বাংলাদেশকে ঘিরে ইউরোপ ও আমেরিকার নবতর আগ্রহ: নির্বাচনে নজর রাখছে চীন

মোবায়েদুর রহমান

বাইরে থেকে এবং ওপর থেকে দেখলে মনে হবে যে, আওয়ামী লীগ সরকার এখন অত্যন্ত সলিড পজিশনে আছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ প্রভৃতি বাহিনী তার পেছনে শক্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ভারতের বিজেপি সরকার নিয়ে শুরুতে যাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছিল পরে তাদের বিভ্রান্তিরও নিরসন হয়েছে। ভারতের বর্তমান সরকারও এই সরকারের পেছনে রয়েছে। এই সরকারের সমস্যা হলো একটিই। আর সেটি হলো, জনসমর্থন। জনসমর্থন তার পেছনে নেই বললেই চলে। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? দেশে তো কোনো গণ-অভ্যুত্থান ঘটার আলামত দেখা যাচ্ছে না, অথবা কোনো দুর্বার গণ-আন্দোলনের আলামতও নাই যে সেই সব গণ-আন্দোলনের ঝড়ে এই সরকার উড়ে যাবে। তাই ঘরোয়া বা বৈঠকি আড্ডায় অনেক মানুষই বলেন যে আগামী ৫ বছর এই সরকারই ক্ষমতায় থাকবে।

এ পর্যন্ত যা বলা হলো তার সবকিছুই মোটামুটি ঠিক। কিন্তু হালে কিছু ঘটনা দেখা যাচ্ছে যেগুলো সরকারের জন্য শুভ সংকেত বহন করে না। বরং সেগুলোকে অশুভ সংকেত বলা যায়। আজকে যখন এই লেখাটি লিখছি তখন একাধিক অনলাইন পত্রিকায় দেখলাম, পশ্চিমের শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ১১টি দেশ সরকারের প্রস্তাবিত ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এই আইনের ধারাগুলো বাক ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী। গত ২৫ মার্চ সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ১০টি পশ্চিমা দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১ জন রাষ্ট্রদূত আইনমন্ত্রীর নিকট প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সভা থেকে বের হয়ে আইনমন্ত্রী অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের জানান, এসব রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশি প্রতিনিধিদের তিনি জানিয়েছেন যে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে তিনি তাদের উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

মন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই ১০টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তার সাথে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া এই ১০টি দেশ হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, স্পেন এবং গ্রেট ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্য।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, তারা তাদের কথা বলেছেন, আমরা আমাদের কথা বলেছি। আমাদের আরো আলোচনা হবে, আরো কথা হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোন বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রদূতরা কথা বলেছেন, তা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আইনের অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। বিশেষ করে ২১, ২৫ ও ২৮ অনুচ্ছেদ নিয়ে তারা তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্যই আইনটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি। তারা তাদের সুপারিশ তুলে ধরেছেন। তাদের বক্তব্য ও সুপারিশগুলো নিয়ে সামনে আলোচনা হবে।’

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিনজ বলেন, ‘আমরা এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। আইনটি স্বাধীন মত প্রকাশের পথে অন্তরায় বলে আমরা মনে করি। বিশেষ করে আইনটিতে জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে। আইনটির অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। আমরা আমাদের উদ্বেগের কথাগুলো জানিয়েছি।’ জার্মান রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, আইনটির কারণে সাধারণ মানুষ মত প্রকাশ করতে পারবে না।

