ঠিকানা অনলাইন : ব্রাজিলে দাঙ্গার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিচারমন্ত্রী ফ্লাভিও ডিনো। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট ভবন, কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকার পরিস্থিতিও এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এরই মধ্যে এসব স্থান থেকে বলসোনারোর সমর্থকদের সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। খবর বিবিসির।
ডিনো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি সন্ত্রাসবাদ, এটি একটি অভ্যুত্থান। আমরা নিশ্চিত জনসংখ্যার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এই অন্ধকার বাস্তবায়ন করতে চায় না। এ সময় তিনি ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এর আগে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে হামলা চালায় সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থকেরা। সংঘবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন আক্রমণ করেন তারা। এ সময় ঘিরে ফেলা হয় ব্রাজিলের কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্টও।
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সমর্থকদের এই হামলা ফিরিয়ে দিয়েছে দু’বছর আগের যুক্তরাষ্ট্রের স্মৃতি। মার্কিন ক্যাপিটাল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি এভাবেই হামলা চালিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা।
গত বছর কট্টর দক্ষিণপন্থি বোলসোনারোকে হারিয়ে ব্রাজিলে ক্ষমতায় আসেন বামপন্থি লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা। দেশের প্রশাসনিক কাঠামোয় এই হামালার জন্য তিনি আগের প্রেসিডেন্টকেই দায়ী করেছেন। রাজধানী ব্রাসিলিয়ার নিরাপত্তা বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন লুলা।
ব্রাজিলে দাঙ্গার নিন্দায় বলসোনারো, দায় অস্বীকার
এদিকে ব্রাজিলে দাঙ্গার নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। এই দাঙ্গায় নিজের কোনো ভূমিকা থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। খবর এএফপির।

কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক বলসোনারোর শত শত সমর্থক গতকাল রবিবার দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালান।
সরকারি স্থাপনায় নিজ সমর্থকদের এই হামলা ও লুটতরাজের ঘটনায় বলসোনারো নিন্দা জানান।
ঠিকানা/এসআর