ও বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে যাত্রাপথকে আনন্দদায়ক করে তোলেন।
দু’দিনের এ তীর্থভ্রমণকে সর্বাঙ্গীন সফল করে তুলতে সহায়তা করেন সুরঞ্জন বণিক (আহ্বায়ক), অর্ধ্বেন্দু কিশোর বিশ্বাস (যুগ্ম আহ্বায়ক), প্রকৌশলী রঞ্জিত রায় (কো-অর্ডিনেটর), ডা. প্রভাত চন্দ্র দাস, সুভাস কুমার সাহা, প্রদীপ কুন্ডু, সুশীল কুমার সাহা, রূপকুমার ভৌমিক, অমরনাথ দাস, শুভঙ্কর গাঙ্গুলী, তপন সেন, খোকন দেবনাথ, প্রণয় রায়, প্রশান্ত সাহা, রঞ্জন ভট্টাচার্য্য, অমল কুন্ডু, পবিত্র বিশ্বাস, সুমন নাথ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।