বিপিএলে আইকন থাকছে না

স্পোর্টস রিপোর্ট : প্রথম থেকে পঞ্চম আসর পর্যন্ত স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে আইকন প্লেয়ারের ব্যবস্থা থাকলেও বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে আর তা হচ্ছে না। আইকনের বিপরীতে এবার শীর্ষ ক্যাটাগরি হিসেবে বিবেচিত হবে এ+। এ ছাড়া এ, বি, সি, ডি ও ই নামের আরও পাঁচ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে ক্রিকেটারদের। ক্যাটাগরি থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রিকেটার বেছে নিতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। খেলোয়াড়দের দল নির্ধারণের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে ২৫ অক্টোবর, খেলা শুরু হবে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি।

আইকন ব্যবস্থা বাদ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, এবারের বিপিএলে আইকন থাকছে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আইকনের বদলে এ+ ক্যাটাগরি রাখা হবে। মূলত নামটাই পরিবর্তন হচ্ছে, খেলোয়াড়ি সামর্থ্য, ফর্ম, অভিজ্ঞতা আর গুরুত্ব বিবেচনায় যেভাবে আইকন নির্ধারণ করা হতো, সেভাবেই থাকছে এ+ ক্যাটাগরি। মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা থাকছেন এই ক্যাটাগরিতে। এ পাঁচজনের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছেন দুজনÑ মুস্তাফিজুর রহমান ও লিটন কুমার দাস। মুস্তাফিজ আগেও আইকন হিসেবে ঘোষিত ছিলেন, তবে গত আসরে আর্থিক জটিলতার কারণে বরিশাল বুলস বাদ পড়ে গেলে ড্রাফটে তাকে এ+ ক্যাটাগরিতে তোলা হয়। বলার মতো উত্থান তাই কেবল লিটনেরই। আইকন থাকা ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান আর সৌম্য সরকার। দুজনের কেউই এ+ ক্যাটাগরিতে জায়গা পাচ্ছেন না, ড্রাফটে উঠবে এ ক্যাটাগরির খেলোয়াড় হিসেবে। সৌম্য বাদ পড়েছেন সাম্প্রতিক সময়ের অফফর্মের কারণে। আর সাব্বিরের ক্ষেত্রে ফর্মজনিত সমস্যার সঙ্গে আছে নানান বিতর্কিত কা-ে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা। ইতোমধ্যে ছয় মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া সাব্বিরের বাদ পড়া একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদেশি ক্রিকেটারদের আকৃষ্ট করতে তাদের ভিত্তিমূল্য বাড়ানো হয়েছে। এ+ ক্যাটাগরির বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছে দুই লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ক্রিকেটার দলভুক্ত করার ক্ষেত্রে বিপিএল গভর্নিং কমিটির বেঁধে দেওয়া অর্থের বাইরে গিয়ে সর্বোচ্চ দুজন ক্রিকেটার কিনতে পারবে দলগুলো। এ ছাড়া এ, বি, সি, ডি এবং ই ক্যাটাগরির সর্বনিম্ন ডাক ধরা হয়েছে যথাক্রমে দেড় লাখ, পঁচাত্তর হাজার, পঞ্চাশ হাজার, ত্রিশ হাজার এবং বিশ হাজার মার্কিন ডলার। গতবারের মতো এবারের বিপিএলেও খেলছে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রতিটি দল তাদের চারজন পুরনো খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে পারবে। চারজনের মধ্যে দেশি-বিদেশির কোনো বিভাজন থাকছে না। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরেই প্রথমবারের মতো ডিআরএস ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।