ঠিকানা অনলাইন : সদ্য অনুষ্ঠিত হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে পরাজিত ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি বিজয়ী জো বাইডেনের কাছে নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ববার হস্তান্তের কথা। সেই হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে আর মাত্র ১০ সপ্তাহ সময় আছে। আর এর মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে তিনি নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন। এ সমস্ত নিষেধাজ্ঞা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়।
ধারণা করা হচ্ছে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর পরমাণু সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞাগুলো বাতিল করতে পারেন। কারণ ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে যখন ইরানের সঙ্গে আমেরিকাসহ ছয় জাতিগোষ্ঠীর পরমাণু সমঝোতা সই হয় তখন বাইডেন ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন বিদায়ী মার্কিন প্রশাসন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপকভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা নিয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সমন্বয় করে ট্রাম্প প্রশাসন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।
ইসরাইলের দুটি সূত্র জানিয়েছে, ৮ নভেস্বর (রবিবার) মার্কিন প্রশাসনের ইরান বিষয়ক দূত ইলিয়ট আব্রামস ইসরাইল পৌঁছেছেন এবং তিনি যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মীর বেন শাব্বাতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ইসরাইলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বেনি গান্তজ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজিকে এ বিষয়ে তিনি ব্রিফ করবেন। এছাড়া, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও নিজেও আগামী ১৮ নভেম্বর ইসরাইল সফরে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, জো বাইডেনের কাছে ট্রাম্পের হেরে যাওয়ার ঘটনায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান খানিকটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।
সূত্র : পার্সটুডে
ঠিকানা/এসআর