ঠিকানা রিপোর্ট : করোনা মহামারি চলাকালে বেকারত্ব বীমায় ৪৫.৬ বিলিয়ন ডলার জালিয়াতি হয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে শ্রম বিভাগের মহাপরিদর্শক। যা অতীতের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি। গত ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা গেছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি সুইপিং ফেডারেল ত্রাণ প্যাকেজ স্বাক্ষর করেন। এতে যেকোনো ব্যক্তির বেকারত্ব সুবিধা পাওয়ার অধিকার প্রসারিত হয়। ফলে কয়েক মাসের মধ্যে ৫৭ মিলিয়নেরও বেশি লোক এই সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করে।
ওয়াচডগ জানায়, প্রতারকরা সন্দেহজনক ইমেল অ্যাকাউন্ট কিংবা সুবিধার জন্য অযোগ্য মৃত ব্যক্তি ও ফেডারেল বন্দীদের সামাজিক সুরক্ষা নম্বর ব্যবহার করে বেকারত্ব বীমার জন্য আবেদন করে। মহাপরিদর্শকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেউ কেউ একাধিক রাজ্যে বেকারত্ব সুবিধার জন্য আবেদন করেন। অফিস মহামারি চলাকালে ২০২১ সালের জুনে সম্ভাব্য জালিয়াতির ১৬ বিলিয়ন ডলারের একটা রূপরেখা দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে একটি মেমোতে সতর্ক করেছে যে জালিয়াতি রোধ করার লক্ষ্যে সময়মতো বেকারত্ব বীমা (ইউআই) ডেটা রিপোর্ট করার জন্য শ্রম বিভাগ থেকে আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন।
মহাপরিদর্শক ল্যারি টার্নার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মহামারি তহবিলের কয়েক শ’ বিলিয়ন ডলার প্রতারকদের আকৃষ্ট করে। তারা বেকারত্ব তহবিল প্রোগ্রামকে কাজে লাগানোর ফলে ঐতিহাসিক মাত্রার জালিয়াতি এবং অন্যান্য ত্রুটিপূর্ণ অর্থপ্রদান হয়েছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা এবং ডেটা অ্যাক্সেসের সমস্যা সত্ত্বেও আমাদের দল কীভাবে এই অভূতপূর্ব সংকটে সাড়া দিয়েছে তাতে আমি অত্যন্ত গর্বিত।’
টার্নারের অফিস জানায়, মহামারি শুরুর পর থেকে এর ১ লাখ ৯০ হাজার বেকারত্ব বীমা জালিয়াতি তদন্ত এখন ১ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছে। টার্নার বলেন, সংখ্যাটি বেকারত্বের দাবিতে ওয়াচডগের প্রাক-মহামারি কাজকে ছাড়িয়ে গেছে এবং সমস্যার মাত্রা তুলে ধরেছে।
বিচার বিভাগের কোভিড-১৯ তহবিল জালিয়াতি রোধে নেতৃত্ব দেন সহযোগী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেভিন চেম্বার্স। তিনি বলেন, ‘আমি এই অভূতপূর্ব প্রতারণার বিরুদ্ধে মহাপরিদর্শকের অসাধারণ প্রতিক্রিয়াকে সাধুবাদ জানাই।’
ওয়াচডগের মেমোটি শ্রম বিভাগের এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইটিএ) প্রতিও নজর দেয়। ইটিএ বেকারত্ব সুবিধাগুলো পরিচালনা করে। এই ইটিএর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে অসময়ে বেকারত্ব ডেটা রিপোর্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে মেমোতে।
মহাপরিদর্শকের অফিস বিভাগটির সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান বাস্তবায়নের উপর কিছু দোষ চাপিয়েছে। তবে ইটিএ অন্তর্বর্তী সমাধান অন্বেষণ করছে বলে উল্লেখ করেছে।