বিদায় ২০২২, স্বাগত ২০২৩

ঠিকানা অনলাইন : কুয়াশায় আচ্ছন্ন দিগন্তে লালিমা ছড়াতে ছড়াতে সূর্য অস্তাচলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেল বিদায়ের আয়োজন। সাঁঝ গড়িয়ে মধ্যরাত হতেই মহাকালে হারিয়ে গেল আরেকটি বছর, খ্রিষ্টীয় ২০২২ সাল। বিদায়ী বছরের সব দুঃখ-বেদনা ভুলে ৩১ ডিসেম্বর শনিবার মধ্যরাতে বিশ্বের অন্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন আশায় বরণ করে নিয়েছে ২০২৩ সালকে।

মানুষের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা আর পাওয়া না-পাওয়ার হিসাবের মধ্যেও ফেলে আসা বছরের ছোট-বড় অনেক ঘটনা নাড়া দিয়েছে মানুষের মনকে। প্রমত্তা পদ্মার দুই পারের সংযোগ ঘটিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আর তীব্র যানজটের নগর ঢাকায় মেট্রোরেল চালুর মতো বিশাল উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন হয়েছে বিদায়ী বছরে। অন্যদিকে করোনা মহামারির ঢেউ সামলে উঠতে না-উঠতেই ডলার সংকট, ব্যাংকে তারল্য সংকট, জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। করতোয়া নদীতে এক নৌকাডুবিতেই ৭১ জনের প্রাণহানির মতো হৃদয়বিদারক ঘটনাও ভুলেছেন অনেকে কালের নিয়মে।

ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও রঙিন আলোর ছটায় অনেক আশায় মানুষ বরণ করে নিল খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে। স্বাগত ২০২৩!

নতুন বছর সবার মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়াই সবার প্রত্যাশা।

‘খ্রিষ্টীয় নববর্ষ-২০২৩’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘নববর্ষ সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২২ সাল বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের এক স্বর্ণযুগ। আমরা গত বছর ২৬ জুন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু চালু করেছি। ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার মেট্রোরেল যোগাযোগ চালু করেছি। ২১ ডিসেম্বর দেশের ৫০টি জেলায় উন্নয়নকৃত ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন করেছি।’

ঠিকানা/এনআই