নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : বাংলাদেশে আগামীতে কোন দল ক্ষমতাসীন হবে, এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। একদিকে আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই ক্ষমতা হাতছাড়া করতে নারাজ, অন্যদিকে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বিএনপি। এ অবস্থায় যেকোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে বা ক্ষমতায় যেতে দুটি দলই যেকোনো ধরনের ছাড় দিতেও পিছপা হবে না। প্রয়োজনে দেশের ক্ষতি মেনে নেবে, কিন্তু দলকে ক্ষমতার বাইরে দেখতে চাইবে না। আর এ সুযোগটাই নিতে চাইছে আন্তর্জাতিক মহল। বিএনপি-আওয়ামী লীগের বিভেদকে পুঁজি করে তারা বাংলাদেশে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার ফন্দি আঁটছে। এই সুযোগে আন্তর্জাতিক মহল চাইছে বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিক আধিপত্য বিস্তার করতে। দুটি দলের কাছেই তারা এ বিষয়ে সহযোগিতা চাইবে। যে দল তাদের শর্ত মানবে, তারাই হবে আগামী দিনে ক্ষমতাসীন। আর কোনো দলই এ ব্যাপারে রাজি না হলে তৃতীয় কোনো শক্তিকে দিয়ে কাজটি করতে চাচ্ছে ওই মহল। এ জন্য বিভিন্ন দলের ক্ষমতালোভী, উচ্চাভিলাষী ও দেশপ্রেমিকহীন নেতাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, যাদের মাধ্যমে সহজেই বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপি দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে রাজি হয়নি। ফলে ক্ষমতা ও সংসদ থেকে তাদের বাইরে বের হয়ে যেতে হয়েছে। খালেদা জিয়ার ঠাঁই হয়েছে কারাগারে আর তারেক রহমান হয়েছেন নির্বাসিত। সে সময় আওয়ামী লীগকে দিয়ে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা হয়। এখন আবার বিএনপিকে দিয়ে ও নানা চাপ তৈরি করে আওয়ামী লীগকে ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। তবে কোনো আধিপত্যের কাছে ও কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া করতে নারাজ তিনি। আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত রাজি না হলে তারা হাত বাড়াবে বিএনপির দিকে। সেখান থেকেও প্রত্যাখ্যাত হলে দেশে নতুন কোনো দল গঠন করে হলেও তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলটি। ইতিমধ্যে এ ধরনের একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের প্রতি জামায়াতসহ কয়েকটি ধর্মীয় দলের ক্ষোভ রয়েছে। এছাড়া সুশীল সমাজের একটি অংশেরও ক্ষোভ রয়েছে। বিভিন্ন দলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতারা দলটির প্রতি ক্ষুব্ধ। এর বাইরেও একটি অংশ রয়েছে, যারা উন্মুক্ত বাণিজ্য চায়। তাদের দিয়ে আগামী দিনে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হতে পারে। সেই দলকে ক্ষমতাসীনও করা হতে পারে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে নতুন সরকার গঠন করার পরিকল্পনায় অগ্রগতি হতে পারে। ২০০৭ সালে জেনারেল মইনকে দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি তাতে রাজি না হয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নিয়েছেন।
২০০৯ সালে আর্মি ব্যাক সরকার চেষ্টা করেছিল নিজেদের মতো করে একটি নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার। সেটা তারা দুই পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করেই করেছে। বিদেশি আধিপত্যে ওয়ান ইলেভেন হলেও পরে সবকিছুই বদলে যায়। ওই সরকারের শেষ দিকে সেখানে বিদেশি আধিপত্য তেমনভাবে ছিল না। তবে তাদের পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছিল। ওই সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলকে মাইনাস করা, তাদের নেত্রীদের বংশসহ রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু জনগণের মনোভাব বদলে যাওয়ার কারণে তা আর হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেনা-সমর্থিত সরকারও নির্বাচন দিয়েছে। যদিও সেনা-সমর্থিত সরকারের একটি গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারা প্ররোচিত হয়েছিল এবং ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নও দেখেছিল। ষড়যন্ত্র করেছিল দুই নেত্রীকে মাইনাস করার। তাদের দলকে মাইনাস করার। সেই হিসেবে কাজও করেছে কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। আন্তর্জাতিক মহলের একটি অংশের তখনো পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশে এমন একটি সরকারকে ক্ষমতাসীন করা, যে সরকারকে সামনে রেখে বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যাবে এবং আধিপত্য কায়েম করা যাবে। কিন্তু সেনা-সমর্থিত সরকারের কেউ এ ধরনের পরিকল্পনা সফল হতে দিতে রাজি ছিলেন না। তারা সবার আগে দেশের স্বার্থই চিন্তা করেছেন। এ জন্য শেষ পর্যন্ত নিজেরা ক্ষমতা না নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নিয়েছে। তবে এখনো বসে নেই আন্তর্জাতিক মহলের সেসব শক্তি, যারা বঙ্গোপসাগরে আধিপত্য নিতে চায়। আর চীনকে চায় দমাতে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ভালো সম্পর্ক তাদের কাছে পছন্দনীয় নয়। বেগম খালেদা জিয়া মূলত চীনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সম্পর্ক করেছিলেন। চীনের প্রতি তাদের আস্থাও হয়ে উঠেছিল অনেক বেশি। এ কারণে তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান সরকার মধ্যপন্থা অবলম্বন করছে। তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সব মহলের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যতই বিতর্ক কিংবা সমালোচনা হোক, শেখ হাসিনার সরকার বেশ কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে, এটা কেউ স্বীকার করুক বা না করুক। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি আর কোনো দিন বিদেশি কোনো শক্তির প্রাধান্য বরদাশত করবেন না। তিনি সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক চান। সেটা রেখেই এগোতে চান। সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। বিদেশি বিভিন্ন শক্তি তাকে বারবার ভয় দেখানোর চেষ্টা যেমন করেছে, চাপও তৈরি করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই চাপকে মেনে নেননি। তার সামনে এখনো প্রচ- রকম চাপ আছে। এ কারণে ওই বিদেশি শক্তিগুলো তৎপর রয়েছে, যাতে করে তাদের কথা তিনি মানেন। আর তাদের কথা মানলে ও তাদের সুবিধা দিলেই শেখ হাসিনা ফের বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদে বসবেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্রকারীরা ফের তৎপর হয়েছেন।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশকে ঘিরে ২০০৭ সালে যে ধরনের পরিকল্পনা করে ওয়ান ইলেভেন করানো হয়েছিল, আগামী দিনেও রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে ওই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার জন্য নানা চাপ তৈরি করা হবে। বর্তমান সরকার ওই ধরনের সরকার গঠন না করলে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হতে পারে। আর সেখানে থাকতে পারেন বিদেশি সব শক্তির পছন্দের ব্যক্তিরা, যাদের তুলনামূলকভাবে দেশপ্রেম কম। এখন সেই ধরনের নেতাদেরই খুঁজে বের করা হচ্ছে; যারা কিনা ক্ষমতায় যেতে ইচ্ছুক, মন্ত্রিত্ব পেতে ইচ্ছুক, নিজেদের স্বার্থটাকেই বড় করে দেখবেন। আর তাদের দিয়েই বিদেশি শক্তি তাদের আধিপত্য নেওয়ার যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়ন করতে পারবে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের একটি অংশ আর ইসলামি শক্তির একটি অংশকে সামনে রেখেই পরিকল্পনা হচ্ছে। আগামী ৫০ বছরের মধ্যে এশিয়ার সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক হাব গড়ে উঠবে বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে। সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার অনেক বাড়বে। এতে করে বেশি সুবিধা নেবে চীন। আর চীন সেটা নিতে গেলে গোটা বিশ্বে চীনের অর্থনৈতিক আধিপত্য বাড়বে। কিন্তু চীনের আধিপত্য অন্যান্য ক্ষমতাধর শক্তিগুলো মেনে নেবে না। চীনকে অর্থনৈতিকভাবে আর এগোতে না দেওয়ার একটি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চলছে। কিন্তু চীন দিনের পর দিন অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