দুই. বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তার্জাতিক মহলে বিরূপ ধারণা দেওয়ার মতো আরেকটি ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। বিশ্বের ১২৯টি দেশে গণতন্ত্র, অর্থনীতি এবং সুশাসন নিয়ে একটি জার্মান প্রতিষ্ঠান একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। প্রতিষ্ঠান টির নাম, ‘বেরটেলসম্যান স্টিফটুং’। রিপোর্টটি বিশ্বব্যাপী প্রকাশ করা হয়েছে গত ২৩ মার্চ। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে এই সমীক্ষা চালানো হয় যেসব দেশের ওপর, তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে পাঁচটি দেশের কথা। বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া এবং উগান্ডা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই পাঁচটি দেশ এখন আর গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদ- পর্যন্ত মানছে না। এসব দেশে বহু বছর ধরেই গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছিল। এসব দেশের ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণেই এটা ঘটেছে বলে মন্তব্য করা হয় রিপোর্টে। ‘এই পাঁচটি নতুন স্বৈরতান্ত্রিক দেশ এমন একটা পর্যায় অতিক্রম করেছে, যেদিকে যাচ্ছে আরও কিছু ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশ। এসব দেশ হচ্ছে হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, মলডোভা, নাইজার, ফিলিপাইনস এবং তুরস্ক।’ রিপোর্টে ১২৯টি দেশের মধ্যে ৫৮টি দেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং ৭১টি দেশকে গণতান্ত্রিক বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

তৃতীয়ত, এর মধ্যে আরো দুটি ঘটনা ঘটেছে যেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। প্রথমটি হলো, চীনা রাষ্ট্রদূতের বিদায়। গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা ৪২ মিনিটে বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয় যে, চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মা মিংচিয়ান তার বিদায়ের পূর্বে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারো সাথেই দেখা করেননি। এই বিষয়টি রাজনৈতিক ও কটনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, কিছুদিন আগে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র পরিচালক এবং সিআই-এর প্রাক্তন সিনিয়র অফিসার লিসা কার্টিস ঢাকা আসেন। অতীতে লিসা কার্টিসের চেয়েও নিম্ন পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তারা ঢাকায় এলে তাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। কিন্তু লিসা কার্টিসও প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা না করেই ওয়াশিংটন ফিরে যান।

বাংলাদেশে যেসব চীনা রাষ্ট্রদূত অতীতে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে মা মিংচিয়ানকে অত্যন্ত সফল রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, পুনর্বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর শি জিনপিং চীনের আজীবন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন বলে সকলেই ধরে নিয়েছেন। যাই হোক সেই মা মিংচিয়ান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারও সঙ্গেই সৌজন্য সাক্ষাৎ না করে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে, যা এর আগে কখনোই ঘটেনি। বাংলা ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী এ বিষয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ত্যাগের সময়ে অবশ্যই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দেশত্যাগ করে থাকেন। কিন্তু মা মিংচিয়ানের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটেছে।

মা মিংচিয়ান বিদায় নিয়েছেন ঠিকই এবং তার যায়গায় এসেছেন নতুন রাষ্ট্রদূত ঝাং জাও। তার আগমন, দায়িত্ব গ্রহণ এবং সংবাদ সম্মেলনও পর্যবেক্ষক মহলে কিছুটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্তির পর ঝাং জাও ঢাকায় আসেন গত ১২ ফেব্রুয়ারি। অথচ তিনি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন ৭ মার্চ। অর্থাৎ ঢাকায় আগমনের ২২ দিন পর তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। তারও ১৪ দিন পর ২১ মার্চ বারিধারায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসে তিনি একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। কারণ, বৈদেশিক ক্ষেত্রে চীনের কটনীতি সাধারণত নীরব কূটনীতি হিসেবেই পরিচিত।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিগত ৪৬ বছরে অনেক চীনা রাষ্ট্রদূত এখানে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। কিন্তু বর্তমান রাষ্ট্রদূত ঝাং জাও বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সম্পর্কে যে স্পষ্ট কথা বলেছেন তেমন স্পষ্ট কথা অতীতে আর কোনো চীনা রাষ্ট্রদূতের মুখে শোনা যায়নি। তিনি সরাসরি বলে দিয়েছেন যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর চীন নজর রাখছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও মসৃণ দেখতে চায় চীন। নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ওপর আমরা নজর রাখছি। বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই আমরা। একটি মসৃণ নির্বাচন আশা করি।’

