বিশ্বচরাচর ডেস্ক : ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো এখন তাদের অতীতে গ্রহণ করা বৈদেশিক অনুদানের হিসাব দেয়া মুক্ত থাকতে পারবে। এ ছাড়াও, তারা এখন চাইলেই প্রবাসী ভারতীয় নাগরিক বা ভারতে স্থাপিত কোনো বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানের অঙ্গসংগঠন সরাসরি অনুদান গ্রহণ করতে পারবে।
গত মাসে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে এই সংক্রান্ত একটি সংশোধনী অধ্যাদেশ আনা হয় যা কোনো ধরনের বিরোধ ছাড়াই পাস আইনে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের বিদেশি অর্থনৈতিক অনুদান সংক্রান্ত অধ্যাদেশ যার ফলে কোনোবৈদেশিক সূত্র রাজনৈতিক দলগুলোর অনুদান গ্রহণ নিষিদ্ধ ছিল গত মাসে উপস্থাপিত সংশোধনীতে তাতে পরিবর্তন আনা হয়। এ দিকে দেশটির মানবাধিকার কর্মী এবং রাজনৈতিক অধিকার কর্মীরা এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন আইনি বৈধতার মাধ্যমে বিদেশি কোম্পানির পকেটে চলে যাবে ভারতীয় সরকার ও রাজনীতি এমনটাই আশঙ্কা তাদের।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দিল্লির আদালত দেশটির দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে লন্ডনভিত্তিক খনিজসম্পদ আহরণকারী কোম্পানি ভ্যান্ডেটা গ্রুপের কাছে বিপুল পরিমাণ অনুদান নেয়ার দায়ে দোষী বলে রায় দেন। ২০০৪-২০১২ সালের মধ্যে এই সব অর্থনৈতিক অনুদান নেয়া হয়েছিল বলেই আদালত তার রায়ে জানিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে কাজ করে এমন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস তাদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, এই মুহূর্তে ভারতের শীর্ষ ধনী দল হলো ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এবং পরের অবস্থানেই রয়েছে কংগ্রেস। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ এই দুটি আর্থিক বছরে বিজেপির আয় বেড়েছে ৮১১৮ শতাংশ, সেখানে কংগ্রেসের আয় কমেছে ১৪ শতাংশ। আল-জাজিরা, এনটিভি।