শামসাদ হুসাম :
লোকাল টিভি চ্যানেলের নিউজ দেখার জন্য এখন আর আগের মতো উৎসাহ পাই না। নব ঘুরালেই সেই একই খবর। কেবলই নেতিবাচক খবরের ছড়াছড়ি। খুন-রাহাজানি, ডাকাতিসহ হেইট ক্রাইয়ের নানাবিধ উপমা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম এই নিউইয়র্ক নগরী এখন পরিণত হয়েছে আতংকের নগরীতে। ঘর থেকে বের হলে আবার যে কেউ নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবেন, এমন নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না স্বয়ং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে যারা কর্মরত আছেন তারাও। কারণ তারাও এখন দুর্বৃত্তদের হিট লিস্টে রয়েছেন। যার প্রমাণ হলো গত আগস্ট মাসে ব্রঙ্কসের সাউন্ড ভিউ এলাকায় একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ অফিসার মুহাম্মদ চৌধুরীর দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক রকমের আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তির খবর। আরো মজার খবর হলোÑ নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামসের সহকারী ক্রিস বাউ একইভাকে গত মাসে দুর্বৃত্তদের হামলায় তার সর্বস্ব হারিয়েছেন।
ক্রিস বাউ জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে যখন এই হামলার কবলে পতিত হয়েছিলেন, তখন কিন্তু কোন অন্ধকার সময় ছিল না। সকাল দশটার সময়ে রাস্তা থেকে বের হয়ে রাস্তার অপর পাশে পার্ক করে রাখা গাড়ির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময়ে ঐ হামলার ঘটনাটি ঘটে। দুই সশস্ত্র ব্যক্তি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। তিনি এখন তার পরিচয় দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও রেহাই মিলেনি। বরং তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা শেষে তার পকেটে রাখা ওয়ালেট এবং সেলফোন নিয়ে নির্বিঘ্নেই পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। ঐ হামলাকারীদের পুলিশ পরে ধরতে পেরেছে বলে কোন খবর আর প্রকাশিত হয়নি, না প্রিন্ট মিডিয়ায়, না ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায়। একই ঘটনা পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ চৌধুরীরা বেলাও ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা তার ওয়ালেট ও সেলফোন ছিনিয়ে নিয়েছে, তবে তার শরীরের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার কারণে তার মাথায় স্কাল ফ্র্যাকচার হয়ে অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা চৌধুরীকে শেষ পর্যন্ত এ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু এই খবরটি খুব গুরুত্বের সাথে বিভিন্ন টিভি প্রচার করলেও শেশ পর্যন্ত হামলাকারীদের পুলিশ ধরতে পেরেছে, এমন খবর আর কোন মিডিয়ায় প্রচার হয়নি। যদিও এনওয়াইপিডি ঐসব দুর্বৃত্তদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য ৩,৫০০ ডলারের একটি পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ঐ হামলায় মারাত্মক ধরণের আহত পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ চৌধুরী হলেন তৃতীয় পুলিশ কর্মকর্তা, অর্থাৎ তার আগে আরো দু’জন পুলিশের কর্মকর্তা একইভাবে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।
