‘ব্যাপক সংখ্যক লোক ভোট দিতে না পারলে সিরিয়াসলি গ্রহণ করবো’

ঠিকানা অনলাইন : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতির বিষয়টি আপেক্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে কয়জন লোক ইভিএমে ভোট না দিয়ে চলে গেলো। আমরা সেটা মূল্যায়ন করবো। এখন ধীরগতি হতে পারে কিন্তু আমাদের কাছে যদি তথ্য আসে ব্যাপক সংখ্যক ভোটার ধীরগতির কারণে ভোটই দিতে পারেনি তখন সেটাকে সিরিয়াসলি আমরা গ্রহণ করবো।’

২৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন মনিটরিং করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করছি। ট্যাবের মাধ্যমে কক্ষে কক্ষে মনিটরিং করছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুন্দরভাবে নির্বাচনটা পর্যবেক্ষণ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে রংপুর ভোট গৃহীত হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

এদিকে, রংপুরের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার, ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্যসহ মোট ১৫ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ৮৬টি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার ও ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্যসহ মোট ১৬ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১১ প্লাটুন বিজিবি, ১৭টি র্যাবের টিম, পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার ব্যাটালিয়ন সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স টহলে রয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি ২২৯টি কেন্দ্রের সবগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সঙ্গে ভোটগ্রহণে পর্যবেক্ষণে বসানো হয়েছে এক হাজার ৮০৭ সিসিটিভি ক্যামেরা। কার্যালয় থেকে এসব ক্যামেরা মনিটরিং করবেন নির্বাচন কমিশনসহ রিটার্নিং কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। ছবি: ফোকাস বাংলা
এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন একজন। ২২৯টি কেন্দ্রের বুথ সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি।

নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

ঠিকানা/এসআর