ব্যাংকরাপসি আইনে ভোক্তাদের অধিকারসমূহ

মোহাম্মদ এন মজুমদার : ফেডারেল ব্যাংকরাপসি আইনের আওতায় ভোক্তা তথা দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তিরা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। দেনায় দায়ে জর্জরিত ব্যক্তিরা ব্যাংকরাপসি ফাইলিংয়ের মাধ্যমে অনেক সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন, তথা সব দেনা থেকে দায়মুক্ত হয়ে পুনরায় ক্রেডিট বিল্ডিংয়ের সুযোগ পেতে পারেন।

ব্যাংকরাপসি ফাইলিং করার জন্য আপনার ট্যাক্স রিটার্ন, মাসিক খরচসমূহের হিসাব, সব এসেট, তথা সব সম্পত্তির বিবরণ, বাড়িঘরের মালিকানার সব তথ্য, আয়-ব্যয় ইত্যাদির বিবরণ কয়েকটি ফরমে সন্নিবেশিত থাকে, এসব ফরমসমূহকে বলা হয় Schedules। সাধারণত দু’ধরনের ব্যাংকরাপসি ফাইলিং করা যায়, Chapter-7 Ges Chapter-13।
যারা শুধু ক্রেডিট কার্ডেও দেনা পরিশোধে ব্যর্থ, বাড়িঘর থাকলেও তা বিসর্জন দেবেন, তারা Chapter-7 ফাইলিংয়ের মাধ্যমে সব দেনার দায়মুক্ত হতে পারেন।

আবার যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের মালিক এবং কোনধরণের Equity আছে, তারা Chapter-13 ফাইলিংয়ের মাধ্যমে দেনায় দায় থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
সব ধরণের নন-সিকুউড ঋণ ডিসচার্জযোগ্য। সিকিউট ঋণসমূহে পাওনাদাররা লিন আরোপ বা বসাতে পারেন। যেমন- বাড়িঘর, কার, ট্যাক্স ইত্যাদি বিপরিতে গৃহীত ঋণ থাকাকালীন ব্যাংকারপসি ফাইলিং করলে তাতে ইকুইটি থাকলে পাওনাদাররা সম্পত্তি ক্রোকি পরোয়ানার মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারেন। ক্রেডিট কার্ড বিল, কালেকশন এজেন্সি বিল, মেডিকেল বিল, পারসোনাল লোন, ইউনিট বিল, ডিজ-অনার্ড চেক, অটো এক্সিডেট ক্লেইম, লিজ মানি, সিভিল কোট জাজমেন্ট, ট্যাক্স, এটর্নি ফি, ভেটারস লোন।

আবার চাইল্ড সাপোর্ট, সিকিউরড লোন ও কিছু কিছু ট্যাক্স ব্যাংকরাপসি ফাইলিংয়ের মাধ্যমেও মুক্তি পাওয়া যায় না।
২০০৫ সালের সংশোধিত ব্যাংকরাপসি আইন ভোক্তাদের জন্য বিশেষ বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। ফলে ব্যাংকরাপসি ফাইলিং ভোক্তাদের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর হবে না। ব্যাংকরাপসি ফাইলিংয়ের পর ভোক্তারা পুনরায় ক্রেডিট বিল্ড করা এবং হারানো ক্রেডিট ফিরে পেতে পারেন। ফলে যারা দেনার দায়ে জর্জরিত তারা ব্যাংকরপসি ফাইলিংয়ের মাধ্যমে সব দেনার দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

লেখক পরিচিতি : এই প্রবন্ধটির লেখক মোহাম্মদ এন মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং নিউইয়র্কস্থ টরো ল সেন্টার থেকে আইনে এলএলএম ডিগ্রিধারী, তিনি নিউইয়র্কস্থ একটি ল ফার্মে ১৯৯৯ সাল থেকে কর্মরত আছেন। এ ছাড়াও তিনি নিউইয়র্কের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি ব্রঙ্কস প্লানিং বোর্ড-৯ এর সদস্য ফাস্ট ভাইস চেয়ারম্যান এবং ল্যান্ড এন্ড জোনিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯১০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপরোক্ত লিখাটি লেখকের সুদীর্ঘকালের ল ফার্মে কর্ম অভিজ্ঞতা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ল স্কুলের শিক্ষা থেকেই লিখা। এটিকে লিগ্যাল এডভাইজ হিসেবে গ্রহণ না করে আপনাদের নিজ নিজ আইনজীবীর সহযোগিতা নিন।