নিউইয়র্কের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির দিকে চোখ ফেরালে ঐ খবরটি খুব সহজে সামনে উদাহরণ হিসেবে আনা যায়। অবশ্য যে কেউই বিষয়টি স্বীকার করতে এক বাক্যে রাজি হবেন, তাতে কোনই সন্দেহ নেই। কারণ নিউইয়র্ক এখন শুধু আতঙ্কের নয়, ঘৃণারও শহর। তার আরো বড় উদাহারণ হলো, মানুষ খুব সহজে এই শহরে অন্য আরেক নিরাপরাধ মানুষকে খুন করতে মুহূর্ত সময় ব্যয় করে না। যেমন সাবওয়ে স্টেশনের প্লাটফরমে অপেক্ষারত অন্য আরেক মানুষকে ধাক্কা দিয়ে চলমান ট্রেনের নিচে ফেলে দিয়ে অবলীলায় খুন করতে বাধে না এখন যাত্রীবেশী অপর খুনি ব্যক্তিটির। পথচলা একজন বয়স্ক ব্যক্তিও ঐসব খুনিদের হাতে নিরাপদ নন। এমন সব মানুষদের হাতে বন্দুক চলে গেছে, যাদের বয়স আঠারোও হয়নি। সে কারণে এই শহরে খুন, আর রাহাজানির মাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এসব ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে ব্রকস, ব্রুকলিন আর ম্যানহাটানে। আগে কুইন্স এলাকা একটু নিরাপদ থাকলেও এখন কুইন্সও আক্রান্ত হচ্ছে। নানা ধরনের হামলায় পড়ে একাধিক মানুষের খুন হওয়ার ঘটনা যেনো ডাল-ভাতের মতো সহজ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে নিউইয়র্কে। আর তাই অপরাধের মাত্রা এতটাই বাড়ছে, একই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খুন হয়ে যাওয়া অসহায় মানুষের সংখ্যাও।
কারণ পুলিশ এখন দর্শকের ভূমিকায়। ব্লাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের পরে পুলিশের উপর অনেক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এই বিষয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের সাবেক কমিশনার হাওয়ার্ড সাফির ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা এখন খুব খারাপ সময় অর্থাৎ পুরনো দিনে ফিরে যাচ্ছি। আমরা পুলিশের তহবিল কমিয়ে দিচ্ছি। পাগলাটে জামিন আইন দিয়ে পরিচিত এবং চিহ্নিত অপরাধীকে মুক্তি দিয়ে তাদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছি যে, পুলিশের উপর তোমাদেও ভয়-ডর না রাখলেও চলবে! অতএব অপরাধীর সংখ্যাতো বাড়বেই। এখন এই খুন-রাহাজানি আর ডাকাতির সাথে জড়িয়ে পড়া অপরাধীদের কাছে বার্তা হয়ে পৌঁছাও কি ভয়ঙ্কর, এ বিষয়টা চিন্তা করলে মাথা গরম হয়ে যায়। অথচ নীতি নির্ধারণী মহলের নিয়ামক হয়ে ওঠা শক্তি যেনো বেমালুম অসহায় এখন এই অসাধু চক্রের হাতে।
নিউইয়র্কের গত টার্মের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের পরে পুলিশের বাজেটের প্রায় বিলিয়ন ডলার কাঁটছাঁট করা ছাড়াও অপরাধীদের জামিন সংস্কার আইন চালু করেছিলেন। যার কারণে চিহ্নিত অপরাধীরা মারাত্মক ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার পরেও গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এখন। শুধু ঐসব কারণেই নয়, অন্যান্য কারণেও নিউইয়র্ক এখন সাধারণ মানুষের কাছে বসবাসের অযোগ্য এক শহরে পরিণত হয়ে পড়ছে। তার মধ্যে অন্যতম আরেকটি কারণ হলোÑ বাড়ি ভাড়া গত কয় বছরে ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা সাধারণ মানুষ। তার উপর গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের ফলে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে গেলো অস্বাভাবিক মাত্রায়। অনেকে মনে করেছিলেন, হয়ত একশত ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে তেলের মূল্য, কিন্তু সব অনুমানকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে দিয়ে ব্যারেল প্রতি ঐ উচ্চমূল্য গিয়ে উঠলো ১৩৯ ডলারে, যদিও বর্তমানে তা কমেছে অনেকখানি। কিন্তু জ¦ালানি তেলে মূল্যের বাড়া-কমার সাথে জড়িয়ে রয়েছে আরো কিছু বিষয়। যেমন নিউইয়র্কের গ্রোসারি মালিক/ব্যবসায়ী সমাজ তেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দিলেন। দিলেনতো দিলেন, এখন পর্যন্ত আর তা কমার কোন লক্ষণই নেই। এ এক ভয়াবহ অবস্থা। অন্যদিকে এসব পরিস্থিতির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ি ভাড়া এতটাই বেড়ে দাঁড়ালো যে, সাধারণ ভাড়াটিয়ার পক্ষে একেবারে নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম। রিয়েল এস্টেট খাতের ভাড়া নিয়ে কাজ করে যে প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ, জাম্পারের রেন্ট রিপোর্টের তথ্য মতে, নিউইয়র্কে দুই বেডরুমের ভাড়ার গড় হার হচ্ছে গত বছরের তুলনায় ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বলা হচ্ছে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ক্রমবর্ধমান এই হার। বলা হয়ে থাকে, দেশের সব বড় মানুষেরা বাস করেন টেক্সাসের হিউস্টন নগরীতে। এখন সেই হিউস্টনের চেয়েও নিউইয়র্ক সিটির বাড়ির ভাড়ার হার দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। আর ক্যানসাসের বাড়ি ভাড়ার তুলনায় নিউইয়র্কের বাড়ি বাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে ছয়গুণ বেশি। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ, যারা শুধু ট্রান্সপোর্ট সুবিধার কথা মাথায় রেখে নিউইয়র্কে বাস করার কথা ভাবতেন, তাদের অবস্থা এখন লেজে-গোবরে দশা। কোভিডের পরে যখন নিউইয়র্কের পাবলিক স্কুলগুলো খুলতে শুরু করেছে, তখন আর একটা বিষয় সামনে এলো। দেখা গেল ঐসব স্কুলের শিক্ষার্থী ব্যাপকভাবে কমে গেছে। শুধু তাই নয়, মারাত্মক আকারের শিক্ষক সংকটের কবলে পড়েছে নিউইয়র্কের সর্বাধিক শিক্ষা ব্যবস্থা। তার কারণ ব্যাপকহারে অভিবাসী সমাজ, যারা নিউইয়র্কে থাকার আশা নিয়ে একদিন স্বপ্নের বীজ বুনেছিলেন, তারা অনেকটাই বিভ্রান্ত।
আর বিশাল এক জনগোষ্ঠী শুধু একটু ভালোভাবে বেচে থাকার আশায় নিউইয়র্ক ছেড়ে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। এই হার যে কত বিশাল, তারও ব্যাখ্যা দিলেন রিয়েল এস্টেট সাইট স্ট্রিট ইজি। তাদের দেয়া তথ্য হলোÑ ২০২১ থেকে চলতি বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত নয় লাখেরও বেশি মানুষ নিউইয়র্ক ছেড়ে অন্য স্টেটে পাড়ি দিয়েছেন। আবার ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী এবাবে নিউইয়র্ক ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজারের কিছু বেশি।
এক বছরের মাথায় এই পালিয়ে যাওয়া মানুষের হার কেনো এতটা বৃদ্ধি পেলো কিংবা পাচ্ছে, যা নিয়ে কারোর মাথা ব্যথা খুব যে একটা আছে, তা ভাবারও কোন অবকাশ নেই। গত কয়েক মাস থেকে বাড়তি একটা ঝামেলার ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে নিউইয়র্কের স্থানীয় প্রশাসনকে। টিভি খুললেই যা চোখের পাতায় ধাক্কা দেয়। আর তা হলো বিলাসবহুল বাসে করে বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীর নিউইয়র্কের এসে আশ্রয় গাড়ার কাহিনি।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সময় সময় কঠোর সব নিয়ম-কানুন প্রণয়নে ব্যস্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, টেক্সাস সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ করে অবৈধ অভিবাসী আসার পথ বন্ধেরও ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ক্ষমতায় এসেই বাইডেন মানবিকতার অজুহাত খাড়া করে শুধু প্রাচীর নির্মাণে ব্যাঘাতই ঘটালেন না, সেইসাথে অবমুক্ত করে দিলেন সীমান্তবর্তী সব পথ। সেই থেকে বানের পানির মতো অবৈধ মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটতেই থাকলো আমেরিকায়। সেন্ট্রাল আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ঐসব অবৈধ অভিবাসী দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথ দিয়ে আমেরিকায় ঢুকলেও টেক্সাস সীমান্ত দিয়েই ঢুকছে বেশি, আর বিপত্তি দেখা দিচ্ছে সেখানেই। টেক্সাসের রিপাবলিকান গর্ভনর অভিনব কায়দায় ঐসব অবৈধ প্রবেশকারীদেরকে ধরে ধরে বাসে উঠিয়ে দিয়ে নিউইয়র্ক আর ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠাতে শুরু করেছেন। তার বক্তব্য একটাই, আর তা হলো- বাইডেন প্রশাসনের দায় টেক্সাস কেনো নেবে?
