স্পোর্টস ডেস্ক : ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপের নায়ক দিয়েগো ম্যারাডোনা। সেই মেক্সিকোতেই এবার কোচিং পেশায় নেমেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর। ক্লাব ফুটবলে কোচিং অভিজ্ঞতা সুখকর নয় ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনার। তবে মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব দোরাদোসের দায়িত্ব নিয়ে বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন তিনি। দেড় কোটি টাকা বেতনে কোচের চুক্তি সই করেন ম্যারাডোনা। প্রতিপক্ষের মাঠে যেতে ক্লাবের কাছে চেয়েছেন ব্যক্তিগত জেট বিমান। দোরাদোসের কোচ হওয়ার পর ম্যারাডোনা বলেছেন, মাদক-স্থূলতায় অনেক বছর পেরিয়ে যাওয়া জীবনে একটা নতুন শুরু চান তিনি। এখন শোনা যাচ্ছে, পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকে থাকা এই ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নেয়ার পেছনে আর্থিক সুবিধা অন্যতম বড় কারণ। দোরাদোসের সঙ্গে ম্যারাডোনার চুক্তি ১১ মাসের। ক্লাবটিকে প্রথম বিভাগে তুলতে পারলে তা নবায়ন হবে। এবারের লিগে প্রথম ছয় ম্যাচে একটিতেও জয় না পাওয়া দোরাদোসের সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। ১৫ দলের লিগে তাদের অবস্থান ১৩তম। ম্যারাডোনার বেতনবাবদ প্রতি মাসে ১ লাখ ৩৮ হাজার পাউন্ড গুনতে হবে দোরাদোস ক্লাব কর্তৃপক্ষকে। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি। ম্যারাডোনার মতো ফুটবল ব্যক্তিত্বকে খুশি রাখতে দোরাদোসকে খরচের হাতটা আরো লম্বা করতে হয়েছে।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ইনফোবে’র দাবি, প্রতিপক্ষের মাঠে প্রতি ম্যাচেই নিজের ও দলের জন্য ব্যক্তিগত বিমান চেয়েছেন ম্যারাডোনা। ক্লাবের অবস্থান সিনালোয়া রাজ্যের কুলিয়াচানের অভিজাত এলাকা লা প্রিমাভেরায় সুইমিংপুলসহ একটা বিলাসবহুল বাড়ির চাহিদাও রয়েছে। সিনালোয়া মাদকের আখড়া। দোরাদোসের কোচ হওয়ার প্রথম দিনই ম্যারাডোনা বলেছিলেন, মাদক ভরা জীবনের স্মৃতিগুলোকে বিদায় করতে চান, ‘জীবনে অনেক ভুল করেছি। এই দায়িত্বটা আমার কাছে ছোট্ট একটা শিশুকে বাহুতে বয়ে বেড়ানোর মতো। যখন মাদক নিতামসেটা আমাকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। ফুটবলই সামনে এগোনোর মন্ত্র। আমরা এখানে ঘুরে বেড়াতে আসিনি। ছুটিতেও আসিনি। কাজ করতে এসেছি। সবাই মিলে একসঙ্গে জিততে অনেক ভালো লাগবে।’ মেক্সিকো আসার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল ফুজাইরা ও আল ওয়াসল ক্লাবের কোচিং রেকর্ড পেছনে ফেলে এবার সফল হতে চান ম্যারাডোনা, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচই জয়ের লক্ষ্যে খেলবো। রক্ষণাত্মক ফুটবল আমার পছন্দ নয়।’