বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করে হোয়াইটওয়াশ এড়াল ভারত

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : শুরুর দুই ম্যাচেই রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে বিরাট কোহলিদের সামনে ছিল হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা। তবে শেষ ম্যাচে যেভাবে খেলল ভারত, তাতে কে বলবে এই ম্যাচটা স্রেফ নিয়ম রক্ষার, আদতে ভারত খেলছে ধবলধোলাই এড়াতে?

চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ১০ ডিসেম্বর শনিবার ঈশান কিষাণের দাপুটে, রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ল সফরকারীরা। কিষাণ-কোহলিদের ৪০৯ রানের সেই পাহাড়ের অর্ধেকও ডিঙাতে পারেনি বাংলাদেশ, থেমেছে ১৮২ রানে। তাতে ভারত পেয়েছে ২২৭ রানের বিশাল এক জয়। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ এড়াল দলটি।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধূরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করে ঈশান কিষাণের ২১০ এবং বিরাট কোহলির ১১৩ রানে ৪০৯ রানের পুঁজি পায় ভারতীয় দল। ম্যাচটা কার্যত শেষ সেখানেই। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ ৪০০ তো দূরের কথা, ৩৫০ রানও যে করতে পারেনি কখনো! সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১০ রানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ অভাবনীয় কিছু করে বসবে, সেটা কষ্টকল্পনাই ছিল বৈকি!

ভারতের দেওয়া হিমালয়ের পর্বত সমান রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা, সেটা অবশ্য অনুমিতই ছিল। শুরুতে এনামুল হক বিজয় ফেরেন ৭ রানে। লিটন দাস ক্রিজে থিতু হয়েও পারেননি বড় রান করতে, ফিরেছেন ২৯ রান করে।

দ্বিতীয় ওয়ানডের পর শেষ ম্যাচেও দ্রুত ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটার করেন মোটে ৭ রান। চতুর্থ উইকেটজুটিতে সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির রাব্বি ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলেও বেশি দূর এগোতে পারেননি। দলীয় ১০৭ রানের সময় ভাঙে ৩৪ রানের এই জুটি। রাব্বি ফিরে যান ২৫ রান করে।

এর পরই অবশ্য টাইগার শিবিরে বড় আঘাত হানেন ভারতীয় স্পিনার কুলদীপ যাদব। ৪৩ রানে ব্যাট করা সাকিবকে বোল্ড আউটে ফেরান এই চায়নাম্যান স্পিনার। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ২০ রানেই থেমে যায় তার ইনিংস। রিয়াদের ফেরার পরই ফিরে যান আফিফ হোসেন (৮)। শেষ দুই ম্যাচের নায়ক মেহেদী মিরাজ অবশ্য এদিন করেছেন মোটে ৩ রান। এরপর তাসকিন আহমেদ আর মুস্তাফিজুর রহমান মিলে শেষ উইকেটজুটিতে ২৬ বলে তোলেন ৩৩ রান। তাতে কেবল বাংলাদেশের রানটাই বেড়েছে; হারের ব্যবধানটা কমেছে একটু, তবে সেটা ভদ্রস্থ হয়নি মোটেও।

ভারত শেষমেশ ম্যাচটা জিতেছে ২২৭ রানে। সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ঈষান কিষাণ। ম্যান অব দ্য সিরিজ মেহেদী হাসান মিরাজ।

ঠিকানা/এনআই