তিন. ওপরে যে ক’টি ঘটনা বললাম সেগুলো, যারা আন্তার্জাতিক রাজনীতির পাশা খেলা বোঝেন, তারা এতক্ষণে বুঝে গেছেন যে এগুলো তাৎপর্যময়। আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতও আন্তার্জাতিক রাজনীতি, বিশেষ করে আঞ্চলিক রাজনীতিতে এক ঝানু খেলোয়াড়। তারাও এসব ঘটনার ইঙ্গিত এবং তাৎপর্য ধরতে পেরেছেন। তাই তারাও বসে নেই। গত ২৫ মার্চ প্রিন্ট মিডিয়ার খবরে প্রকাশ, ভারতের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ে ২ নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তা ঢাকায় আসছেন। তারা হলেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিৎ দোভাল এবং পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে। দু’জনেই তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিৎ দোভাল গত ২৭ মার্চ ঢাকায় আসবেন। তার আসার উপলক্ষ হিসেবে বলা হয়েছে যে, তিনি বিমস্টেকভুক্ত দেশগুলোর নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগদানের জন্য ঢাকায় আসছেন। কিন্তু পরারাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলের সফরের কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তিনি ঢাকায় আসবেন ৮ এপ্রিল। বলা হয়েছে যে, ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে তিনি তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষ শহিদুল হকের সাথে জানা শোনা এবং কথা বার্তা বলার জন্য আসবেন। তবে ঢাকায় এসে তিনি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সাথেও দেখা করবেন।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এরশাদের জাতীয় পার্টিও প্রথম দিকে এই নির্বাচন বয়কট করতে চেয়েছিল। তখন ভারতের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। ঠিক সেই সময় ঢাকায় আসেন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং। তার সাথে এরশাদের বৈঠক হয়। এরশাদ সেই সময় বলেছিলেন যে, তার বা তার দলের নির্বাচনে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। কিন্তু ভারতের তরফ থেকে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য তার ওপর প্রচ- চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং তাকে অবশেষে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়। এর পরের কথা সকলে জানেন। এরশাদ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যান এবং সেখানে বসে নমিনেশন পেপারে সই দেন এবং এমপি হন। তারপর এক সময়ের দোর্দ- প্রতাপ এরশাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত নিযুক্ত হন।

গত ২৫ মার্চের আরেকটি খবর সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আগের দিন ২৪ মার্চ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। ২০ দলীয় জোটের সামনে এখন একটি মাত্রই ইস্যু। আর সেটি হলো বেগম জিয়ার মুক্তি। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য এখন থেকে ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে একই প্ল্যাটফর্ম থেকে আন্দোলন করবে। ডেইলি স্টারের রিপোর্ট মোতাবেক, ওই সভায় কেউ কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং শরিকদের মধ্যে আসন বণ্টনের প্রঙ্গটি তুললে সবাই প্রায় এক বাক্যে বলেন যে, এখন ওইসব চিন্তা করার অবকাশ নাই। এখন বরং একমাত্র কাজ হলো বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা।

এই পটভূমিতে জাতীয় পার্টিকে আবার লাইম লাইটে আনা হচ্ছে। এই পটভমিতেই ডিজিটাল নিরাপত্তার ব্যাপারে ইইউসহ ১১টি পশ্চিমা দেশের উদ্বেগ, পশ্চিম জার্মানির একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশকে পাঁচটি নব্য স্বৈরতান্ত্রিক দেশের অন্যতম হিসেবে চিহ্নিত করা, চীনা রাষ্ট্রদূতদের আচরণ এবং বক্তব্য বিবেচনা করতে হবে। আবার সেই পটভমিতেই ভারতের দুই টপ আমলার ঢাকা সফরকে বিবেচনা করতে হবে। আর এই সব কিছুর ভেতর যদি সেন্ট্রাল পয়েন্ট হিসেবে বিরাজ করে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।