চট্টগ্রাম : বাঁশখালী উপকূলে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র এস আলম পাওয়া প্ল্যান্ট নির্মাণের পাশাপাশি এবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে দেশের কয়েকটি অঞ্চলের মতো বাঁশখালীতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০০০ একর জায়গা অধিগ্রহণের বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বাঁশখালী উপকূলীয় সনুয়া ইউনিয়নের ছোট সনুয়া ও খুদুকখালী মৌজায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ২০০০ একর জায়গা অধিগ্রহণের প্রস্তাব প্রসঙ্গে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা থেকে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দেশের প্রথম নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এফ এম মিজানুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী গত ২৯ মে ২০১৩ সালে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ কোনো দ্বীপে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই ঘোষণার আলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দেশের ১৫টি জেলায় দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য একসাথে ২০০০ একর সরকারি খাস বা বেসরকারি জমির সংকুলান বা অধিগ্রহণ করার মতো আছে কি না তা জানতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই চিঠির আলোকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ব্যতিরেকে ৯টি জেলা থেকে অনুকূল বার্তা পাওয়া গেছে।
একই সাথে ২০০০ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে ২৪০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পরে আরো একটি ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে মূলত সে কারণেই এক সাথে ২০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে কারণ যখন বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়বে তখন এক সাথে সাগর নদী বাদ্বীপ এলাকায় জমি পাওয়া নাও যেতে পারে সে কারণেই এক সাথে ২০০০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলে ২০০০ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব এখনো পাননি তবে পাবেন বলে জানান।