চীনের এই আধিপত্য আরও বাড়বে আগামীতে। ভারতেরও প্রাধান্য থাকবে। তবে ভারত কখনোই চীনের সঙ্গে পারবে না। কারণ চীন সব দিক থেকেই এগিয়ে আছে। যারা ওখানে নিয়ন্ত্রণ চায়, সেই বিদেশি মহলের লক্ষ্য রয়েছে ভারতকে দিয়ে ওই অঞ্চলে একটি আধিপত্য বিস্তার করা। এ কারণে ভারতকে শক্তিশালী করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও করা হবে। ভারতেও রাজনীতির নানা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদিকে সেই পরিকল্পনায়ই ভারতের মসনদে বসানো হয়েছিল। তিনি চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ও সম্পর্ক আরও জোরালো করতে। এ জন্য তিনি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশ সফরও করেছেন। বিদেশি শক্তির মূল পরিকল্পনায় রয়েছে বঙ্গোপসাগরের হাবের নিয়ন্ত্রণ যদি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, তাহলে সেটা ভারত, মিয়ানমারকে দিয়েই রাখতে হবে। এ জন্য দুই দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ তা চায় না বলে নানা চাপে রয়েছে। বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের পাঠিয়ে একটা বড় ধরনের চাপ তৈরি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার মতো কথাও কিছু কিছু শোনা গিয়েছিল। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনী এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে।
সূূত্র জানায়, বিভিন্ন দিক থেকে শোনা যাচ্ছে, আগামী দিনে বঙ্গোপসাগরের আধিপত্য যে দল ওই বিদেশিদের দেবে, সে দলই ক্ষমতাসীন হবে। সেটা হতে পারে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি। অথবা অন্য কোনো দল। আওয়ামী লীগ-বিএনপি রাজি না হলে আবারও চেষ্টা হতে পারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ২০০৭ সালের মতো কোনো সরকার গঠন করা। ওই সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেই আনা হতে পারে নতুন নির্বাচিত সরকার। সেই সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর কারো হাতে। এ ক্ষেত্রে জামায়াতকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। জামায়াত আগামী নির্বাচনে নিজের নামে অংশ নিতে পারছে না। তবে তারা নাম পরিবর্তন করে ভিন্ন নামে নির্বাচনে অংশ নেবে। এছাড়া আগামী নির্বাচনে হেফাজত একটি বড় ভূমিকা রাখবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিকেও প্রাধান্য দেওয়া হবে। জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানায়, বঙ্গোপসাগরের আধিপত্য নিয়ে ঠান্ডা লড়াই চলছে আন্তর্জাতিক মহলের একটি অংশে। সেই লড়াইয়ের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
আরেকটি সূত্র জানায়, দুই নেত্রী ও তাদের উত্তরাধিকারীদের মাইনাস করার ষড়যন্ত্র অব্যাহতভাবে চলছে। বেগম খালেদা জিয়া পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ও নিজে সবকিছুু নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়ে কারাগারে রয়েছেন। শেখ হাসিনা ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেফতার হয়ে বিদেশে গেছেন। দেশে ফিরেছেন। নির্বাচিত হয়েছেন। সরকার গঠন করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করেছেন। এখনো লড়াই করে যাচ্ছেন। তাকে যাতে মাইনাস করতে না পারে, সে জন্য তিনি আগামীতেও একটি নির্বাচন করবেন। বিএনপি না এলেও সেই নির্বাচন হবে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবেন, সেটা অনেক বড় বিষয়।
এদিকে খালেদা জিয়া কারাগার থেকে কোনো কিছু করতে না পারলেও তারেক রহমান বিদেশে বসে বিএনপিকে ক্ষমতাসীন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র জানায়, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে কিংবা যেতে দেওয়া হবে এমন কোনো লক্ষণ নেই। বরং তৃতীয় কোনো দল কিংবা শক্তিকেই ক্ষমতাসীন করা হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কোনো দলই দেশের স্বার্থে বঙ্গোপসাগর নিয়ে কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে সমঝোতা করেনি। এ কারণে আধিপত্য বিস্তারকারীরা চেষ্টা করছেন, আগামী দিনে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্য দিতে। তাদের সঙ্গে এমন সব নেতাকে রাখা হবে, যারা এ ব্যাপারে দুই নেত্রীর মতো আপত্তি করবেন না। ইতিমধ্যে ওই সব নেতা ও ব্যক্তির তালিকা করা হয়েছে। আরো তালিকা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী দিনের পরিকল্পনা সফল করার জন্য তারা অক্টোবরের পর তৎপর হতে পারেন বলেও ওই সূত্র জানায়। তবে তুলনামূলকভাবে ক্ষমতালিপ্সু, উচ্চাভিলাষী ও দেশপ্রেমিক নন এমন নেতাদের ও নতুন মুখকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে; যারা বঙ্গোপসাগরের আধিপত্য দেওয়া-নেওয়া নিয়ে এত বেশি আগ্রাসী ও একরোখা হবেন না। তাদের নিয়ে নতুন একটি দলও গঠন করা হবে।