বাসনার এক ধাপ

নন্দিনী মুস্তাফী :

তারুণ্যকে দিলাম ছুটি আজীবনের তরে;
এসো তবে; হাত বাড়াও
বার্ধক্যের খাতায় নাম লিখি বীরদর্পে!
শিশুতোষ-বর্ণমালা ছেড়ে,
এসো জীবনের গল্প পড়ি।

বারুদ, গোলা, মিসাইল, মিছিল
রকেট সাবমেরিন আর প্রতিবাদের
ঝড় তুলে দিই তৃণ থেকে অগ্রমুখীর।
এসো তবে আবাল বৃদ্ধ যুবা তরুণ
ছিঁড়ো-ফাড়ো-খোঁড়ো-ভাঙো;
অন্ধ চোখে আগুন জ্বালো।

ডানপিটে ডাংগুলি বউচি খেলে
করেছি শতসহস্র সময়ের ব্যবচ্ছেদ,
এসো নতুন খেলায় মেতে উঠি
চিনে নিই আলু পেঁয়াজ নুনের মিশ্রণ
আর চাল ডালের ফিরিস্তি।
পান মসলা বিড়ি সিগারেটের তীব্র ঝাঁজালো সুগন্ধিভেজা ঠোঁটের কোণ,
খুঁজে নিই আপন ঠিকানা।

ডুরে কাটা বারো হাতের পেঁচানো কোমর
বুক টানটান উত্তেজনায়
হেঁটে যাই হাতে হাত রেখে;
এসো কুয়াশা দেখি অস্পষ্টতায়
চাঁদকে টেনে আনি জীবন তমসায়।
বরষায় ভিজি ঝিঙের দুলুনিতে,
শীতের তীব্রতায় ওম খুঁজে নেই
শালুক পুড়িয়ে খোলা আকাশে।

চুলের ভাঁজে ভাঁজে কাশের দাপাদাপি
চীর যৌবনা হৃদয়খানা,
আকুলিবিকুলি করে দুরন্তপনায়
ছুড়েফুঁড়ে বেরিয়ে পড়ি
টুকরো করি রাতের অন্ধকার
মেঘের নরম পেজা তুলোয়
জড়িয়ে রাখি দেহের বিষণ্নতায়।