ঠিকানা রিপোর্ট : মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি কুলাউড়া উপজেলা শাখার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে কুলাউড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে।
কুলাউড়া মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি, আলী আমজদ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুল কাদিরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক, কুলাউড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মতিনের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ স ম কামরুল ইসলাম, বাকশিস কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুর রউফ, মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান, কুলাউড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ার, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. খুরশিদ উল্লাহ, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মাসুক ও সাবেক সভাপতি মো. আবদুল খালিক। এছাড়া বক্তব্য দেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি মো. আবদুল মালিক ও মোজাহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান ছুরুক, কর্মধা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সহিদ বাবুল প্রমুখ।
আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি এম এম শাহীন বলেন, ‘সারা বিশ্বে, সব সমাজে শিক্ষকতা পেশার মর্যাদা অনেক উঁচুতে। শিক্ষকতাকে বলা হয় মহান পেশা। জীবন-জীবিকার তাগিদে নয়, এই মহান পেশায় যারা যোগ দেন, তারা মন-মনন-হৃদয়ে হন উচ্চশ্রেণির মানুষ। শিক্ষক সমাজের কারণেই মানব জাতি আজ এত দূর এগিয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি থেকে শুরু করে একেবারে নিম্নশ্রেণির নাগরিক পর্যন্ত সবাই কারো না কারো শিক্ষক। তাই শিক্ষকেরা সমাজে-রাষ্ট্রে শ্রদ্ধেয়-নমস্য।’
তিনি আইটি সেক্টরের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। আইটির মাধ্যমে সারা বিশ্বকে মুহূর্তেই জানা যাচ্ছে। তাই একজন ভালো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর গণ্ডি কেবল কুলাউড়া কিংবা বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নেই, তারা এখন বিশ্ব নাগরিক। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রেখে সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশিরা আজ কেবল শ্রমিক হিসেবে নয়; বিশ্ববিদ্যালয়, আইটি, আর্থিক খাতসহ সকল সেক্টরে উচ্চ পদে কর্মরত আছে। নিজেদের মেধা তারা কেবল বাংলাদেশের কল্যাণেই ব্যয় করছে না, বিভিন্ন দেশেও এই মেধাসম্পদকে কাজে লাগিয়ে নিজের ও দেশের সুনাম বয়ে আনছে। তাই বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরো মেধাবী ও দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হলে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। আমি আশা করব, শিক্ষকেরা তাদের মেধার সর্বোচ্চটুকু প্রয়োগ করে সুশিক্ষিত জাতি গড়ার মাধ্যমে আলোকিত সমাজ ও দেশ গঠনে আরো দায়িত্বশীল হবেন।’
এম এম শাহীন শিক্ষক সমাজের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আরো বলেন, ‘কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা, প্রীতি মধ্যাহ্নভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমার মতো একজন সাধারণ মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তারা আমাকে যে সম্মান জানালেন, এ জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
সভায় অন্য বক্তারা শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করার জোর দাবি জানান। এদিকে কুলাউড়ার মাধ্যমিক শিক্ষকদের কল্যাণ ফান্ডে এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এম এম শাহীন। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা সহায়তা করেন বাকশিস কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মো. আবদুর রউফ। অনুষ্ঠানে উপজেলার ৩৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে প্রীতি মধ্যাহ্নভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।