ঠিকানা অনলাইন : ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ অক্টোবর রোববার বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৩ বল বাকি রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিক দলটি।
দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল। তাই ফাইনালে উঠতে ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের জন্যই। তাতে জয় পেয়ে এগিয়ে গেল কিউইরা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আরও একটি ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন কনওয়ে। ৫১ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন এই ওপেনার। অধিনায়ক উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। এ ছাড়া ফিলিপ্স অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে। মাত্র ৯ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানেই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজকে হারায় বাংলাদেশ। টিম সাউদির বলে পেছনের দিকে সরে খেলতে গিয়ে মিডঅনে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।
তবে এ জুটি ভাঙার পর মাত্র ২৫ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাতে বড় চাপে পড়ে দলটি। দুবার জীবন পাওয়া লিটন আউট হন বোলার ব্রেসওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে। লং অফ সীমানার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে চাপম্যানের হাতে ধরা পড়েন শান্ত।
হতাশ করেন মোসাদ্দেক হোসেন ও ইয়াসির আলীও। কিছুটা বিস্ময় ছড়িয়ে এদিন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। আফিফ হোসেনের সঙ্গে ২৪ রানের জুটি গড়েন। বোল্টের বলে আফিফ বোল্ড হলে ভাঙে এ জুটি। পরের ওভারে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাকিব।
দলীয় ১১০ রানে ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশের পুঁজি কিছুটা দেখার মতো করেন নুরুল হাসান সোহান। ৮ নম্বরে নেমে খেলেন দারুণ এক ক্যামিও। ১২ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২৫ রান। তাতে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন শান্ত। ২৯ বলে ৪টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২৬ বলে ২৪ রান করেন আফিফ। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বোল্ট, সাউদি, ব্রেসওয়েল ও সোধি।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৩৭/৮ (শান্ত ৩৩, মিরাজ ৫, লিটন ১৫, আফিফ ২৪, মোসাদ্দেক ২, ইয়াসির ৭, সাকিব ১৬, সোহান ২৫, তাসকিন ৩, হাসান ১; বোল্ট ৪-০-২৫-২, সাউদি ৪-০-৩৪-২, মিল্ন ২-০-১২-০, নিশাম ১-০-১২-০, ব্রেসওয়েল ৪-০-১৪-২, সোধি ৪-০-৩১-২, ফিলিপস ১-০-৮-০)।
নিউজিল্যান্ড : ১৭.৫ ওভারে ১৪২/২ (অ্যালেন ১৬, কনওয়ে ৭০*, উইলিয়ামসন ৩০, ফিলিপস ২৩*; তাসকিন ৪-০-৩৪-০, শরিফুল ৩.৫-০-৩৯-১, হাসান ৪-০-২৬-১, মিরাজ ২-০-১২-০, সাকিব ৩-০-২৩-০, মোসাদ্দেক ১-০-৭-০)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মাইকেল ব্রেসওয়েল।
ঠিকানা/এনআই