বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ফ্লাইট ফের চালু হবে

দীর্ঘ দেড় যুগ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকার পর আশার বাণী শোনালেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল।
সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এই তথ্য জানান। তিনি জানান, আমেরিকাতে সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে আমরা আগ্রহী। ছোট বিমান ক্রয় করার পর অনতিবিলম্বে আমেরিকাতে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার চেষ্টা করব।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত সম্পুরক প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, আমরাও চাই বাংলাদেশ থেকে বিমান সরাসরি আমেরিকায় যাক। কিন্তু আমাদের বোয়িং ৭৭৭ বিমান যদি সেখানে যায় তাহলে যাত্রী পাওয়ার জন্য সেখানে ৩-৪ দিন বসে থাকতে হয়। এজন্য বিমানের ক্রুসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের আমেরিকাতেই থাকতে হয়। এতে অনেক লোকসান হয়। তাই আমরা ছোট বিমান কিনছি। আমরা ২০০-২৫০ যাত্রীবাহী বিমান কেনার পর অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ-আমেরিকা ফ্লাইট চালু করার চেষ্টা করবো।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও মামুনুর রশিদ কিরণের পৃথক দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিমানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ বিমান এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান। আরো বেশি লাভজনক করতে বিমানের নতুন নতুন রুট চালু করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, গত অর্থবছরে বিমানের আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা, বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। লাভের পরিমাণ ৪৬ কোটি ৭৬ লাখ।
বিমানকে লাভজনক করার জন্য বহরে নতুন বিমান যুক্ত করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী জানান, বিমান বহর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বোয়িং কম্পানির সঙ্গে ২০০৮ সালে ১০টি উড়োজাহাজ ক্রয় চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। উক্ত চুক্তি অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৪টি ৭৭৭-৩০০ইআর ২০১১ ও ২০১৪ সালে এবং ২টি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ ২০১৫ সালে বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। অবশিষ্ট ৪টি ৭৮৭-৮ (ড্রীম লাইনার) উড়োজাহাজের মধ্যে ২টি উড়োজাহাজ চলতি আগস্ট ও নভেম্বর, অপর দুটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বিমানের কাছে হস্তান্তরের জন্য নির্ধারিত রয়েছে।