তাই কোন অবৈধ অভিবাসীদের জায়গা টেক্সাসে হবে না। দৈনিক গড়ে ছয় হাজারের মতো অবৈধ অভিবাসী দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে। সেই হিসেবে ইতিমধ্যে ২০ লাখের মতো অবৈধ অভিবাসী ঢুকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে। তার মধ্যে নিউইয়র্কেই এসেছে বেশি। নিউইয়র্কের মাননীয় মেয়র এরিক অ্যাডামস এসব অবৈধদের জন্য আবার রাজকীয় আয়োজনের অংশ হিসেবে শহরের পাঁচ তারকা হোটেলের ছয় হাজারেও বেশি রুম ভাড়া করেছেন! এই ছয় হাজারের মতো রুমেও কুলাচ্ছে না, সেই কারণে বাড়তি আয়োজন হিসেবে ক্রুজশিপ ভাড়া করার কথা ভাবছেন এ্যাডামস! যাদের এই অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে জেলে যাওয়ার কথা, তারা এখন রাজকীয় আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন কেবলমাত্র বাইডেন প্রশাসনের বৈধতায়!
তবে সীমান্ত রক্ষীদের তত্ত্ব মতে, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের কারণে এফবিআইয়ের খাতায় লিপিবদ্ধ এমন ৫৭ জনকে চিহ্নিত করা গেছে, যারা ঐ অবৈধ অভিবাসীদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। অথচ বিষয়টা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের একটুও ভাবনা-চিন্তার সময় নেই। এখন তারা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে চিন্তিত। গত দু’মাসে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ৩৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র সাহায্য দিয়েছে। এছাড়াও আরো সাতশো কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা সংক্রান্ত একটি নথিতে স্বাক্ষর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। যুদ্ধটা ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার হলেও কার্যত শুধু ইন্ধনদাতার ভূমিকায় নেই বিশ্ব মোড়ল দেশটি। একই সাথে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অলক্ষ্যে সহায়তার নামে এক পরোক্ষ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর ঐ এক কারণে ইউক্রেন প্রায় ছয় মাসের মতো প্রতিরোধ যুদ্ধে রাশিয়াকে প্রায় কোণঠাসা করে রেখেছে। ওপেন সিক্রেট এখন ঐ বিষয়টি। আর এ কথা মনে করেই রাশিয়ার কুখ্যাত নায়ক পুতিন ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন এই বলেÑ ইউক্রেনকে যেসব দেশ অস্ত্র সাহায্য করছে, তাদের পরিণতি আগামীতে এমন হবে, যা কোনদিন ইতিহাসের পাতায় আগে দেখা যায়নি। এই হুমকিটা কিছুটা হলেও বাইডেন প্রশাসনকে চিন্তায় ফেলেছে। আর সে কারণে পাল্টা হুমকি হিসেবে ইতিমধ্যে বাইডেনও পুতিনকে পরমাণু শক্তি প্রদর্শনে বিরত থাকার কথা বলেছেন। আগামীদিনে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভাগ্যে কী পরিণতি অপেক্ষা করছে, একমাত্র স্রষ্টাই তা ভালো জানেন! তবে নানামুখী সমস্যার কবলে পড়ে নিউইয়র্কারদের জীবন যে এক বিচিত্রমুখী হুমকির কবলে পড়েছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।