ঠিকানা রিপোর্ট : বাজারে কমতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। করোনা-পরবর্তী সময়ে এক বছর ধওে কোনো কোনো পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছিল, তাতে কিছুটা লাগাম এসেছে। এতে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে জ্যাকসন হাইটসের একটি গ্রোসারির মালিক বলেন, জিনিসপত্রের দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো প্রত্যাশিতভাবে কমছে না। যেমন ডিমের দাম কমলেও গরুর মাংস ৪০ সেন্ট বেড়ে গেছে।
এদিকে একই কোম্পানির জিনিস একেক দোকানে বিক্রি হচ্ছে একেক দামে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এলাকা ও দোকান ভেদে প্যাকেট প্রতি তিন থেকে চার ডলার বেশি। জ্যাকসন হাইটসের মাছ বাজারে একটি কোম্পানির রুটি বিক্রি হচ্ছে ৫.৯৯ ডলারে। একই রুটি জ্যামাইকার একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৮.৯৯ ডলারে। জ্যামাইকার ওই গ্রোসারি শপের কাউন্টার পারসনকে দাম বেশি নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কোন দোকানে কী দামে জিনিস বিক্রি হয় এটা আমরা জানি না। আমাদের দোকানে যে জিনিসের গায়ে দাম যা লাগানো হয়েছে, সেই দামেই পণ্য কিনতে হবে ক্রেতাদের। বেশ কয়েক মাস ধরেই জ্যামাইকার সাবওয়ের কাছে ওই গ্রোসারিতে বিভিন্ন জিনিসের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাজারে একই ব্র্যান্ডের একই পণ্য তিন থেকে চার ডলার ব্যবধানে বিক্রি হলেও দেখার কেউ নেই।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাজারে কমতে শুরু করেছে। এই প্রভাব এখনো বাজারে তেমনভাবে পড়ছে না, কারণ অনেক হোলসেলার জিনিসের দাম কমাচ্ছেন না। তারা জিনিসের দাম বাড়িয়ে রেখেছেন।
মাছ বাজারের কর্ণধার বলেন, আমরা দাম কমানোর বিষয়ে হোলসেলারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাম কমানোর অনুরোধ করেছি কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ রাখছেন না। তিনি বলেন, আগে যে কন্টেইনারের ভাড়া হয়েছিল ২০-২১ হাজার ডলার, এখন সেই কন্টেইনারের ভাড়া আবার আগের মতো তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার ডলারে এসেছে। এ কারণে এখন পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কমেছে। ফলে জিনিসপত্রের দামও কমার কথা। কিন্তু সেভাবে কমছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। এখন এক ডজন ডিম মিলছে ১.৩৯ ডলার থেকে ১.৪৯ ডলারে। কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ১.৯৯ ডলার। এখানে ব্যবধান হচ্ছে ব্র্যান্ডের। তবে সবজির দাম এখনো বেশি।
গত সপ্তাহ থেকে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে পাউন্ড প্রতি ৪০ সেন্ট। এখন চার ডলার করে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে তা আরো বেড়ে ৪.৪০ ডলার থেকে ৫ ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
একটি সূত্র জানায়, অন্য হোলসেলাররা জিনিসের দাম কমাতে শুরু করেছেন। কিন্তু বাঙালি হোলসেলারদের অনেকেই দাম কমাচ্ছেন না। তারা দাম ধরে রাখায় পণ্যের দাম যে হারে কমার কথা, সেভাবে কমছে না। এ কারণে বাংলাদেশি যেসব ব্র্যান্ডের চাল বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো না কিনে অনেকে বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের কম দামের চাল কিনছেন। অনেকে আবার আমেরিকান ব্র্যান্ডের চাল খাওয়ার অভ্যাসও করছেন। কারণ, আমেরিকান বিভিন্ন ব্যান্ডের চালের দাম অনেক কম।