ঠিকানা অনলাইন : ভারতে প্রায় আট বছর কখনো বন্দী এবং কখনো গৃহবন্দী থাকার পর অবশেষে দেশে ফেরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের। দেশটিতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সেখানে দায়ের হওয়া মামলায় সম্প্রতি খালাস পেয়েছেন তিনি।
৮ জুন বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন তার দেশে ফিরতে আর কোনো বাধা নেই।
ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তি পাওয়ার পর তাকে ‘ট্রাভেল পারমিট’ (টিপি) দেওয়ার বিষয়ে সরকারের সম্মতির কথা গোহাটিতে বাংলাদেশ মিশনকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন কবে ফিরতে পারবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা তার ওপর নির্ভর করবে। তিনি যেকোনো সময় আসতে পারবেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে ‘নিখোঁজ’ হন। তখন তিনি ছিলেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব। দলের পক্ষে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক এই প্রভাবশালী কর্মকর্তা। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বেশ আস্থাভাজন নেতা হিসেবে দলে তার পরিচিতি রয়েছে।
সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর তার ঘনিষ্ঠজনেরা তখন অভিযোগ করেন যে তাকে গুম করা হয়েছে।
দুই মাস পর একই বছরের ১১ মে মেঘালয়ের শিলং পুলিশ সালাহউদ্দিনকে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার করে। ভারতে প্রবেশের বৈধ কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্টে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় পুলিশ। সে বছরের ২২ জুলাই এ-সংক্রান্ত মামলায় তার বিচার শুরু হয়। প্রায় সাড়ে সাত বছর বিভিন্ন পর্যায়ে মামলাটি চলার পর চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ের শিলং জজকোর্ট এক রায়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেন।
তবে পাসপোর্ট না থাকায় সালাহউদ্দিন দেশে ফিরতে গোহাটিতে বাংলাদেশ মিশনে টিপি চেয়ে আবেদন করেন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাকে টিপি ইস্যু করা হবে বলে রফিকুল ইসলাম জানান।
বিএনপি ২০০১ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর সালাহউদ্দিন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ভারতে অবস্থানকালেই দলটি তাকে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত করে।
ঠিকানা/এনআই